কোবাড ঘান্দী
কোবাড ঘান্দী দুন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। মুম্বাইয়ে কেমিস্ট্রি নিয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রি পাশ করে ১৯৬৮ তে তিনি পাড়ি দিয়েছেন লন্ডনে চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু সেখানকার বর্ণবৈষম্য তাঁর মনে প্রবল সংঘাত তৈরি করে। তিনি ঝোঁকেন ব্রিটেনের কমিউনিস্ট ধারার রাজনীতির দিকে। একটি প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন, শিকার হন পুলিশি নিগ্রহ এবং বর্ণ বিদ্বেষের। এই ঘটনা তাঁর জীবনের দিশা বদলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হবার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে ১৯৭২-এ ভারতে ফিরে নিপীড়িত মানুষের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
মুম্বাই ফেরার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট গোষ্ঠীর কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানেই তাঁর প্রথম দেখা হয় অনুরাধার সঙ্গে, পরবর্তীকালে তাঁরা পরস্পরের জীবনসঙ্গী হবেন। তাঁরা দুজনেই সক্রিয়ভাবে দলিত, শ্রমিক শ্রেণী এবং যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে কাজ করতেন। ১৯৭৭-এ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর তাঁরা নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। শ্রমজীবী এবং দলিতদের মধ্যে থেকে তাঁদের সংগঠিত করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা নাগপুরের দলিত বস্তি ইন্দোরাতে থাকা শুরু করেন।
সেপ্টেম্বর ২০০৯-এ কোবাড ঘান্দী গ্রেপ্তার হন। প্রায় ১ দশক ভারতের বিভিন্ন জেলে বিচারাধীন বন্দী থাকার পর ২০১৯-এর অক্টোবরে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।