সাদা মানুষদের
বড়ই দুর্দশা। তাদের ঘাড়ে বিশাল বোঝা। সভ্যতার আলো নিয়ে যেতে হবে পৃথিবীর
অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশে সেখানে আবার অসভ্য কালো মানুষের বাস কিন্তু সেখানে আছে
অফুরন্ত জমি, সুন্দর
চাষ করা যায়, ফলে সোনার ফসল, মাটির
তলাতেও রয়েছে সোনা, হিরে আরও কত কি! অজস্র হাতি মেলে যাদের
মারলেই মেলে বিশাল বিশাল দাঁত যা সাদা মানুষদের কাছে পরম রমণীয়। আরও যে কত কি
মেলে সেখানে। প্রায় নিখরচায়। সমর্থ নারী পুরুষ ধরে চালান দাও বিভিন্ন দেশে।
পয়সা আর পয়সা, সাদা মানুষ লাল হয়ে যায়। ওখানকার মানুষ
বন্দুকের ব্যবহার জানে না, জানা নেই সভ্যতার মারপ্যাঁচ।
প্রতিরোধ কে করবে আগ্নেয়াস্ত্র সম্মুখে! একটু অসুবিধে হয় বটে যখন দাসপ্রথা বন্ধ
হয়। কিন্তু সেটা ক্ষণিকের জন্যে। উর্বর ইংরেজ মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসে
চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকের ধারণা। এই কলকাতার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে গঙ্গার সুরিনাম ঘাট থেকে
চালান যায় অজস্র সমর্থ নারী পুরুষ তাদের বাসস্থান-জন্মভূমি-পরিচিত জায়গা থেকে
চিরতরে। বিহার-উত্তরপ্রদেশ-সুন্দরবন একাকার হয়ে যায়। ইউরোপের সমস্ত সভ্য দেশের
বিবেক কম্পমান হয়নি তখন। সময় যায়। আফ্রিকার চুয়ান্নটি দেশের মধ্যে সাতাশটিকে
হীরেন প্রথম দেখেছেন কর্মসূত্রে। তারপর একদিন নিজের অজ্ঞাতে সে সব দেশ আর আর সেই
মানুষেরা হয়ে উঠেছেন তাঁর একান্ত আপন। আমার আফ্রিকার পাতায় পাতায় তাঁদেরই
স্মৃতি চারণা।
পাঠ-প্রতিক্রিয়া (
1)
আলোচনা
ভাল লাগার অনুভব চিহ্নে বা ভাষায় ব্যক্ত করুন
দারুণ
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া
SM
by
Shilpa Mondal
16 August, 2023
বইটি পড়ে , আফ্রিকা নিয়ে অনেক ভুল ধারণার অবসান ঘটল।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া