চাটুকারি ও তোষামোদি করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি আর আকাঙ্ক্ষাকে চরিতার্থ করার যে প্রবণতা— তারই সরল ব্যঙ্গাত্মক কাহিনি রবীন্দ্রনাথের ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’ (১৩০৩ বঙ্গাব্দ)। বৈকুণ্ঠ একজন শখের লেখক, অবিবাহিত ছোট ভাই অবিনাশ, বিধবা কন্যা নিরুপমা ও দীর্ঘদিনের চাকর ঈশানকে নিয়ে বাস করেন। বৈকুণ্ঠের লেখার বিষয়বস্তু মূলত সঙ্গীত এবং প্রাচ্য-প্রাশ্চাত্যের সঙ্গীত শাস্ত্রের উৎপত্তি ও ইতিহাস। তবে সংসারের নানা টানাপোড়েনে সহজ সরল ও উদার প্রকৃতির মানুষ বৈকুণ্ঠের লেখা শোনার ব্যাপারে পরিবারের সদস্যদের উদাসীনতা রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধূর্ত ও সুযোগসন্ধানী কেদারের আবির্ভাব ঘটে, যে তোষামোদ করে বৈকুণ্ঠের লেখা শোনার ভান করে। তার মন জয় করার চেষ্টা করে। উদ্দেশ্য তার অবিবাহিত শ্যালিকার সঙ্গে বৈকুণ্ঠের ছোট ভাই অবিনাশের বিয়ে দিয়ে বৈকুণ্ঠের বাড়িতেই আত্মীয়-পরিজন বেষ্টিত হয়ে বসবাস করা এবং শেষ পর্যন্ত তাই ঘটে।
বৈকুণ্ঠের খাতা ১৩০৩ বঙ্গাব্দে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। পরে গদ্যগ্রন্থাবলির ‘প্রহসন’ খণ্ডে গোড়ায় গলদের সঙ্গে মুদ্রিত হয়।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া