যে দুটি ঋতু রবীন্দ্রনাথকে সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছিল, সেই বর্ষা ও বসন্ত, দুটিই সৃষ্টির সময়। প্রথমটিতে ক্ষেতখামার ভরে ওঠে ফসলে অন্যটিতে পুষ্পশোভিত ও পত্রমুখরিত হয়ে ওঠে বৃক্ষরাজি। এই দুই ঋতুতে প্রকৃতির সৃষ্টির ভাণ্ডার তৃপ্তিতে পূর্ণতা পায়। কবিও তাঁর হৃদয় উজাড় করে সৃষ্টিকালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রবীন্দ্র-সৃষ্টির অফুরন্ত সম্ভারের মধ্যে ‘বসন্ত’ (১৯২৩) গীতিনাট্য অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ এই গীতিনাট্যটি উৎসর্গ করেছিলেন কবি নজরুলকে। নজরুল তখন আলীপুর জেলে বন্দী।
রাজা ও তাঁর সভাকবির কথোপকথনের মাধ্যমে গীতিনাট্যটি শুরু হয়। বছরের শেষ, রাজকোষ প্রায় শূন্য। রাজা তাঁর সভাসদগণের দাবি এড়াতে রাজসভা থেকে পালিয়ে এসেছেন তাঁর সভাকবির কাছে, একান্তে কিছু সময় কাটাতে। কবি এদিকে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন উপলক্ষ্যে মঞ্চস্থ করতে চলেছে একটি গীতিনাট্য। তার এই গীতিনাট্যটি কবি সাজিয়ে তুলেছে ফুল, ঝরাপাতা, বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাস, ঘরের কোণের দ্বীপশিখা এবং স্বয়ং ঋতুরাজ বসন্তের গানে। সভাকবির এই গীতিনাট্যই রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য ‘বসন্ত’-র মূল আধার।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া