বহু কবি, পদাকার রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম-বিরহ
নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। বাংলা-সাহিত্যের আদিমতম যুগ থেকে আজ পর্যন্ত কবি,
পদাকার এই লোভনীয় বিষয়ের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। মধুসুদনও রাধাকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে কাব্য-রচনা করেছেন। তিনি বিচিত্র ছন্দে রাধা-বিরহের গান শুনিয়েছেন।
অনেক সমালোচক ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’-এ
(১৮৬১) প্রাচীন পদ্ধতির সঙ্গে গরমিল অথবা
ইউরোপীয় ভাবের ছায়া লক্ষ্য করেছেন, কিন্তু এই কাব্যের
পংক্তিতে পংক্তিতে এক ভাবোন্মত্ত বাঙালী কবি-চিত্তের
সংস্পর্শ আছে, তাও অস্বীকার করার উপায়
নাই। মধুসূদন যখন স্ব-আবিষ্কৃত অমিত্রাক্ষর ছন্দের পরীক্ষা
করছিলেন, তখনই এই সঙ্গীতমুখর মিল-বহুল কাব্যটি রচনা করেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া