‘ফোকলা দিগম্বর’ (১৯০০) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের
একটি উল্লেখযোগ্য হাস্যরসাত্মক উপন্যাস। উপন্যাসের হাস্যরস জমে উঠেছে দিগম্বর ও দিগম্বরীকে
কেন্দ্র করে। উপন্যাসের নামকরণে যে কৌতুক আছে কাহিনির মধ্যে লেখক তাকেই অনুসরণ করেছেন।
স্বামী-স্ত্রী দুজনের আচরণই আমাদের কৌতুকরসস্নিগ্ধ করে। যদিও এই কৌতুকে ব্যঙ্গের খোঁচা
নেই, আছে নিছক কৌতুক। হাস্যরসাত্মক উপন্যাস হলেও উনবিংশ শতকে নারীর সামাজিক অবস্থানের
নিখুঁত বর্ণনা রয়েছে এই উপন্যাসে। ‘ফোকলা দিগম্বর’-এ হাস্যের অধরে রয়েছে অশ্রুরেখা।
তৎকালীন সামাজিক গোঁড়ামিতে হীরালাল-কুসুমের বৈধ বিবাহ স্বীকৃতি পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়
ছিল। পাকচক্রে হীরালাল উপস্থিত না হলে হয়ত কুসুমকে ফোকলা দিগম্বরের গলায় বরমাল্য দিতে
হতো। ত্রৈলোক্যনাথ সমাজের যে ছবি এঁকেছেন সেখানে নারীর ইচ্ছার
কোনো দাম নেই। নারীর ইচ্ছাকে প্রতিষ্ঠিত করতে লেখককে রচনা করতে হয়েছে স্বতন্ত্র পরিমণ্ডল
কিংবা উপযোগী কথাবিষয়। অসহায় নারীর করুণ দীর্ঘশ্বাস ‘ফোকলা দিগম্বর’-এর পরতে পরতে।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া