লেখক:দেবতোষ দাশ
প্রকাশক:কেতাব-ই।
16 May, 2022।
দেবতোষ দাশের নতুন উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
পাওয়া যাচ্ছে কেবল 'ই-বুক' ভার্সান। সুতরাং, 'বিন্দুবিসর্গ' কে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে অবদান থাকা পাঠককুল কিঞ্চিৎ পিছ পা...
কিছুতেই ই বুক পড়ব না! ছাপা বই না পড়লে কি বই পড়ার আরাম বোধ হয় - এই অছিলায় দিন কতক দেরি করা সত্ত্বেও আর উপায় রইল না... যখন প্রচারের জন্য প্রকাশিত প্রথম পাতাটা পড়তে পেলাম! হাতে তুলে নিতেই হল বইটি - থুড়ি কেতাব-ই অ্যাপসহ মোবাইলটি।
প্রথমেই ভুলটা ভাঙল! ই-বই বলতে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া ডাউনলোডেড পিডিএফ নয়। ই-বুক এর প্রকৃতি ভিন্ন। সেগুলো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে পড়ার জন্য বিশেষভাবে ডিডাইন করা। যে কোনো ছাপা বই এর স্ক্যানড - ডিজিটাল কপি নয়। নিজের সুবিধা মতো সেটিং সেট করে পড়া মোটের ওপর আরামপ্রদ।
যারা শিল্প-সাহিত্যের মোটামুটি খবর রাখেন, দেবতোষ দাশ তাদের কাছে পরিচিত নাম। বিগত বছর দশেক ধরে ছোটো বড় পত্রিকাগুলোতে গল্প-উপন্যাস ছাপা হচ্ছে নিয়মিত। ছোটো বড়ো থিয়েটার দলে তাঁর রচিত নাটক অভিনীত হয়েছে। ছোটো বড়ো প্রকাশনা থেকে বেরিয়েছে ছোটোগল্প ও উপন্যাসের (এমনকী কিশোর উপন্যাস) বই।
কিন্তু ২০১৭ সালে ' বিন্দুবিসর্গ ' উপন্যাস প্রকাশিত হবার পর কথাসাহিত্যিক হিসেবে দেবতোষ দাশের অবস্থানটা খানিক বদলে যায়!
'বিন্দুবিসর্গ' ফিকশন হলেও এর ভিত্তি একটা ভাষাতাত্ত্বিক আন্দোলন। ভাষাতত্ত্বজ্ঞ রবি চক্রবর্তী ও কলিম খান জানালেন বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অভিধানসমূহের মতো তাঁরা কারো মুখ থেকে শুনে বা কোনো গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করে নয়, শব্দের অর্থ নিষ্কাশন করছেন শব্দের ভিতরে থাকা বর্ণের ভিত্তিতে। এই ভিত্তিতে গড়ে ওঠে ক্রিয়াভিত্তিক - বর্ণভিত্তিক শব্দার্থবিধি। প্রকাশিত হয় তাঁদের একাধিক বই-প্রবন্ধ-অভিধান। আমাদের প্রচলিত যাপনে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। বাঙালি 'প্রাজ্ঞ' জনদের কাছে এ কাজের স্বীকৃতিও মেলেনি তেমন। শ্রীহরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বঙ্গীয় শব্দকোষ'-এ এর অতি ক্ষীণ প্রবাহরেখার আশ্রয়েই এঁদের এই বিপুল কর্মকাণ্ড। এই রীতি অনুসারে পুরাণের পুনরুদ্ধারের ফল কী মত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমকালীন ভারতীয় রাজনীতিতে তা কতটা বিপজ্জনক তাই-ই দেবতোষের বিন্দুবিসর্গ নামক থ্রিলারের বিষয়বস্তু। একটি সাক্ষাৎকারে লেখক জানিয়েছিলেন পপুলার লিটারেচারের আঙ্গিক ব্যবহার করে ননপপুলার বিষয়টিকে তিনি তুলে আনতে চেয়েছেন। সমালোচক লিখেছিলেন, একই সঙ্গে উৎকৃষ্ট এবং জনপ্রিয় সাহিত্যের উদাহরণ বিন্দুবিসর্গ। লেখক আরো বলেছিলেন, ড্যান ব্রাউনের 'দ্য ভিঞ্চি কোড' পড়ার স্মৃতি বিন্দুবিসর্গ পরিকল্পনাকালে মাথায় ছিল।
বিন্দুবিসর্গ প্রাথমিকভাবে লেখকের পার্সোনাল ব্লগে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরের কথা সকলেই জানেন।
আমার কাছে বই বিক্রি বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য না থাকলেও জানি বিন্দুবিসর্গ 'হিট' বই।
সুতরাং সর্বস্তরেই কবীর খান-ডিকে-নিবেদিতা ত্রয়ী নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়।
প্রস্তুত ভূমিতে যথেষ্ট সময় নিয়ে ফসল ফলালেন লেখক। এল 'কামসূত্র '। এবার আর একাধিক পুরাণ - ইতিহাসের বিনির্মিত পাঠ নয়, বাৎস্যায়নের 'কামসূত্র' ই কেন্দ্রবিন্দু। ফর্মটি থ্রিলার- ফিকশন। ফলত, অতীব গতিময় এর চলন। এবং ত্রিধারা নদীর মতো। এবং বহুস্তরীয়।
কলকাতা-কালিম্পং-উজ্জয়িনী-সিকিম ব্যাপী এর চলাচল। সময়কাল সুদূর অতীত থেকে কাল্পনিক বর্তমান।
কোনো এক অক্টোবর মাসের বারো দিনের ঘটনাবলি বর্ণিত। মূল কেসটি থ্রিলারের পক্ষে খুবই মামুলি। মিউজিয়াম থেকে মূর্তি চুরি। কলকাতা থেকে সিকিম। মূর্তি চোরের খোঁজে পুলিশি তৎপরতা। দোনলা বন্দুকের মতো সঙ্গে আছে একটি অপহরণের ঘটনাও।
কিন্তু আগেই বলেছি, দেবতোষের থ্রিলারের প্লট অপরাধ হলেও, থিম, পুরাণ - ভাষাতত্ত্ব। সুতরাং তৃতীয় তথা মূল ধারাটি হল 'কামসূত্র' এর বিনির্মাণের ধারা। সেই বিনির্মাণের প্রণেতা কি কেবলই কলিম খান? 'কামসূত্রে' র পেটের ভিতর আছে আর একটি উপন্যাস! ক্ষুদ্র - নিটোল - স্মৃতি ভারাতুর। পড়তে পড়তে যখনই আমাদের বিভোর মন মনে করবে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমকে, তখনই আবির্ভূত হবে আর এক রহস্য! কালিম্পংয়ের গুম্ফায় কে রেখে গেল এমত ভাষার বাংলা উপন্যাস - এস. বি. ইনিসিয়াল করে! যে উপন্যাসের সঙ্গে কলিম খানের গবেষণার বিস্তর সাদৃশ্য!
বাইরের স্তরে মূর্তি চুরির কিনারা, তার ভিতরে 'কামসূত্রে'র বিনির্মাণ, তার ভিতরে রহস্যময় ঐতিহাসিক উপন্যাস, তার ভিতরে তিব্বতের ইতিহাস, তার ভিতরে বৌদ্ধ ধর্ম-দর্শন-লোকবিশ্বাস। আর তারও ভিতরে কিছু কুহকী বোধ - ভেদ না হওয়া রহস্য। এই পাঁচ স্তর ঢেউয়ের মত কখনও কোনটা এগিয়ে এসে আছড়ে পড়েছে - কখনও একটার সঙ্গে অপরটা মিলে মিশে গেছে। কিন্তু লেখকের হাতে সবকটি সূত্র নিঁখুত থেকেছে। 'খেই' হারায় নি। কলিম খান শিখিয়েছেন, 'খেই' মানে সূত্রের অগ্রভাগ। সেই সূত্রটি কী? বইয়ের নামেই সে সূত্র। কামসূত্র। কামসূত্র - কামের সূত্র - কাম অর্থে কামনা নয়, কাজ। কামসূত্র, সুতরাং, সেক্সোলজির নয়, ম্যানেজমেন্টের বই!
যতদূর মনে পড়ছে বিন্দুবিসর্গে ইতিহাসের একটি সময়সারণির উল্লেখ ছিল। কলিম খান কৃত সারণিতে যুগবিভাজনটি ছিল এইরকম - সনাতন যুগ, বৈদিক যুগ, বৌদ্ধ যুগ, হিন্দু যুগ, মোঘল যুগ, ব্রিটিশ যুগ। বিন্দুবিসর্গে মূলত সনাতনী - বৈদিক সময়ের ক্রিয়াভিত্তিক - বর্ণভিত্তিক পুরাণ পাঠ কেমন করে হিন্দুধর্মের প্রচলিত বিশ্বাস টলিয়ে দিতে পারে তার দিকনির্দেশ ছিল। কামসূত্রে লেখক একধাপ এগিয়ে পুরাণ - সাহিত্যকে ছাপিয়ে ইতিহাস এবং সমসময়কেও উপন্যাসে এনেছেন। যুগের নিরিখে এগিয়ে এসেছেন বৌদ্ধযুগে।
চীনের আগ্রাসী রাজনীতি, তিব্বতের পরাধীনতার যন্ত্রণার ইতিহাস উপন্যাসে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। উপন্যাসে শরদিন্দুর ঐতিহাসিক উপন্যাসের প্রসঙ্গ আছে। আমি আর একবার ভিন্ন প্রসঙ্গে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করতে চাই। আমাদের কৈশোরক ফেলুদা মুগ্ধতা যে ব্যোমকেশ পাঠে মুক্তি পেয়েছিল, কারণ সেখানে সাদা কালোর বিভাজন রেখটা ক্রমশ আবছা হতে শুরু করেছিল। অপরাধীর অপরাধ প্রবণতার আড়ালে যে মানবিক অবস্থান তার ভাবনা ভাবতে ভাবতেই আমাদের বড়ো হওয়া। দেবতোষ কোথাও শরদিন্দুর ছেড়ে যাওয়া সূত্রকে তুলে নিলেন। ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং গোয়েন্দা উপন্যাস দুটি সূত্রকে গ্রন্থণ করলেন। তার সঙ্গে তৃতীয় সূত্র হিসেবে রবি চক্রবর্তী - কলিম খানের তত্ত্ব মিশিয়ে বিনুনিটি বাঁধলেন।
উপন্যাসের ভিতরের উপন্যাসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে, পুরোনো ভাষাভঙ্গি এমনকি ভিন্ন হরফ। সেখানে উল্লেখ আছে সময়কাল - স্থাননাম। একাদশ শতক। উজ্জয়িনী।
কিন্তু মূল অংশে উল্লিখিত আছে তারিখ - স্থান। কিন্তু সে তারিখ সালহীন। পাঠক দিনের হিসেব পাবেন, পাবেন না সময়ের সঠিক দিশা। এ কি সমসময়ের কথা বলছে, না কি অনতি ভবিষ্যৎ! রহস্য উদঘাটনের জন্য সালহীনতা গুরুত্বহীন হতে পারে কিন্তু তিব্বতিদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই.. যে লড়াইয়ের জন্য ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করছেন এক লামা - সিকিমের প্রত্যন্ত গুম্ফায় বসে। সেই অপরাধ অপরিসীম নাকি মনোকষ্ট? তাঁর কণ্ঠে শাক্যমুনির বাণীর সঙ্গে মিলে মিশে যাচ্ছে শঙ্খ ঘোষ ..ভবিষ্যৎ আমাদের৷ আগামী একশ বছর আমরা লড়াই করবো! ব্যাভিচারী তুমি, তুমি যেখানেই যাও আমি যাবো,... যুগকাষ্ঠ, ঈশ, চক্র, চক্রনাভি, আসন - সব মিলিয়ে যেমন রথ তেমনই রূপ- বেদনা - সংস্কার - বিজ্ঞান সব মিলিয়ে আমি... বৌদ্ধ দর্শনে 'আমি' ব্যক্তিসত্তার পিছনে কোনো আত্মা নেই....আমি নামরূপ ছাড়া কিছুই নয়... আমারই পাঁজর ভেঙে যদি শুধু মশাল জ্বালাও, আমার করোটি নিয়ে ধুনুচি নাচাতে চাও যদি, তবু আমি কোনোদিন ছেড়ে যেতে দেব না তোমাকে, এক শতাব্দীর পরে আরেক শতাব্দী আরো এক, আমি যদি না-ও থাকি তবুও আমিই পড়ে থাকে!
বৌদ্ধধর্মের অহিংসার ধর্ম বুকে নিয়ে যেভাবে স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করতে চান দাওয়া লামা তা কি অহিংস! শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া দলাই লামাও কি জানেন না এ পরিকল্পনার কথা? বাধা তিনি কি দেবেন না যে কোনোরকম হিংসায়? কিন্তু হিংসা আমরা কাকে বলবো.. স্বাধীনতার লড়াইতে বিপ্লবীরা যখন বুলেটে বিদ্ধ করেছে নিজের হৃদয় - সেও কি হত্যা?
যা ঘটে তার বর্ণনা সাহিত্য নয়, যা ঘটতে পারে তাই-ই সাহিত্য। হয় তার অভিমুখ ইউটোপিয়ান। নতুবা ডিসটোপিয়ান। চিন - তিব্বত - ভারত জুড়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে কোথাও তো তেমন মুক্তির খোঁজ নেই। তাহলে কীসের আশাবাদ! সত্যিই হয়তো কখনও হিমালয় জুড়ে জ্বলে উঠবে আগুন। হিংসা যেমন আরো হিংসার জন্ম দেয়, তেমনই পরাধীনতার যে আগুন চাপা থাকে তা কখনও বার হয়ে আসতেও তো পারে!
ডিকে - রজত - নিবেদিতার সঙ্গে যখন নীলকন্ঠও এসে হাজির হয় কাহিনিতে, তখন মনে হয়, তবে কি কামসূত্র বিন্দুবিসর্গর ই ধারাবাহিকতা। না, তা নয়! আর নয় বলেই মনে হয়, নীলকণ্ঠর মতো মৌলবাদী মানুষের অভাব তো নেই, অন্য কেউ আসতে পারতেন রঙ্গমঞ্চে, না হলে কাকতালের সমারোহ বড়ো বেশি মনে হয়!
তিব্বত-চিনের এই সংঘাতের সূত্রে এসেছে তিব্বতি তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্ম আর বৌদ্ধ দর্শন। যার একটি ধারা গিয়ে মিলেছে একাদশ শতকের উজ্জয়িনীতে... বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের সন্ধ্যাভাষায় লিখিত চর্যাগীতিতে আর অপর ধারাটি কলকাতার সম্ভ্রান্ত ঘরের বালককে জ্যাংচুপ সেম্পা তথা বোধিসত্ত্ব করার চেষ্টায়। তার সঙ্গে পুরাণের বিনির্মাণে সিদ্ধহস্ত কবীর খানের কৃতিত্ব আত্মসাতের প্রচেষ্টা, অপহরণ।
মহর্ষি রবি চক্রবর্তী এবং মহর্ষি কলিম খান বিস্তারিত গবেষণা করেছেন পুরাণ - সাহিত্য পাঠ বিনির্মাণে। উপন্যাসে সে তত্ত্বের আরো খানিক বিস্তার কোনো কোনো পাঠকের আগ্রহের সঞ্চার ঘটাত নিশ্চিত। কিন্তু ঔপন্যাসিক সে বিষয়ে অতিসংযমী হয়েছেন। কামসূত্রের সূত্রে কর্মসূত্র এবং কামদেব - রতি - রতিবিলাপের ব্যাখ্যাকে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান থেকে চারিয়ে দিয়েছেন বর্তমান কাল পর্যন্ত। রহস্য কাহিনীর রসভঙ্গ না করেই এই তত্ত্বব্যাখ্যা এবং তিব্বত - চিনের রাজনৈতিক ইতিহাস আর বৌদ্ধ লোক গল্প - আচার অনুষ্ঠানের বর্ণনা উপন্যাসটিকে নিছক থ্রিলার ফিকশন এ আবদ্ধ রাখে নি।
এ উপন্যাস পাঠের অভিজ্ঞতা বলাবাহুল্য যে কোনো থ্রিলার ফিকশন পাঠের চেয়ে আলাদা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ উপন্যাসের ভাষারীতি। একদিকে আধুনিক গদ্যরীতি - অন্যদিকে প্রাচীন বাংলা। সমান্তরালভাবে চলছে শব্দ নিয়ে খেলা। আধুনিক শব্দ - প্রাচীন শব্দ আবার তিব্বতি শব্দও। পরিচিত কোনো কবিতার লাইনে উঠে আসছে গদ্যে আবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে ' চিত্রক মানে চিতা বাঘ। কারো মনে পড়ে যাবে, 'কালের মন্দিরা' র চিত্রক বর্মাকেও। রবি চক্রবর্তী - কলিম খান ছাড়াও যেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় - শঙ্খ ঘোষের অন্তর্লীন উত্তরাধিকার সাবলীলভাবে বহন করে চলেছেন লেখক।
আধুনিক বাস্তববোধের নিরিখে শেষ পর্যন্ত থ্রিলার সুলভ সমাধান ঘটেছে সমস্যার। কিন্তু কোথাও কোথাও যেন কিছু মায়া রয়ে গেল... পাঠক কি সত্যি সত্যিই সব প্রশ্নের উত্তর পেল! বরফচিতা কেতুর আচরণের ব্যাখ্যা কি জীববিজ্ঞানসম্মত? এ তো লেখকের অজ্ঞানতাবশত নয়.. সচেতন নির্মাণ। বিস্তৃত দেবতাত্মা নগাধিরাজের অন্দর - কন্দরের সব রহস্য কি আর উদঘাটন - উন্মোচনযোগ্য! ডিকে র মুচকি হাসিতে তারই ইঙ্গিত হয়তো বা! কারো কারো যাত্রাপথে তাই লেগে থাকে বাঘের গায়ের গন্ধ! না কি রহস্যময়তার?
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.