ধর্ম নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সম্প্রত্যয় এক ভিন্ন খাতে বয়ে চলে। তিনি যতটা ধার্মিক তার থেকেও বেশি কবি; যতটা কবি তার চেয়েও ঢের বেশি মানুষ। তাঁর মনুষ্যত্বের ধারণার সঙ্গে ধর্মীয় চেতনার কোন ফারাক নেই, কবিত্বের চেতনার সঙ্গে সত্য বা আনন্দের ধারণাও অমিল। ধর্ম, সত্য, আনন্দ ও মনুষ্যত্বের ভেতর বিস্তর কোন ফারাক তিনি খুঁজে পাননি। রবীন্দ্র চেতনার এই ধর্ম কোন বিভাজিত ধর্ম না, এই ধর্মের মাঝে কোন হানাহানি নেই, নেই কলহ। আছে প্রাণের আনন্দ আর সত্য অনুসন্ধানের হৃদয়বৃত্তি; আছে সুন্দর আর অন্তর্গূঢ় আনন্দের এক অসীম ফল্গুধারা। জগতের মাঝে যে আনন্দরস প্রবাহিত হয়ে চলেছে, রসধ্বনি উপলব্ধির কৌশলই হচ্ছে ধর্ম— “আমি আদি অন্ত মধ্য কিছুই জানি না, আমি কেবল এইটুকু জানি, আমার হৃদয়ে যে প্রীতি ভক্তি দয়া স্নেহ সৌন্দর্যপ্রেম আছে তাহা অনন্ত চরিতার্থতা চায়—এমন-কি, আমার সেই-সকল আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই আমি অনন্তের আস্বাদ পাই—সেই আমার সর্বসফলতা যিনিই হৌন, যেখানেই থাকুন, তিনিই আমার ব্রহ্ম তাঁহাতেই আমার মুক্তি।”
বিভিন্ন সময়ে ভারতী, তত্ত্ববোধিনী, সাধনা, সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ম-দর্শন নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধগুলি ‘ধর্ম-দর্শন’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া