অমিতাভ দাস
অমিতাভ দাস কবি হিসেবে সাহিত্য জীবন শুরু করলেও কবিতার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অণুগল্প, ছোটোগল্প ও প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত বই ৩৫ টির বেশি। পেয়েছেন বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ পুরস্কার, সুতরাং সাহিত্য সম্মান, কলম সাহিত্য সম্মান, কালদর্পন সাহিত্য সম্মান, টেগোর ভিলেজ সাহিত্য পুরস্কার, অনিলা দেবী সাহিত্য পুরস্কার।
অবগুণ্ঠন সাহিত্যপত্রটির সম্পাদনা করে আসছেন ১৯৯৬ সাল থেকে। উল্লেখযোগ্য কবিতার বই— রাধিকা অথবা কুসুম, রাতের জার্নাল, সব ধুলো হয়ে আছে, শরীর শরীর আলো, সেতার ভিজছে জলে, অ্যাকোয়ারিয়াম, অমিতাভ উবাচ, নির্বাচিত ১০০। ছোটোদের জন্য লেখা গল্পের বই গাছবন্ধু, গ্রহের নাম প্যাংটিটলো। ছোটোগল্পর বই গল্প আমার অল্প (অভিযান-২০১৭), বিষাদ-সুন্দরী ও লালপদ্ম (সুতরাং--২০১৯)। এই বইটির জন্য অনিলাদেবী সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ২০২১ সালে। ২০১৯-এ শ্রমণ পত্রিকা দিয়েছে সেরা গল্পকার সম্মান। দেশ, যুগশঙ্খ, নন্দন, সুখবর, এই সময়, জাগোবাংলা, কৃত্তিবাস, উৎসব, কথা সাহিত্য, তথ্যকেন্দ্র, অনুবাদ পত্রিকা, উদ্বোধন, কবি সম্মেলন, রক্তমাংস সহ দেশ-বিদেশের নানা কাগজে লেখা প্রকাশিত হয়।
নেই মানুষের গল্প অমিতাভ দাসের চতুর্থ অণুগল্প গ্রন্থ। গত চার-পাঁচ বছরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। পাঠকের কাছ থেকে উচ্চ প্রশংসিত। যুগশঙ্খ, শতানীক, হাইওয়ে, অভিব্যক্তি, কৌণিক, ফোনগল্পের আাসর, নবাবী, ইসক্রা, তথ্যকেন্দ্র, কথামালা, জাগোবাংলা প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অমিতাভের অণুগল্প। 'চিনি' গল্পটির জন্য 'সুরজিৎ ও বন্ধুরা কবিতা ক্লাব' থেকে পেয়েছেন সেরা গল্পকার সম্মান। অণুগল্প নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণামূলক কাজ করে চলেছেন।