সৃজনশীল কাজ দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু। কিছুদিন অন্য কাজ করলেও আবার সেই কাজে ফেরা। এরপর টানা ১৭ বছর কাজ করেছেন বিভিন্ন স্বনামধন্য এফএম চ্যানেলে। রেড এফএম-এ থাকাকালীন আর.জে প্রবীণ ও আর.জে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে মজার ভিডিয়ো কনটেন্ট বানানো শুরু। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি চাকরি ছেড়ে হয়ে গেলেন পূর্ণসময়ের কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আজ দেশে-বিদেশে তিনি একজন পরিচিত মুখ। ভোলাভালা অফিসকর্মীর চরিত্রে তুমুল জনপ্রিয় অরিত্র গাঙ্গুলি। সরাসরি তাঁর থেকেই আমরা জেনে নিলাম স্বাধীন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসাবে তাঁর ও তাঁর দলের পথচলার গল্প এবং এই মাধ্যমটি সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনার কথা।
প্রশ্ন: কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে এখন আপনারা বেশ জনপ্রিয়। এই মাধ্যমটায় কাজ করার ভাবনা কীভাবে মাথায় এল?
অরিত্র: আমি প্রায় ১৭ বছর বিভিন্ন এফএম রেডিয়ো চ্যানেলে কাজ করেছি। কিন্তু রেডিয়ো শোনার যে-আগ্রহটা এফএম চ্যানেলগুলো নতুন করে মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে এনেছিল, আবার সেটা হ্রাস পেল। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে খুব কম লোকজন রেডিয়ো শোনে। ফোনেও আজকাল রেডিয়ো দেওয়াই হয় না। শেষের দিকে রেড এফএম-এ থাকার সময়ই আর.জে প্রবীণ, আর.জে প্রিয়াঙ্কা এবং আমি অফিসেই কিছু মজার ভিডিয়ো বানানো শুরু করেছিলাম। সেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়। এর মধ্যে প্যানডেমিক আসে। তারপর ২০২৩-এর মাঝামাঝি আমরা চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি এই মাধ্যমটিতে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিই।
প্রশ্ন: শুরুর পর্যায়ে কী কী বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হয়েছিল যদি বলেন?
অরিত্র: এখন তো টেকনোলজির কারণে ভিডিয়ো বানানোটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। মহামূল্য বিশেষ কিছু লাগে না। আজকাল সকলেই ভিডিয়ো বানাচ্ছে, গল্প বলার চেষ্টা করছে; ট্রাভেল, পডকাস্ট, রিভিউ, কমেডি কনটেন্ট, নানা কিছু। আমরাও তিনজন শুরু করি, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব তিনটি জায়গায় একসঙ্গে। প্রবীণের নামে পেজ। ওখানেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়।
প্রশ্ন: এগোলেন কীভাবে? প্রথমে টেক্সট কনটেন্ট, তারপর অডিয়ো, তারপর অডিয়ো-ভিস্যুয়াল, এভাবে?
অরিত্র: না, ঠিক ওভাবে নয়। সব মিলিয়ে-মিশিয়েই গোটা বিষয়টা চলে। মাধ্যমটাও তো নতুন। প্যানডেমিকের সময় ঘরে বসা। আমরা পরস্পরের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলতাম, নিজেদের সৃজনশীল ভাবনা একে-অপরের সঙ্গে ভাগ করতাম। নির্ভেজাল আড্ডা দিতাম। নিছক আড্ডা থেকেও নানা কনটেন্ট বেরিয়ে আসে। পুরোটাই দলগত চেষ্টা। বাই হার্ট আমি লেখক। আর ছবি তুলতে ভালোবাসি। মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করতে ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে এই মাধ্যমে কাজ করার ক্ষেত্রে প্যানডেমিকই মূল ট্রিগার করেছে।
প্রশ্ন: আপনারা যে কনটেন্ট বানান তা শুধুমাত্র বাঙালি দর্শকের জন্য নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের মানুষও আপনাদের ভোক্তা। তবুও আপনাদের কনটেন্টে একটা বাঙালি ছাপ স্পষ্ট। এটা কি সচেতনভাবে করা?
অরিত্র: সেটা তো থাকবেই। আমি আর প্রিয়াঙ্কা তো কলকাতাতেই বড়ো হয়েছি। প্রবীণ বাঙালি না হলেও ক্লাস এইট থেকে কলকাতায়। আমরা যতই হিন্দিতে কনটেন্ট বানাই, বাঙালিয়ানা আমাদের ভিতরে, ওটা ছাপ ফেলবেই।
প্রশ্ন: কনটেন্ট বানানোর সময় কোন ধরনের দর্শকের কথা মাথায় রাখতে হয়?
অরিত্র: এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট। আমরা এমন কমেডি কনটেন্টই বানাই যেটা ছোটো থেকে বড়ো সবাই দেখতে পারে। পরিচ্ছন্ন কাজ। গালাগালি, দ্বৈত-অর্থের প্রাপ্তবয়স্ক কৌতুক, এগুলো আমরা সচেতনভাবেই পরিহার করি। এমনকি ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেও আমরা মদ, সিগারেট এই ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করি না, ছোটোদের মধ্যে যার কুপ্রভাব পড়তে পারে। আর গালাগালি বা অশ্লীল ডুয়েল-মিনিং-এর কনটেন্ট দিয়ে খুব সহজেই মানুষকে হাসানো যায়, পরিচ্ছন্ন কনটেন্ট থেকে হাস্যরস বের করে আনাটা অনেক বেশি শক্ত।
প্রশ্ন: ভিডিয়োতে আপনার যে ভোলাভালা অফিসকর্মীর চরিত্রটা, ওটা যে কতটা জনপ্রিয় কমেন্ট সেকশন দেখলেই বোঝা যায়। এটার জন্য কী কী প্রস্তুতি দরকার হয়েছে?
অরিত্র: সত্যি কথা বলতে আমি ওরকমই। নিজেকে বদলানোর প্রয়োজনই পড়েনি। তফাত এটাই, এখন ক্যামেরাটা এসে আমার উপর পড়েছে। আমি তো অভিনেতা নই, তবু এই চরিত্রটার সুবাদে বেশ কিছু বাংলা সিনেমায় সুযোগ পেয়েছি। পুরোটাই দলগত প্রচেষ্টার কারণে। আমাদের বন্ধুত্বের রসায়নটাই কাজ করতে সুবিধা করে দেয়।
প্রশ্ন: জীবনে এমন কোনো মুহূর্ত এসেছে যে কোনো একটা কনটেন্ট এত ভাইরাল হল, যা থেকে উপলব্ধি করলেন মাধ্যমটা কতটা শক্তিশালী?
অরিত্র: এটা তখন বুঝতে পারি যখন দেখি দেশে তো বটেই, বিদেশেও বিভিন্ন জায়গায় মানুষজন আমাদের দেখে চিনতে পারেন, এগিয়ে এসে আলাপ করেন। মনের ভিতর একটা ভালোলাগা স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়।
প্রশ্ন: আপনারা কনটেন্ট বানানোর আগে কি চিন্তাভাবনা করে বিষয় নির্বাচন করে, চিত্রনাট্য বানিয়ে তারপর সেটাকে রূপায়ণ করেন? যদি সেটা না হয় তাহলে পদ্ধতিটা কী?
অরিত্র: আমাদের বেশিরভাগ কনটেন্টই সহজাত। পরিস্থিতির কারণেও অনেকসময় অনেক কনটেন্ট বেরিয়ে আসে। আমরা রোজ দেখা করি, আড্ডা মারি, সিনেমা দেখতে যাই। আড্ডা মারতে মারতেই হঠাৎ হয়তো একটা স্মরণযোগ্য হাস্যরসের বিষয়বস্তু বেরিয়ে এল। সবসময় ভেবে, চিত্রনাট্য তৈরি করে কাজ করা সম্ভব নয়। তবে কোনো সিরিজ তৈরির ক্ষেত্রে বা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার সময় ভাবতে হয়। চিত্রনাট্য তৈরি করতে হয়। প্রস্তুতি ভালো থাকলে শুটিংয়ের সময় অনেক সুবিধা।
প্রশ্ন: মোটামুটি কতদিন অন্তর অন্তর নতুন কনটেন্ট বানাতে হয়?
অরিত্র: রোজ। ছোটো, বড়ো, কিছু-না-কিছু বানাতেই হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যালগরিদম এমনভাবেই তৈরি করা যে একদিন বাদ গেলেই পিছিয়ে পড়তে হবে।
প্রশ্ন: কনটেন্ট কত মানুষের কাছে পৌঁছলো, রিটার্ন কী আসবে না আসবে, সেসব নিয়ে চাপ তৈরি হয়? যেহেতু চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি এই মাধ্যমটায় ঢুকে পড়া, অর্থনৈতিক বিষয়টাও তো কোথাও গিয়ে ম্যাটার করে?
অরিত্র: দেখুন, এগুলো নিয়ে সচেতনভাবে যত ভাববেন, চাপ তৈরি হবে। আর চাপ তৈরি হলে মানুষকে আনন্দ দেব কী করে? হ্যাঁ, সৃজনের একটা চাপ আছে, অন্য চাপগুলো আমরা নিই না। সব ভিডিয়ো সমানভাবে মানুষ পছন্দ করবেন তা তো হয় না। নিজের কনটেন্টের উপর বিশ্বাস থাকাটা জরুরি।
প্রশ্ন: চাকরি ছাড়ার যে-ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেটা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে হয়?
অরিত্র: কোনো জিনিসই তো একদিনে হয় না, সময় লাগে। অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও কিছুটা পথ যেতে হবে, তবে মানসিক দিক থেকে আমি ভীষণ সন্তুষ্ট। কাজটায় ভালোলাগা আছে, প্রতিমুহূর্তে কাউকে জবাবদিহি করার নেই, শান্তিতে আছি। চাহিদার তো কোনো শেষ নেই, উপার্জনেরও নেই। আসলে যে জীবনকে যেভাবে দেখে আর কি। এককথায় বললে, আমি খুশি।
প্রশ্ন: কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ কোনটা, বিষয়-ভাবনা না বাজেট?
অরিত্র: আমরা সবসময় লো-বাজেটে বিশ্বাসী। আমরা তো সিনেমা বানাচ্ছি না, রোজকার জীবনের টুকরো থেকে হাস্যরস বের করে আনছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নৈমিত্তিক ধরনটাই প্রযোজ্য। অ্যালগরিদম এমনভাবে বানানো যে সবসময় প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। বিষয়বস্তুটাই এখানে বেশি জরুরি। আমরা তো প্রচুর লো-রেজোলিউশন মজার ভিডিয়ো দেখেও আনন্দ পাই। যেটায় উপায় নেই, সেক্ষেত্রে বাজেট রাখতেই হবে, তবে তার বিনিময়ে কতটা উপার্জন হতে পারে সেটা ভাবনাচিন্তা করে বাজেট ঠিক করা উচিত।
কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
প্রশ্ন: আজকাল অনেক সময়েই দেখা যায় ভালো কনটেন্টের থেকে বোকা বোকা সস্তা কনটেন্ট অনেক বেশি সাফল্য পাচ্ছে। এটা কি কোথাও গিয়ে হতাশ করে? বা ওই ধরনের বাজারি কাজের দিকে আপনাদের ঠেলে দিতে চায়? গুণমান বজায় রাখা এবং একইসঙ্গে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো, ব্যালেন্স করেন কীভাবে?
অরিত্র: ব্যালেন্সটা নিজের হাতে। আমি সেটাই বানাব যেটা আমি ভিতর থেকে বিশ্বাস করি, অন্যের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই। নীচে নামা খুব সোজা, কিন্তু ওই পথ আমরা নিতে চাই না। ভালো কনটেন্ট থেকে যাবে, বাকিগুলো একসময় মিলিয়ে যাবে। একটা কথা আছে না, রোজ নিজের তলোয়ারটায় ধার দাও, ওটাই আসল। অন্যে কী করছে দেখতে গেলে নিজের কাজটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রশ্ন: কনটেন্টের কারণে কি কখনো কারুর থেকে বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে? কনটেন্ট তৈরির সময় সকলের কথা কতটা সচেতন হয়ে ভাবতে হয়?
অরিত্র: প্রচুর মানুষ বিরূপ মন্তব্য করেন। অনেকেই আছেন জিনিসটা দেখে আনন্দ নেওয়ার থেকে সমালোচনা করতে বেশি ভালোবাসেন। আসলে সবাইকে খুশি করা সম্ভবও নয়। মতানৈক্য, ঝগড়া, এসব একটা পরিবারেই থাকে, সেখানে পৃথিবীতে থাকবে না! ধরুন আপনাকে একটা খাবার বানাতে বলা হল সবার কথা মাথায় রেখে। এখন কেউ ঝাল খায় কেউ খায় না, কেউ নুন বেশি খায় কেউ কম, কেউ মিষ্টি কম খায় কেউ বেশি। সবার কথা মাথায় রেখে বানাতে গেলে খাবারটা শেষে বিস্বাদ অখাদ্য জিনিসে পরিণত হবে। মতানৈক্য, দ্বন্দ্ব, বিরোধিতা, এসবগুলো না থাকলে পৃথিবীটাও ওরকম বিস্বাদ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: আপনারা যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন, সেগুলো কীভাবে হয়?
অরিত্র: অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া আমাদের ম্যানেজিং টিম আছে, তাদের মাধ্যমেও যোগাযোগ হয়। তবে ব্র্যান্ড প্রমোশনের জন্য আমরা আমাদের জঁর থেকে কখনোই সরে কাজ করি না, আমাদের কাজের সঙ্গে ব্র্যান্ডটির সমন্বয় ঘটাই। আর যেকোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার আগে আমরা ব্র্যান্ডটির বিষয়ে খোঁজখবর নিই, কোনো সুদূরপ্রসারী খারাপ প্রভাব আছে কি না যাচাই করি, তারপর কাজ করার জন্য এগোই। এটাই আমাদের পদ্ধতি।
প্রশ্ন: বর্তমান বাংলা ডিজিটাল কনটেন্টের শিল্পে পিআর-এর ভূমিকা কতটা?
অরিত্র: পিআর-এর ভূমিকা ভীষণ শক্তিশালী। হয়তো সাধারণ এজেন্সি দিয়ে এখন সবসময় কাজ হয় না, তবে প্রত্যেক নামকরা ক্রিয়েটরেরই আলাদা আলাদা ম্যানেজার থাকেন, যাঁরা পিআর সামলান।
প্রশ্ন: এখন যে আপনাদের একটা আলাদা পরিচিতি তৈরি হয়েছে, এর সঙ্গে কি দায়িত্ববোধও কোথাও বেড়েছে? যেমন ধরুন, কোনো বিষয়ে খোলাখুলি মতামত দিতে গেলে বা কোনো খবর শেয়ার করতে গেলে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়?
অরিত্র: সে তো অবশ্যই। যখন আপনার কোনো কথা বা কাজের দ্বারা সামান্য হলেও কিছু মানুষের প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন অতিরিক্ত দায়িত্ব তো তৈরি হয়ই। অনেক বেশি সংবেদনশীল হতে হয়, যা বলছি বা করছি তার ভুল প্রভাব না পড়ে সে-বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়। তবে আমার মনে হয় আজকের ফেক নিউজের জমানায় প্রত্যেকেরই উচিত আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠা, যেকোনো জিনিসকে সচেতনতার সঙ্গে বিচারবুদ্ধি দিয়ে পরখ করে দেখা।
প্রশ্ন: শেষ প্রশ্ন, ভালো কনটেন্ট বানানোর সঠিক রাস্তাটা কী? নতুন যাঁরা এই মাধ্যমে পা রাখছেন তাঁদের উদ্দেশে আপনি কী বলবেন?
অরিত্র: একটাই কথা বলব, পড়তে হবে। প্রচুর পড়তে জানতে হবে। একজন ভালো ভোক্তাই ভালো ক্রিয়েটর হতে পারেন। ডিজিটাল মাধ্যমে গোটা পৃথিবী জুড়ে প্রচুর ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কাজ। আমার শক্তির জায়গা কোনটা সেটা আমাকেই খুঁজে বার করতে হবে। আর নিজের বিশ্বাসকে অনুসরণ করতে হবে। কে কী বানিয়ে কতটা নাম করছে সেসব নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে না।
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

