হেমেন্দ্রকুমার রায় তাঁর ‘অমৃত-দ্বীপ’ উপন্যাস প্রসঙ্গে লিখেছিলেন- ‘গোড়ায় একটুখানি গৌরচন্দ্রিকার দরকার। যদিও অমৃত-দ্বীপ নতুন উপন্যাস, তবু এর কাহিনি আরম্ভ হয়েছে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত ড্রাগনের দুঃস্বপ্ন নামে উপন্যাস থেকে। বিমল, কুমার, জয়ন্ত, মানিক ও ইনস্পেকটর সুন্দরবাবু কয়েকটি রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের তদ্বিরে নিযুক্ত হয়ে তাও ধর্মমতের প্রবর্তক প্রাচীন চিনা সাধক লাউ-ৎজুর জেড পাথরে গড়া একটি ছোট প্রতিমূর্তি এবং অমৃত-দ্বীপে যাওয়ার একখানি ম্যাপ হস্তগত করে। খ্রিষ্ট জন্মাবার ছয়শত চার বৎসর আগে চিনদেশে লাউ-ৎজুর আবির্ভাব হয়।
চিনদেশের প্রাচীন পুথিপত্রে প্রকাশ, তাও সাধুদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপ আছে, তার নাম অমৃত-দ্বীপ। সেখানে সিয়েন অর্থাৎ অমররা বাস করে। সেখানে অমর-লতা জন্মায়, তার অমৃত-ফল ভক্ষণ করলে মানুষও অমর হয়। যারা তাও ধর্ম গ্রহণ করে তাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, অমৃত-দ্বীপে যাওয়া। আর, সেখানে গেলে লাউ-ৎজুর মন্ত্রপূত প্রতিমূর্তি সঙ্গে থাকা চাই…’
‘অমৃত-দ্বীপ’ উপন্যাসটি ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে বিমল-কুমারের সঙ্গী হয় জয়ন্ত-মানিক, সুন্দরবাবু, রামহরি এবং বাহাদুর কুকুর বাঘা।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া