সাতষট্টি সালে পূর্ব পকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু
হয়ে কলকাতায় আসা। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায় অধীরের প্রথম আগমন সেই কিশোরবেলায়
বাবার হাত ধরে, উপলক্ষ হাফ-দামে ফুটপাথের দোকান থেকে স্কুলের
বই কেনা। এর পর স্কুল থেকে কলেজ এবং জীবিকার কারণে ফের বইপাড়া। এ বার প্রুফ দেখার
কাজ। প্রকাশনার শুরু ২০০২ সালে। ‘দোয়েল’। বাচ্চাদের কিছু বই তৈরি করে বইমেলার
অলিগলিতে বসে বিক্রি নশো টাকা। ছাপা ও সৌকর্যে দোয়েলের বইগুলি ফুলকি হয়ে থাকলে
২০০৫ সালে বড়দের জন্য ‘গাঙচিল’ হয়ে দাঁড়াল বিস্ফোরণ। ‘গাঙচিল’-এর হাত ধরে বাংলা
বই নির্মাণ ও সৌকর্যে বিশ্বমানকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। স্লোগান হল,
‘গ্রন্থ নির্মাণ করে গাঙচিল’। কিন্তু না, সবজি
নিয়ে রাস্তায় বসা বা ট্রেনে-মাঠে ময়দানে হকারি করা অধীর বিশ্বাসকে তবু
‘ভুঁইফোঁড়’ পরিচয় নিয়েই থাকতে হল। এক বিখ্যাত প্রকাশনার দেড়শো বছর পূর্তি
হিসাবে স্মারকগ্রন্থে লেখার আমন্ত্রণ পেলে দুই বিখ্যাত প্রকাশক প্রশ্ন তোলেন,
কে লোকটা, কী পরিচয়, এমন
এক গ্রন্থে লেখার কী অধিকার তার? ‘ভুঁইফোঁড়ের বইপাড়া’ এক উদ্বাস্তু,
সর্বস্বান্ত মানুষের শহুরে এলিট প্রতিষ্ঠানের বাধার বিরুদ্ধে নিজের
পায়ে দাঁড়াবার, নিজেকে প্রমাণ করার কাহিনি।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া