‘আমার আত্মকথা’র
গৌরচন্দ্রিকায় বারীন ঘোষ এই গ্রন্থ সম্পর্কে
বলেছিলেন- “জন্ম থেকে বরোদার জীবন অবধি এ জন্মকথা এখনও বলা হয় নি,
এ অংশটুকু সেই সময়ের কাহিনী।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দ্বীপান্তর থেকে ফিরে বারীন ঘোষ তাঁর বিপ্লবী জীবনের কাহিনি তিন ভাগে
লেখার পরিকল্পনা করেন তার শেষ পর্ব ‘দ্বীপান্তরের কথা’ প্রথম
প্রকাশিত হয় পরে বিজলী পত্রিকাতে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং প্রথম পর্ব অর্থাৎ ‘দ্বীপান্তরের পথে’ এবং ‘বোমার যুগের কথা’ ধারাবাহিক
ভাবে প্রকাশিত হয়। ‘আমার আত্মকথা’ প্রকৃতপক্ষে তাঁর প্রথম জীবনের কথা। তাঁর নিজের কথায়
“…আমার জীবনের গতি চিরদিনই বাঁধা পথের বাইরে চলেছে, আমি স্বভাব-বিদ্রোহী। যাদের নিয়ে এই সব খেলা চলেছিল তাদের অনেকে এখনও
জীবিত। তবু যতদূর বলা যায় সবই অকপটে বলবো, নিজেকে চূণ-কাম
করে সাদা দেখাবার কোন প্রয়াসই এতে থাকবে না। আমি নীতিশাস্ত্রটা একটা উপসর্গ বলে
মনে করি, শক্তিমানের জন্যে ও-শাস্ত্রটা আদৌ নয়, আর লোকমতের ভয় আমার কাছে বড় হীনতার ও লজ্জার কথা মনে হয়। লোকের আমি
ধারি কি? যারা পরের বিচার করে তারা নিজেরা ক’জন নিখুঁৎ?
নিজের পাপটি লুকিয়ে মানুষ পরের ঠিক সেই পাপেরই সাজা দিতে উদ্যত হয়,
এই তো সর্ব্বত্র দেখে আসছি। যার সতীত্বের বড় জাঁক ও আড়ম্বর সে
হচ্ছে চিরদিনই সব জায়গায় দীঘল-ঘোমটা নারী।”
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া