জীবনানন্দের প্রায় সমস্ত উপন্যাসে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনি এবং আশেপাশের চরিত্ররা ভীষনভাবেই উপস্থিত, যাদের যাপন বিশ্বযুদ্ধ, যুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, মন্বন্তর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতির সামাজিক পরিমণ্ডলে। যেখানে রয়েছে কর্মহীনতার বিড়ম্বনা, রয়েছে হতাশা, আত্মধিক্কার থেকে পরশ্রীকাতরতা। জীবনানন্দের এই আত্মজৈবনিক রচনাগুলো আদতে আগ্রাসী যুদ্ধ, সর্বনাশা খিদে, সর্বোপরি মানবিক বিপর্যয়ের খণ্ডচিত্র। তাঁর রচনায় মূল চরিত্ররা প্রায় সবাই ব্যর্থ, অপ্রতিষ্ঠিত, হতাশ— রুজির খোঁজে গ্রাম থেকে শহরে এসে ঠাঁই নেয় কোন মেস বাড়িতে। আশা ভরসাহীন জীবনে চাকরির চেষ্টায় বারবার ব্যর্থ হলে ফিরে যায় গ্রামে।
পূর্ণিমা উপন্যাসে সেই একই সমস্যা, একই টানাপোড়েন। দুই বোন পূর্ণিমা এবং চামেলি, পূর্ণিমা ছোট। দিদি চামেলির স্বচ্ছল সংসার, পূর্ণিমার অভাবের…। সন্তোষ-পূর্ণিমার আর্থিক সংকট এতোটাই প্রবল, সন্তানসম্ভবা পূর্ণিমার স্বামী সন্তোষ ভাবে প্রসবকালে পূর্ণিমার মৃত্যু হলে স্বামী স্ত্রী দু’জনেই বেঁচে যায়।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া