‘নবাঙ্কুর’ উপন্যাসের বুননে আত্মজৈবনিক গঠন লক্ষণীয়। সামন্ততান্ত্রিক-পিতৃতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় নারীসত্তার বহুমাত্রিক নিপীড়ন ও প্রান্তিকায়নকে যথাযথ শনাক্তকরণ এবং নারী অধিকারের লড়াই ও সামগ্রিক অবস্থার উত্তরণের প্রশ্নেই ‘নবাঙ্কুর’ উপন্যাসের শিকড় সন্ধান। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ‘ছবি’র সত্যিকার অর্থে মানুষ হয়ে ওঠার বাস্তব কাহিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশিত হয়েছে। ‘ছবি’র আত্মজৈবনিক স্থাপত্য নির্মাণ করতে গিয়ে সুলেখা সান্যাল ‘ছবি’র উৎস ও প্রেক্ষাপট গড়ে দিয়েছিন কুসুমপুর, রায়বাড়ি, বিশেষ করে মা মমতার মধ্য দিয়ে। ‘নবাঙ্কুর’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা ১৩৬২ সালে শারদীয় ‘মধ্যবিত্ত’ পত্রিকায়। ওই বছরই ‘নবাঙ্কুর’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া