অদ্বৈত মল্লবর্মণ
৩৭ বছর আয়ুষ্কালে (১৯১৪-১৯৫১)র মধ্যে একটি কাহিনি লিখতে শুরু করে, তার পাণ্ডুলিপি হারিয়ে ফেলে, ফের নতুন করে লিখে তাকে স্বভাষার সাহিত্যে স্থায়ী জায়গা দিয়ে ফেলার ক্ষমতা সচরাচর দেখা যায় না। অদ্বৈত মল্লবর্মণ তেমনটা পেরেছিলেন। উল্লেখ্য, পাণ্ডুলিপি হারিয়ে ফেলার প্রসঙ্গে গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণ গ্রামের ধীবর পরিবারের সন্তান অর্থাভালে পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেন সংবাদপত্রে। প্রথমে ত্রিপুরা পত্রিকায়, পরে নবশক্তি, যুগান্তর প্রভৃতি খবরের কাগজে। শেষে দেশ পত্রিকায়। তিতাস একটি নদীর নাম ছাড়াও তাঁর রচিত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে রাঙা মাটি, শাদা হাওয়া। লিখেছেন কবিতা, প্রবন্ধ; সংগ্রহ করতেন লোকসাহিত্য। অর্থাভাব ছিল অদ্বৈতের চিরসঙ্গী। মারাও যান যক্ষ্মায়।