জীবনানন্দের গল্প, উপন্যাসের অধিকাংশই তাঁর আত্মজীবনের উপাদান নিয়ে লেখা। তাঁর স্ত্রী-কন্যার ছায়াপাত পড়েছে অনেক গল্প-উপন্যাসে। নিজের মনোবেদনা, জীবন-দর্শন, তাঁর গল্প-উপন্যাসের মূল চরিত্রের জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে। জীবনানন্দের সাহিত্যে ঋতু পরিচর্যার প্রয়াস যেমন লক্ষণীয় তেমনই তাঁর সাহিত্যে মৃত্যু একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। তাঁর গল্প-উপন্যাসে যে প্রেম প্রত্যাশী প্রেমিক পুরুষকে দেখা যায়, সে হয় তার প্রিয়াকে হারিয়েছে অথবা সেই প্রেমিক পুরুষটি নারীর উপর আস্থা বা বিশ্বাস হারিয়েছে, তবুও এই প্রেমিক পুরুষটি কত ঋতুকাল ধরে যাত্রা করেছে প্রিয়ার অন্বেষণে। হৃদয়ের প্রেম-আকাঙ্ক্ষা-ব্যথা-স্মৃতি-আনন্দের অনুষঙ্গ প্রকৃতির রূপ-রস-রঙের রেখায় নির্মান করেছেন। জৈবশক্তির আকাঙ্ক্ষাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে নির্দিষ্ট করেছেন ঋতুর উপস্থিতিকে। জীবনানন্দ দাশ ‘মৃণাল’ উপন্যাসে মুমূর্ষু নারী মৃনালের শরীরী আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করতে শীত ঋতুকে গ্রহণ করেছেন। শীত একদিকে ক্ষয়ের প্রতীক এবং অন্যদিকে জৈবশক্তির নির্দেশক হয়ে উঠেছে।
…সমস্ত শরীরও থরথর করে কাঁপছে যেন। এমনি করে পাঁচ-দশ মিনিট কেটে গেল। তারপর চোখ মেলে মৃণাল—‘বড্ড শীত করছে।’
—‘আর একটা কম্বল চাপিয়ে দিই?’
—‘দাও।’…
… অবাক হয়ে ভাবছিলাম, মৃণাল বাঁচবে!...
…মৃণাল আস্তে আস্তে আঙুল বাড়িয়ে আমার হাতটা ধরে একটা শান্ত নিঃশ্বাস ফেলল।…
দারুণ
উপন্যাসটি পড়ে আমি মন্ত্রমুগ্ধ ❤️, জীবনানন্দ দাশের আরও এক অনবদ্য লেখনী।
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া