রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের প্রথম
২৫ বছরের জীবনকথা ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে লিখেছিলেন। অবশ্য রবীন্দ্রনাথ কখনোই জীবনের
ইতিহাস লেখার উদ্দেশে জীবনস্মৃতি রচনা করেননি, এটি তাঁর স্মৃতি রোমান্থন করে লেখা।
জীবনস্মৃতিকে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার বিপদ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ পাঠককে
সর্তক করে দিয়ে বলেছিলেন “স্মৃতি আর ইতিহাস এক নয়”। কবির সমগ্র জীবনের কথা জীবনস্মৃতিতে
পাওয়া যায় না। শিক্ষারম্ভ থেকে শুরু করে ‘কড়ি
ও কোমল’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের সময়কাল পর্যন্ত কথাই জানা
যায়। মূলত ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, বালক রবির রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠার পশ্চাৎপট এবং তাঁর
প্রতিভার বিকাশের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সাম্যক ধারণা পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। গ্রন্থাকারে
প্রকাশের আগে ‘প্রবাসী পত্রিকা’য় ‘জীবনস্মৃতি’ ভাদ্র, ১৩১৮ থেকে শ্রাবণ, ১৩১৯ পর্যন্ত
ধারাবাহিক আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া