রবিকা’র মতই ইশকুলে ছিল তাঁর অনীহা। ফলে প্রথাগত শিক্ষা পাওয়া হয়নি অবনীন্দ্রনাথের। বোম্বেটে ডাকনাম জুটেছিল, দুরন্তপনার জন্য। তাঁকে অন্যরাও জানত খ্যাপা বলে, নিজেও তাই ভাবতেন। রবীন্দ্রনাথ যখন তাঁকে দায়িত্ব দিলেন ছোটদের জন্য তোমাকে লিখতে হবে বলে, তিনি বলেছিলেন যে তিনি বানান জানেন না। শেষ পর্যন্ত সেই রবিকা-র অভয়বাণীতেই লিখতে শুরু করেন। ছবি আর শিল্পকলা পরবর্তীতে তাঁর জীবনের অন্যতম ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্থাপনা করেছিলেন; বেঙ্গল সোসাইটি ফর ওরিয়েন্টাল আর্ট’। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন ‘বাগীশ্বরী প্রফেসর অফ ওরিয়েন্টাল আর্ট’ হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে যুক্ত করেন। ঝড়তি-পড়তি ফেলে-দেওয়া-জিনিস দিয়ে তৈরি করতেন বিভিন্ন শিল্পবস্তু, তার নাম কুটুম-কাটাম। শিল্পসাহিত্য কথাটা একসঙ্গে উচ্চারিত হয় বটে, তবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত একই সঙ্গে শিল্প ও সাহিত্য সাধনায় অচ্ছেদ্য থাকা বিরল ঘটনা।
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.