জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুরের পত্নী কাদম্বরী দেবীর সাহিত্যপ্রীতির খোঁজ মেলে রবীন্দ্রনাথের লেখাতে।
বিহারীলাল ছিলেন কাদম্বরীর প্রিয় কবি। ‘আর্য দর্শন’ পত্রিকায় বিহারীলালের
‘সারদামঙ্গল’ তখন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই কাব্য নিয়ে কাদম্বরীর মুগ্ধতার কথা জেনেছিলেন বিহারীলাল। কাদম্বরী নিজের হাতে একটি সুন্দর আসনও বুনে দিয়েছিলেন প্রিয়
কবিকে। সেই আসনের মাঝখানে কাদম্বরী বিহারীলালের
কাব্য ‘সারদামঙ্গল’ থেকে উদ্ধৃত করেছিলেন, ‘হে যোগেন্দ্র!
যোগাসনে/ ঢুলু ঢুলু দু- নয়নে/ বিভোর বিহ্বল মনে কাঁহারে ধেয়াও?’
উদ্ধৃতিটির শেষে
ছিল প্রশ্নচিহ্ন। বিহারীলালের
উত্তর দেওয়া হয়নি। এর মাঝে ঘটে ভয়ংকর বিপর্যয়। কাদম্বরীর
মৃত্যু বিহারীলালকে ব্যথিত করেছিল। বিহারীলাল ‘সাধের আসন’-এর উৎসর্গপত্রে ‘সারদামঙ্গল’-এর মুগ্ধ পাঠিকাকে স্মরণ করে
লিখেছিলেন, ‘উত্তর লিখিব বলিয়া, প্রতিশ্রুত
হইয়া আসি এবং বাটীতে আসিয়া তিনটি শ্লোক লিখি। কিছুদিন গত হইলে উত্তর লিখিবার কথা
একপ্রকার ভুলিয়া গিয়াছিলাম। এই আসনদাত্রী দেবী এখন জীবিত নাই। তাঁহার মৃত্যুর পর
উত্তর সাঙ্গ হইয়াছে। এই ক্ষুদ্র খণ্ডকাব্যের উপহৃত আসনের নামে নাম রহিল— ‘সাধের
আসন’।
‘সাধের আসন’ ফাল্গুন
১২৯৫ থেকে মাঘ ১২৯৬ মাস
পর্যন্ত ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া