লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশক: কেতাব-ই
‘সুন্দরবনে সাত বৎসর’ এই কিশোর গ্রন্থটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর দুবছর পর ১৯৫২ সালে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। বইটির কাহিনিভিত্তির স্রষ্টা ও কাহিনি-অভিপ্রায়ের নির্দেশনা দানকারী কিশোর পত্রিকা ‘সখা ও সাথী’-র সম্পাদক ভুবনমোহন রায়। ভুবনমোহন রায় সখা ও সাথী পত্রিকায় ১৮৯৫ সালে এই কাহিনিটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। পাঁচ কিস্তির পর পত্রিকাটির অন্য সংখ্যা প্রকাশিত হলেও লেখাটি রয়ে গিয়েছিল অসম্পূর্ণ। পত্রিকাটি দীর্ঘজীবী হতে পারেনি বলে এই রচনাটি একটি সম্ভাবনাময় রচনা হিসেবেই দীর্ঘকাল পড়ে ছিল।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জীবনের শেষভাগে এই অসম্পূর্ণ উপন্যাসটি সম্পূর্ণ করেন। প্রকাশিত প্রথম সংস্করণে বিভূতিভূষণের লেখা একটি ছোট্ট ভূমিকাও ছিল। তাতে তিনি বলছেন:
শেষ দিকের কয়েকটি অধ্যায় লিখিয়া দিয়া এই পুস্তকের সুন্দর গল্পটি সমাপ্ত করিবার ভার আমার উপর ন্যস্ত হইয়াছিল। আমি সেই কার্য্যে কতদূর কৃতকার্য্য হইয়াছি জানি না, তবে অধ্যায় কয়টি লিখিবার সময় একটি রূপময় জগতের ছবি মনের চোখে দেখিয়া আনন্দ পাইয়াছি, শুধু এই কথাটি লিখিবার জন্যই এই ক্ষুদ্র ভূমিকাটুকুর অবতারণা। যাঁহারা এ সুযোগ আমায় দিয়াছেন, তাঁহাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।
প্রথম সংস্করণে গ্রন্থকারের নাম জায়গায় লেখা হয়েছিল– ‘সখা ও সাথী’ সম্পাদক ভুবনমোহন রায় ও ‘পথের পাঁচালী’, ‘আরণ্যক’ প্রভৃতি প্রণেতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়-প্রণীত। পরে কোনো কোনো সংস্করণে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের আগে ভুবনমোহন রায়ের নাম থাকলেও কয়েকটি সংস্করণে কাহিনিভিত্তির স্রষ্টা ভুবনমোহন রায়ের নামটিই বাদ চলে যায়।
দারুণ
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া