রানী চন্দ, অবন ঠাকুরের কাছ থেকে তাঁর রবিকাকার নানা গল্প মুখে মুখে শুনে কোনোরকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই নোট আকারে লিপিবদ্ধ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পড়তে দিয়েছিলেন।
উচ্ছ্বসিত হয়ে রবিঠাকুর বলেছিলেন, ‘কী সুন্দর, অবন সেকালের-আমাকে তুলে ধরেছে। আমি কী ছিলুম। সবাই ভাবে আমি চিরকাল বাবুয়ানি করেই কাটিয়েছি, পায়ের উপরে পা তুলে দিয়ে। কিন্তু কিসের ভেতর দিয়ে যে আমাকে আসতে হয়েছে এই লেখাগুলোতে তো স্পষ্ট রূপে ধরা পড়েছে।’
অবন ঠাকুর নিজেও ভাবতে পারেননি তাঁর রবিকাকা এত খুশি হবেন। পরবর্তীসময়ে আরও গল্প শুনতে গেলে রানী চন্দকে বলেছিলেন, ‘যত পারো নিয়ে নাও; সময় আমারও বড়ো কম। কে জানত রবিকাকা আমার এই-সব গল্প শুনে এত খুশি হবেন।’
এভাবেই লিপিবদ্ধ হল ঘরোয়া স্মৃতিকথার। নিতান্তই ঘরোয়া স্মৃতিগুলো অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছিল তাই বইটার নাম ঠিক করা হয়েছিল ঘরোয়া এবং লেখক হিসেবে গিয়েছিল যৌথভাবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রানী চন্দের নাম। এ বইটি প্রকাশের মূল উদ্দেশ্যই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে তুলে দেওয়া যাতে অসুস্থ অবস্থায় কবিগুরু কিছুটা হলেও আনন্দিত হয়ে ওঠেন।
অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরে, ১৩৪৮ সালের আশ্বিনে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া