গল্প হচ্ছে এক ধরনের পরী সারাক্ষণ চারপাশে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, সেই ডানা কখনও রঙিন কখনও ধূসর। তার উড়ার সময় ডানায় সাঁই সাঁই শব্দ হয়, সেই শব্দ ঘুরে বেড়ায় আকাশে বাতাসে চরাচরে, সেই ডানার শব্দ লেখকের সাড় ফেরে, লেখক হাতে তুলে নেন কলম। লেখক তখন অনুভব করেন কী এক অলৌকিক স্পর্শ তাঁর ভিতরে জাগিয়ে তুলছে সৃজনশীলতা। পৃথিবীর মানুষ সততই ক্রিয়াশীল, তারা সারাক্ষণ কিছু না কিছু করে, কিছু না করলেও সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভাবে। তাদের ভাবনায়, তাদের ক্রিয়াকর্মে চারপাশে অসংখ্য ঘটনার জন্ম হয়। এইসব ভাবনা, এইসব ঘটনা বাতাসে উড়তে থাকে, উড়তে উড়তে একসময়, ওই যে বললাম গল্পের পরী হয়ে যায়। লেখক যখন কলম নিয়ে লিখতে বসেন টেবিলে, তাঁর কলমে এসে ডানা মুড়ে বসে সেই সব পরীরা। আসলে গল্পের পরীরা এরকমই রহস্যময়ী। তার খোঁজ সবাই পায় না। পরীরা উড়তে উড়তে কখন যে কলমের ডগায় এসে ডানা মুড়ে বসবে তা কেউ জানে না। লেখকের মনন ঋদ্ধ হলে তবেই কখনও হঠাৎ-হঠাৎ ডানায় সাঁই সাঁই শব্দ তুলে এসে ডানা মুড়ে বসে কলমে, কলম তখন একটা তুলি হয়ে যায়। তুলিটি তখন ছবি আঁকতে থাকে সাদা পৃষ্ঠার উপর।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া