preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
কয়েকটি কবিতা
কবিতা

কয়েকটি কবিতা

প্রকাশিত হল যুধাজিৎ বসুর কবিতাগুচ্ছ ‘কয়েকটি কবিতা’। ‘আগ্নেয়গিরি’, ‘চোখ’, ‘সাঁতার’, ‘ঝিল্লি আর আমি’ এবং ‘ডাক আসে’ এই পাচঁটি কবিতা এই গুচ্ছ কবিতায় স্থান পেয়েছে।

আগ্নেয়গিরি

কান্না থেমে যায় চোখের পাতায় নেমে আসে
বাদামি মথের মতো গাঢ় ঘুম
তখন স্বপ্নে সূর্যাস্তের মেঘে আগুন
গোটা আকাশ একটা আগ্নেয়গিরি

চোখ

চোখের ভিতরে আছে আরও মস্ত এক চোখ
পলক পড়ে না, কোনো ঢেউ নেই
মণির চারপাশে মরা পুকুরের মতো জল, শান্ত;

ফুলের রেণুর ভিতরেও আছে
আছে অন্ধকারে গাছের বাকলে
চোখের পর চোখ

একটা পৃথিবীর ভিতর লক্ষ পৃথিবী
একটা চোখ থেকে আরেকটা চোখে
অবিরাম এই যাতায়াত

চোখের সঙ্গে চোখের
শুধু দৃষ্টি বিনিময় ছাড়াও
হয়তো আরও গুহ্য কোনো যোগাযোগ আছে

কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

সাঁতার

ডুবসাঁতার জানা ছিল না বলে
পাথরে ধাক্কা খেল ঢেউ
পাথরগুলো ওদের মারেনি
ওরাই পাথরে এসে আছড়ে পড়েছিল

ঝিল্লি আর আমি

ঝিল্লি বিকেলবেলা ঘুম থেকে ওঠে
ব্ল্যাক কফি খায়
আর নিজের কাঠের পা-টা
জাফরানের জলে ভিজিয়ে রাখে কিছুক্ষণ

পা-টা মাঝে মাঝেই জুলাই মাস নাগাদ
বেলুনের মতো ফুলে ওঠে
ঝিল্লির জুলাই মাস ভালো লাগে না
বৃষ্টির শব্দ তার বুকের ভিতর
কাঠের ওপর পেরেক ঠোকার অনুভূতি এনে দেয়

সেইসব জুলাই মাসে ঝিল্লির চিঠি আসে
‘আচ্ছা সনাতন দা, একটা কথা বলো
আত্মহত্যা আর ইচ্ছামৃত্যুর মধ্যে কিসের তফাত?’

ডাক আসে

মনে হয় আর কোনোদিন কখনও এমন গোধূলি হবে না
তাই তোমার মুখের দিকে দু-মিনিট শুধু তাকিয়ে আছি
কিন্তু আসলে একশো বছর কেটে যাচ্ছে
আর আমাদের চোখ আর ঘন শ্বাস
আর স্বপ্নের ইঙ্গিত আর মেঘের মতো বাড়িগুলোর ছাদে মেলা
রঙিন জামাকাপড় আর প্রাকবর্ষার সোঁদা মাটির গন্ধ
আর জাফরান হাওয়ায় তুলো তুলো অভিমানকণা
আমাদের হাড় মাংস মস্তিষ্ক ভেদ করে ছুটে যাচ্ছে
যেন কোনো শুরু নেই শেষ নেই
গন্তব্যহীন অতীত ভোলা এক অচিন পাখি
তার ডানার ভেতর সভ্যতার গুপ্ত সব ইশারাগুলো নিয়ে
সময়সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে
আর আমরা তার চোখ দিয়ে দেখা
সমুদ্রের একটা ঢেউ যার আয়ু এক মিনিটেরও কম
যে এখুনি ভেঙে পড়বে কিন্তু সেই ভাঙনের ঠিক আগের মুহূর্তে
একটা স্টিল ফটোগ্রাফে তাকে ধরতে চাইছে কেউ
যখন সে পাহাড়ের মতো উঁচু
যখন সে মেঘ ধরতে পারে
যেতে পারে আকাশের খুব কাছাকাছি
এই অলৌকিক আলোয় যখন সে গান হয়ে ওঠে
আর বলে আর কোনোদিন কখনও এমন গোধূলি পাবে না
সুতরাং যা বলার সব বলে ফেলো এখুনি এই মুহূর্তে
তোমার হাতে সময় খুব কম


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

Image Description

Saswati Lahiri

1 দিন আগে

যুদ্ধজিৎ, আপনার লেখা কবিতাগুলি ভালোলাগলো। সত্যিই মনের ভেতরে আরো এক গুহ্য কোনো ভূমি থেকে প্রথমে ভাবনা ও তারপর প্রকাশের পর্ব। সত্যিই আমাদের হাতে সময় সীমিত এবং কিছুটা উপলব্যথিতও। অতএব যা যা বলার, এখুনি বলে দেওয়া জরুরি।


মন্তব্য করুন

লেখক

কলকাতায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুধাজিৎ কবিতা ও সিনেমা শিল্পের প্রতি বরাবরই আগ্রহী ছিলেন। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর এক বছর করার পর, তিনি কলেজ ছেড়ে দেন এবং সেন্ট জেভিয়ার্সে যোগ দেন এবং গণযোগাযোগ ও ভিডিয়োগ্রাফিতে বিএসসি (অনার্স) করেন। কলেজে পড়ার সময় তিনি ‘শব্দ’ নামে একটি কবিতার পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। স্নাতকের পর তিনি পৃথ্বীজয় গাঙ্গুলীর সঙ্গে খোজি ও কুইরো নামে দুটি ছবি করেন। এই চলচ্চিত্রগুলি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার সময় তিনি ২০১৭ সালে ফিল্‌ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনষ্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র ফিল্‌ম মেকিং বিভাগে যোগদান করেন। ২০২০ সালে তার ডকুমেন্টারি ফিল্‌ম ‘কালসুবাই’ ওবারহাউসেন ফিল্‌ম ফেষ্টিভালে গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছিল এবং বিশটিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে, তার এফটিআইআই ডিপ্লোমা প্রকল্প ‘নেহেমিচ’ আনুষ্ঠানিকভাবে কান ফিল্‌ম ফেস্টিভালে লা সিনেফ বিভাগের অধীনে নির্বাচিত হয়েছিল। বর্তমানে যুধাজিৎ তার প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ফিল্‌ম ও প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রস্তুতি পর্বে রয়েছেন।

অন্যান্য লেখা