বাংলা বইয়ের e-ভুবন
১২৮২ বঙ্গাব্দের (১৮৭৫ সালে) কার্তিক-অগ্রহায়ণ সংখ্যা বঙ্গদর্শন-এ প্রকাশিত ‘রাধারাণী’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। বঙ্কিমচন্দ্রের ভাইপো শচীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ১৮৭৫ সালে রথের মেলায় প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে একটি মেয়ে হারিয়ে গিয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র সেই সময় কাঁটালপাড়ার বাড়িতেই ছিলেন। তিনি নিজেও মেলার মধ্যে মেয়েটির অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার দু’মাস পরেই তিনি ‘রাধারাণী’ লিখেছিলেন। ১৮৮৬-তে ‘রাধারাণী’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
এই কাহিনির মূল বিষয়বস্তু রাধারাণী নামে একটি বালিকার বাল্য প্রেম। রাধারাণী তার এগারো বৎসর বয়সে রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে গিয়ে অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে। এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তারপর সময়ের স্রোত বয়ে যায়, রাধার জীবনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়। ৮ বৎসর পর রাধা আবার সেই মানুষটির দেখা পায় এবং বুঝতে পারে তারা পরস্পর পরস্পরকে মন দিয়ে বসে আছে। শেষে তাদের বিবাহ হয়। মধুরেন সমাপয়েৎ। এই হলো গল্প। বঙ্কিমের এই কাহিনি উপন্যাসের পূর্ণতা ও লক্ষণ পায়নি। ‘রাধারানী’কে উপন্যাসিকা বলা যেতে পারে। রোমান্টিক ঘরানার লেখা। কাহিনীর গতি সরল, কোন উত্থান পতন নেই। এটাই উপন্যাসিকাটির খামতি।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া