লেখক: হেমেন্দ্রকুমার রায়
প্রকাশক: কেতাব-ই
হেমেন্দ্রকুমাররায় মৌচাক পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে দুটি সায়েন্স ফ্যান্টাসি প্রকাশ করেছিলেন, মেঘদূতের মর্তে আগমন (১৯২৫) এবং ময়নামতীর মায়াকানন (১৯২৬)।
মঙ্গলগ্রহ থেকে এক আশ্চর্য উড়োজাহাজে চড়ে একদল বেয়াড়া বামন জীব একবার আমাদের পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছিল। যাওয়ার সময়ে অদ্ভুত উপায়ে তারা অনেক মানুষকে মঙ্গলগ্রহে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। বন্দিদের ভিতরে ছিল বিমল, কুমার ও রামহরি, সঙ্গে ছিল কুমারের বড় আদরের বাঘা কুকুর। এবং বিনয়বাবু ও কমল। এই ছিল মেঘদূতের মর্তে আগমনের কাহিনি। বুদ্ধি ও শক্তিতে পরাস্ত হয়ে মঙ্গলগ্রহের বামনরা শেষটা মানুষদের হাতেই বন্দি অবস্থায় উড়োজাহাজ নিয়ে পৃথিবীতে আসতে বাধ্য হয়েছিল।
মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিয়ে উপন্যাসের শেষে মহাকাশযান এসে পড়ছে প্রাগৈতিহাসিক জীব-অধ্যুষিত এক অজানা দ্বীপে। এখান থেকেই ময়নামতীর মায়াকানন-এর গল্প শুরু হচ্ছে। ময়নামতীর মায়াকানন-এ দেখা মেলে প্রকাণ্ড ফড়িং-এর, সমুদ্রের তলা থেকে উঠে আসছে ডিপ্লোডোকাস, মাংশাসী দু-পেয়ে ডাইনোসর আক্রমণ করছে কাহিনির অভিযাত্রীদের। অভিযাত্রীরা প্রত্যক্ষ করে ট্রাইসেরাটপস এবং রামহরির ভাষায় দুটি ‘গরুড় পাখী, অর্থাৎ টেরোডাক্টিলদের মধ্যে হওয়া ভয়ানক যুদ্ধ। খাঁড়া-দেতো বাঘ, অতিকায় স্লথেরও মুখোমুখি হয় এই ছয় অভিযাত্রী। অবশেষে বিমল-কুমারের দলকে আটলান্টিক মহাসাগরের এই অজানা দ্বীপ থেকে উদ্ধার করতে আসে এক ইউরোপীয় জাহাজ।
অনস্বীকার্য ময়নামতীর মায়াকানন-এর প্রাগৈতিহাসিক জীব-অধ্যুষিত এই দ্বীপের অনুপ্রেরণা হেমেন্দ্রকুমার পেয়েছিলেন পূর্বসূরি স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ১৯১২ সালের উপন্যাস The Lost World থেকে। মৌচাকে এই উপন্যাস ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের পর, ১৯৩০ সালে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া