রবি সেন ১৮-১৯ বছর বয়সে সুন্দরবনের একটি অন্তরীপে এক কৃষি
খামারে দপ্তরবাবু হয়ে পৌঁছন। বিদ্যাধরী ও পাঠানখালি দিয়ে ঘেরা দ্বীপ
সূর্যবেড়িয়ার গাংভেরী, হেঁতালের সারি, শাংখাল-খেতপাতি-কিষান-কিষানী,
মাতলা-বাসন্তী, পুরন্দরের মুখ সবার সঙ্গে ধীরে
ধীরে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন তিনি ক্রমে। সেখানে ঘোর আঁধারে নোনা জলে আগুন জ্বলে। ভাটার
মুখে জল কেটে দ্বারিক সর্দার নৌকো লাগায়। গ্যারাপি ফেলে। একটা রাতচরা পাখি ডানায়
শব্দ জাগিয়ে উড়ে যায়। তখন মাথার ওপর বাঘের চোখের মতো চকচকে চাঁদ ওঠে। সেই চাঁদ
যেন ভেটকির একটা আস্ত আঁশ।
তারপর একদিন ওই অন্তরীপ থেকে আবার তিনি ছোট শহরে ফিরে
আসেন। মধ্যরাত্রির স্বপ্নের উন্মাদনায় উপন্যাস লিখতে বসেন। আর শব্দের সঙ্গে শব্দ
জুড়ে,
জুড়ে, জুড়ে
হয়ে উঠতে শুরু করে লেখক রবি সেনের প্রথম উপন্যাস ‘সূর্যবেড়িয়ার
কড়চা’।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া