ইহুদি পাঁজির হিসেবে পৃথিবী তৈরি হয়েছে খ্রিস্ট পূর্ব ৩৭৬১ সালে। অতএব এখন চলছে সন ৫৭৮৩। ইহুদি রসিকতার বয়স মেরেকেটে আড়াইশো বছর। কোন কাব্য কাহিনি অথবা ধর্ম গ্রন্থে তার সন্ধান পাওয়া যাবে না। এই রসিকতার জন্ম হয়েছে ইউরোপের পথে প্রান্তরে যেখানে সব দরজায় যা খেয়েও ইহুদি বাঁচতে চেয়েছে আরেকটা দিন।
কোনটা নিছক ভাঁড়ামো, কোনটা কৌতুক আর কিসের ভিতর লুকিয়ে আছে গভীর আত্মনিগ্রহ সেটা পাঠক বুঝবেন। ফ্রয়েড বলেছেন ইহুদি রসিকতা একটা কঠোর দুঃখকে অনায়াসে লুকিয়ে রাখতে পারে মস্করার মোড়কে। ইহুদি রসিকতার স্রষ্টা ইহুদি, লক্ষ্য মূলত ইহুদিরাই। বিষয় তাদের নির্বুদ্ধিতা, লোভ, অভাব, চাতুরী। তারা কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, সে ধনী হোক বা রাবি হোক।
এই রসিকতার ভাষা ইদিশ যা মূলত গড়ে উঠেছে জার্মান, কিছু হিব্রু ও স্লাভিক শব্দ দিয়ে। আমরা যেন ভুলে না যাই ইহুদিদের ওপর সামগ্রিক অত্যাচার নাৎসিরা শুরু করে নি। তার ইতিহাস দেড় হাজার বছরের পুরনো। অত্যাচার মানে পেটানো, খ্যাদানো, পোড়ানো আরম্ভ হয় খ্রিস্ট ধর্মের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। এক রবিবার গ্রামবাসীরা গির্জে থেকে বেরিয়ে ইহুদিদের শাসালো- এই মাত্র জানলাম তোমরা আমাদের প্রভুকে মেরেছো। আমরা দেখে নেব। গাঁও বুড়ো বললেন আমরা সবাই একই গ্রামে থাকি সেই আমাদের একটি মাত্র সুখ। কবে কোথায় কি ঘটেছে তাতে আমাদের কোনো হাত নেই। তা নিয়ে আজ মারামারি কেন? কে শোনে কার কথা! সে সব ঝামেলা তো কবে তামাদি হয়ে গেছে। তবু।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া