ব্রিটিশ শাসনের শেষ
পর্যায়, জমিদার প্রথা ক্রমশ বিলুপ্তির
পথে এমন এক গ্রাম্য পটভূমিতে রচিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিপিনের সংসার’
(১৯৫১)। বিপিন তরুণ ব্রাহ্মণ সন্তান। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দ্বায়িত্ব এখন তার। জমিদারের নায়েব হিসেবে বাবার পদেই যোগ দেয়। যদিও
সংসারে রয়েছে মা, স্ত্রী মনোরমা, দুই সন্তান, ছোটো ভাই আর বিধবা বোন কিন্তু বিপিনের এই সংসারের গণ্ডী ছাড়িয়ে তার মনোজগতে বিচরণ
করে আরও দুই নারী, জমিদার কন্যা ও বিপিনের বাল্যবন্ধু মানী এবং দত্ত মহাশয়ের বিবাহিতা কন্যা শান্তি। মানীর পরামর্শে বিপিন ডাক্তারি পড়ে, শান্তি বিপিনের জীবনে
এক শ্রদ্ধা আর
মায়ার চিহ্ন রেখে যায়। বিপিনের ঘরনি মনোরমার সাপের কামড়ে প্রাণ সংশয় অবস্থায় বিপিনের অসহায়তা… এমনই সব
ছোট ছোট দৃশ্যকল্প দিয়ে বিভূতিভূষণ আচ্ছন্ন করে রাখেন পাঠককে। একজন সাধারণ মানুষের
সাধারণ যাপনের মধ্য দিয়ে বিভূতিভূষণ জমিদারি প্রথা, বর্ণ প্রথা, গ্রামীণ জীবনে শিক্ষা-চিকিৎসা-কুসংস্কার,
নারীর অসহায়তা সহ সমাজের নানান অসঙ্গতির কথা চমৎকার ভঙ্গীতে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া