রক্তকরবী নাটকের প্রেক্ষাপটেরয়েছে যক্ষপুরী নগর ও সেই নগরের মানুষদেরহরেক রকম দ্বন্দ্ব। এই নগরে কোনো উৎপাদন নেই, কোনো সৃষ্টি নেই। আছে শুধু অমানবিক শ্রম। দিনের পর দিন যক্ষপুরীর শ্রমিকরা পাতাল থেকে সোনা তুলে আনছে। কেউ বা সোনা খোদাইয়ের কাজ করছে। আর সবার উপরে রয়েছে প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী রাজা। যার সামনে বস্তুতপক্ষে কথা বলার ক্ষমতা কারো নেই। আপাতদৃষ্টিতে এ পর্যন্ত বিশ্লেষণ করলে মার্কসীয় দর্শনের সঙ্গে অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। অনেকে সেরকম মেলানোর চেষ্টাও করেছেন। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব, শোষণ, পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা সবই আছে রক্তকরবীতে। তবে মুক্তির যে পথ রবীন্দ্রনাথ এখানে বাতলে দিয়েছেন সেখানে মার্কসীয় বিপ্লব থেকে একবারে আলাদা এক বিপ্লবের ঈঙ্গিত পাওয়া যায়।
এ নাটক নিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের অন্যরকম আগ্রহ ছিল। ১৯২৪ সালে প্রথম প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশ পায়। তার আগে রক্তকরবী নাটকের পাণ্ডুলিপিতে তিনি বারবার ঘষামাজা করেছেন। বহুবার পরিবর্তনও করেছেন এ নাটকের খসড়ায়। নাটকটির নাম প্রথমে রেখেছিলেন ‘যক্ষপুরি’তারপর ‘নন্দিনী’ এবং অবশেষে ‘রক্তকরবী’ নামটি গ্রহণ করেন। প্রতিবার তিনি নতুন চরিত্র সংযোজন করেছেন আবার কখনও নতুন গান সংযোজন করেছেন, বিয়োজনও করেছেন। এ নাটকের মূল চরিত্র নিয়েও ভেবেছেন অনেক। পাণ্ডুলিপির খসড়া থেকে দেখা যায়, তিনি নন্দিনীকে কখনও খঞ্জনা কখনও সুনন্দা নাম দিয়েছেন। ১৯২৬ সালে নাটকটি পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়।
দারুণ
I am fascinated....
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া