‘কল্যানী’ জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় উপন্যাস, ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়।
সময়ের দাপটে ভেঙে পড়ছে জমিদারি অথচ তার ঠুনকো আভিজাত্য বজায় আছে এমন এক প্রেক্ষিতে জমিদার পঙ্কজবাবুর মেয়ে কল্যাণীকে কেন্দ্র করে এই নাম উপন্যাসটির রচনা।
কল্যাণীর দরকার ছিল একবুক নির্ভয়তা, প্রজাপতির মত দুটো রঙিন ডানা… মুক্ত বিহঙ্গীর মত বন্ধুদের সঙ্গে রাত-বিরতে বায়স্কোপ-থিয়েটার দেখার ইচ্ছে পূরণের স্বাধীনতা। শালিখবাড়ির কেউ তার ব্যক্তিগত চিঠি পড়ার সাহস যেন না পায়, তার ডায়েরিতে হাত না দেয়, তার বই পড়া নিয়ে কেউ যেন উচ্চবাচ্য না করে। মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে যে শেকলে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে, সেই শেকল সে ভেঙে ফেলুক হেঁচকা টানে। কল্যাণীর এই অনর্থক ইচ্ছেগুলো পূরণ হোক। প্রজাপতিদের ঝিকিমিকি পাখায় রঙিন হয়ে উঠুক গোটা সমাজ। কল্যাণীদের কল্যাণ হোক।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া