নবীনচন্দ্র সেন
‘কবিরা কালের পক্ষী, কালের শিক্ষক / কবিতা অমৃত, আর কবিরা অমর।’
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলা সাহিত্যে কাহিনিকাব্য বা মহাকাব্যের রচনাকার হিসেবে মধুসূদন দত্ত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবীন চন্দ্র সেনের নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়। নবীনচন্দ্রের কাব্য অবদান সংখ্যায়, আয়তনে, গুরুত্বে অসাধারণ হলেও বাংলা সাহিত্যে স্বল্পালোচিত রয়ে গিয়েছেন তা সত্ত্বেও নবীনচন্দ্রের কবি-প্রতিভা ও কাব্য-সৃষ্টির অবিনশ্বরতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সংশয়ের অবকাশ থাকে না।
চট্টগামের জমিদার পরিবারের সন্তান নবীনচন্দ্র সেন ( ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৭ - ২৩ জানুয়ারি, ১৯০৯) চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশের পর ১৮৬৫ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি থেকে এফএ এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইন্সটিটিউশন (স্কটিশচার্চ কলেজ) থেকে ১৮৬৯ সালে বিএ পাশ করেন।
নবীনচন্দ্রের জীবনব্যাপী কাব্যচর্চার ফল বারোটি কাব্যগ্রন্থ। তা ছাড়া অনুবাদ এবং অন্যান্য গদ্য রচনাও আছে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ অবকাশরঞ্জিনী। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ পলাশির যুদ্ধ । স্বদেশপ্রেমকে আকর করে রচনা করা ‘পলাশির যুদ্ধ’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নবীনচন্দ্র ‘বাংলার বায়রন’ নামে প্রসিদ্ধি অর্জন করে। রৈবতক, কুরুক্ষেত্র, প্রভাস- নবীনচন্দ্রকে অক্ষয় কবি-যশের অধিকারী করছিল। এই কাব্যত্রয়ই তাঁর অন্যতম কীর্তিসৌধ।