সম্পাদক: প্রচেতা ঘোষ ও তাপস ঘোষ
প্রকাশক: জারি বোবাযুদ্ধ
“আমি প্রায়ই বলি হ্যামলেটের চেয়ে অশ্লীল উপন্যাস আমি আর পড়িনি। মেয়েকে বাবা আর আমার উপন্যাসে এমন কী বলল! হ্যামলেটই মাকে বলতে পারে এখনও বাবার বীর্য বেডকাভার থেকে শুকোলো না এর মধ্যেই তুমি কাকার সঙ্গে শুয়ে পড়লে সেখানে? ‘ফ্রেয়লটি, দাই নেম ইজ উওম্যান’। এর ধারেকাছেই লাইনগুলো আছে, যদি কেউ এরকম ভাবে পড়তে না চায় তো পড়বে না। গুইল্ডেনস্টার্ন হ্যামলেটের বাল্যবন্ধু। তাকে পাঠিয়েছে কাকা, হ্যামলেট পাগল কিনা দেখতে। তখন হ্যামলেট বাঁশি বাজিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ থেমে হ্যামলেট বলল, বল তো বাঁশিতে কটা ফুটো? বন্ধু আমতা আমতা করছে। তখন হ্যামলেট বলল, বাঞ্চোৎ, বাঁশিতে কটা ফুটো জানিস না আর হ্যামলেটে কটা ফুটো জানতে এসেছিস? তুমি যদি আমায় বলো ‘বাঞ্চোৎ’ শব্দটা নেই, তাহলে আমি নেই। আমাকে যদি গদ্য অনুবাদ করতে দেওয়া হয় হ্যামলেট, তাহলে আমি ওই ‘বাঞ্চোৎ বাঁশিতে কটা ফুটো’ই অনুবাদ করব।”
প্রচেতা ঘোষ ও তাপস ঘোষ সম্পাদিত জারি বোবাযুদ্ধ পত্রিকার ২০০৩ সংখ্যার সূচিতে উদয়ন ঘোষ ও সুবিমল মিশ্রের গল্প ছাপা হয়েছিল। চলচ্চিত্রকার পাসোলিনি ও গোদার নিয়ে লিখেছিলেন ধীমান দাশগুপ্ত ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। আর পত্রিকার শুরুতে ছিল সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বিষয়ক ক্রোড়পত্র, যাতে ছিল সন্দীপনের বইয়ের দেবেশ রায়কৃত আলোচনা ও সন্দীপনের একটি সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অদ্রীশ বিশ্বাস। উপরোক্ত উদ্ধৃতি, ওই সাক্ষাৎকারের অংশ, নজরটানের জন্য ব্যবহৃত হল।
এই ই বই, কেবলমাত্র ই লাইব্রেরির সদস্যদের জন্য।
দারুণ
যাঁরা বাংলা ভাষায় "পণ্য সাহিত্যের বিরোধীতা"-র মনোভাব মনেপ্রাণে বহন করেন, তাঁরা অনেকেই 'জারি বোবাযুদ্ধ' পত্রিকাটির সঙ্গে অল্পবিস্তর পরিচিত। এই তল্লাটে পরিকল্পিতভাবে রীতির কোনো স্থান নেই, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে প্রতিটা সংখ্যার মতো এই সংখ্যাটিও যথারীতি চমৎকার এবং গতিব্যঞ্জক। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের যে বিস্তাররিত সাক্ষাৎকারটি এই সংখ্যায় রয়েছে, সেটি প্রায় মৌলিক সাহিত্যের মর্যাদার দাবিদার; সন্দীপন অকপটে নিজের বোধ ও বাতাবরণকে নগ্ন করে সাহিত্যনির্মাণের মূলে থাবা বসান। সেই কারণেই হয়তো এই সংখ্যায় অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধ 'সন্দীপনের স্বতন্ত্রভাবে রাষ্ট্র'-তে দেবেশ রায় বলতে পারেন, " সন্দীপন আমাদের একমাত্র লেখক যে নিজেকে যেমন দেখাতে চায়, তেমন দেখিয়ে গেল"। এছাড়া আছে উদয়ন ঘোষের দুটি অপূর্ব লেখা; তাঁর প্রায় প্রতিটা লেখায় গদ্যরচনার দৃষ্টান্ত তৈরি হতো, এবং এই দুটো লেখাও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। পাসোলিনির আত্মবিবরণমূলক একটা লেখার অনুবাদ করেছেন ধীমান দাশগুপ্ত, এবং পাসোলিনির চলচ্চিত্র ও রাজনীতি নিয়ে একটা আলোচনারও রচনা করেছেন তিনি; দুটোই বাংলাভাষী পর্যবেক্ষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য লেখ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া