বাবার বদলির চাকরির সূত্রে শৈশবের স্কুল থেকে কলেজ জীবনটা কেটেছে গ্রামে, আধা শহরে। প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠতে গিয়ে ঘাস পাতা পোকা-মাকড়, পাক-পাখালি আর কাঁকড়া-চিংড়ির সঙ্গে বালিকাবেলাতেই জড়িয়ে পড়া, যে সম্পর্ক পরিণত জীবনে আরও পোক্ত হয়েছে। সুদীর্ঘকাল জঙ্গলজীবীদের সঙ্গে থেকে জঙ্গল চেনা আর জলজ প্রাণী নিয়ে গবেষণার কারণে সুন্দরবন তার কাছে হাতের তালুর মতো পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে ‘দেশ’ পত্রিকায় কবিতা, ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় সুন্দরবনের গল্প লিখেছেন, আনন্দবাজার পত্রিকা, আনন্দমেলায় সুন্দরবন বিষয়ক প্রতিবেদন, পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের মুখপত্র বনবীথি পত্রিকায় নানা সময়ে সুন্দরবন নিয়ে নানা প্রবন্ধ; এছাড়াও যারা পরিযায়ী, যারা যাযাবর সহ অসংখ্য পত্র পত্রিকায় সুন্দরবন সম্পর্কিত অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আজও তিনি সুন্দরবন ছেড়ে কলকাতায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসতে পারেননি। ভয়াবহ লকডাউন পর্ব থেকেই সুন্দরবন জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম ঝড়খালিতে স্কুল ছুট ছোটদের নিয়ে “মিতার পাঠশালা” নামে এক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি নিজের জীবন বোধ তাদের মধ্যে চারিয়ে দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এসব নিয়েই বেঁচে আছেন। কবিতা গল্প গানের অনুপ্রেরণা তাঁর সেখান থেকেই।
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.