শিবরাম চক্রবর্তীর
‘গোয়েন্দা কল্কেকাশি’ আদতে কোরিয়ার লোক,
জাপানি গোয়েন্দা হুঁকাকাশি’র ভায়রাভাই। কামাস্কাটকা ভাষা
ছাড়াও বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি এবং কোনও কোনও জানোয়ারের ভাষাও কল্কেকাশির আয়ত্ত।
বিপুল বপু কল্কেকাশি খেতে ভালবাসেন। শখের গোয়েন্দা সখ্যের খাতিরে নানা রহস্যের সমাধান করে দেন। চোরকে ছেঁচড়ে আনেন, ডাকাতকে কাত করেন, খুনির কিনারে না গিয়েও খুনের
কিনারা করেন। জানাজানি হওয়ার আগেই রাহাজানির সুরাহা করেন। এই
নামজাদা কোরিয়ান গোয়েন্দা কল্কেকাশি আপাতত কলকাতার অদূরে ডায়মন্ড হারবার রোডের একখানা বাড়িতে বাস করেন।
কল্কেকাশির প্রথম গল্প ‘টিকটিকির ল্যাজের দিক’ ‘মৌচাক’ পত্রিকার পৌষ ১৩৫৬ সংখ্যা প্রকাশিত হয়, মাঘ সংখ্যায় প্রকাশিত
হয় দ্বিতীয় গল্প ‘সূত্র’। এছাড়া অন্যান্য গল্পগুলি হল ‘কল্কেকাশির কাণ্ড’, ‘কল্কেকাশির অবাক কাণ্ড’,
এবং ‘ইতরবিশেষ’। ‘কল্কেকাশির
অবাক কান্ড’ গল্পে শিবরামের অপর
বিখ্যাত চরিত্র হর্ষবর্ধন ও গোবর্ধনকেও দেখা যায়।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া