প্রকাশিত হল ‘নিমাই জানার পাঁচটি কবিতা’। ‘যক্ষ’, ‘ভিন্টেজ স্রাব’, ‘হেনরিয়ান ব্লু’, ‘স্যাণ্ডউইচ রেতঃ’ এবং ‘স্পুটাম স্যাম্পেল’ এই পাচঁটি কবিতা এই গুচ্ছ কবিতায় স্থান পেয়েছে।
যক্ষ
স্ক্যারি ডেভিলের নাচ, ফ্যানটুম সাইজের নদী থেকে ঝুলে পড়া মৃতদেহের খবর, হি-হি করে পুড়ে যাচ্ছে আপডেট গ্রোথ করিডোর, আমি কি হিমতাজ শোভন কেন্দ্রে জ্যোতিচিহ্নে লবঙ্গের গুঁড়ো মাখাব আর মাংসের কেবিন থেকে ঝলসানো হৃদপিণ্ডের মাংসে পুড়িয়ে খাব রিং লাগানো লিঙ্গের ডগা, অনাদির মতোই আমিও বিশুদ্ধ হই সাড়ে 500 ml জমির গর্তে ঢুকিয়ে দিতে পারি এই রক্তাক্ত রক্তাল্পতার অ্যানিমিয়া ফ্লেভারের চোখের বাম কর্নিয়ার লতি বিশিষ্ট ক্রেনিয়াল নার্ভ, পাদপ খাও নদী এসো কামনা-ভরতি নারীর উর্বাসনে বসে পড়ি উর্বশীর মস্তক ধরে যক্ষ হয়ে যাই বিবিধ কন্ট্রাসেপটিভ হয়ে যাই জুতো খুলে রাখি বাইরে প্রজাপতির হারেম কঙ্কালে নিজের অসুস্থ ম্যাগনিফাইং গ্লাসে শ্বেত কবরের মায়া কণিকাগুলোকে হাড়গোড় উপগ্রহের পিণ্ডকারখানায় পাঠাই, হে আপেল ব্যবসায়ী নক্ষত্রের চুমুর আঁশে ডুবিয়ে দাও এক-একটা শক্ত স্তনের ১৪ কো-অর্ডিনেট, আমি ৪২ ইঞ্চি স্তনের চারপাশে অক্ষয় অমৃত সরোবর থেকে তুলে আনা রক্ত অমৃতের রজঃদীপ দানা বিখ্যাত বেশ্যার জরায়ুর কর্কট ফুসফুসে কামকট লেবুর জুস ঢালছি, y66 বার্বি ডল জেব্রার ভিসেরা গাড়িটি বারুদ পাচার করছে
ভিন্টেজ স্রাব
কস্তুরী সরকার মনস্তত্ত্ববিদ, বিদ্রোহের কৌটা আগুন ধরতেই মলদ্বারের যৌন পায়ুকাম একটি ভিন্টেজ কারখানা দুটো উরুর মাঝখানে নরম চামড়া ফেটে তরল স্রাব বেরিয়ে যাওয়ার প্রাতঃকালীন মন্থর দৃশ্যই হল শুক্রপাতের লক্ষণ, আমি কি দুটো পা উড়ুক্কু রেখে দিতে পারি ঊরুর ভেতর থেকে বদ্ধমূল জ্যোতিষ্ক্রিয় নাবিক এলবেডো কোলেস্টেরলের চামড়া চিপতে মৃত বছরের মাংস দিয়ে তালগোল পাকানো দুর্গন্ধের কৃমিদের ধরে ধরে আনে ভেজে খায় তার রস কেন্নোর পায়ুদ্বারে ঢুকে যায় মাকড়সার কমলালেবু ছিঁড়ে খায় মাথার ভিতরে উন্মাদ রহস্যময়দের পুঁতে দিয়ে আসে আমার হাইগেনশন ঈশ্বরের কৃপ লিঙ্গপুজো, আমি একা কবরের কাছে আসতে থাকি অপরিত্যক্ত কারখানার গুদাম ঘরে যাই বিধ্বস্ত হাসপাতালের করিডোরে একা হাঁটতে থাকি কেবিনের সব ভ্যাম্পায়ার যুবতিরা বুকের মাংস খুলে পোশাক খুলে দেয়
হেনরিয়ান ব্লু
জান প্রোকপিক নরম মাংসের কুণ্ডলীকৃত উৎসর্গ উটের মাংসের দিকেও আরও তরল ক্রুশবিদ্ধ আগুন থেকে ঝলসে যাওয়া মানুষের ক্ষেত্রফল নক্ষত্রের হাহাকার চিৎকার বিশুদ্ধ দৈর্ঘ্য তরঙ্গের পোকা, বীভৎস সংগমে ক্রমশ সংযুক্ত হচ্ছে নারীদের লালারস উর্বর ক্ষেত্রফল তুলে আনা জটিল যৌগ কৃমিকীটের মাছেরা আঁশ ফেলে দীর্ঘশ্বাসের মরুভূমির হাইবারনেশান বিষয়ক ক্রিস্টালাইজড গলার ভেতরে কাঁটা কম্পাস নিয়ে মধ্যবর্তী রাতের পুরুষের সাথে ঔরস বিনিময় করছে, এত শীতল দীর্ঘ বিস্ফারিত চোখের ভেতরে আরও মহাকাশ মহাকাশের ভেতরে সূক্ষ্ম হাত বিস্ফোরণ চক্রাকার রোবটিক মেশিন থেকে বের হয়ে আসছে অদৃশ্য কঙ্কালের ফর্মেশন, জান প্রকোপিক সাদা নারীদের মত স্কেলিটন ভাঙা যৌনতন্ত্র কার্ভড ফিগার দি সাবলিমিনাল ভার্জ ডাইভারসিটি ক্রুশ ছিন্ন ভিন্ন অগ্নুৎপাতের মৃত্যু সমুদ্রের দেহতত্ত্ববিদ জান প্রোকোপিক ওয়েব পেজ, ক্ষুধাকে দেখেছে মানুষ, শরবত বানায় মহাকোষের নীল নক্ষত্রের তড়িৎ চুম্বকীয় কলোয়েডের দ্রবণে মুখ ঢুকিয়ে আত্মারা বারাঙ্গনা শব্দের প্রলয় জঙ্ঘা পেরিয়ে যাচ্ছে
কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
স্যাণ্ডউইচ রেতঃ
রাতের ব্রাউন কালারের স্নায়ু খড়ি, দীর্ঘতম সাধনার জ্যোতিষী ক্লীবলিঙ্গের প্রো স্যান্ডউইচ জেলি, আমি মর্গের ভিতরে চলে যেতে পারি অনুবন্ধী কীটপতঙ্গের যক্ষাতন্ত্রের যোনি সংগমে বসে থেকে উনুনের বান্ধবে রেখে দিতে পারি হৃদপিণ্ড রসায়নের অতিলৌকিক মায়া গন্ধের সংযুক্তিকরণ ও লাইগেশন ফটোকপি পদার্থ, কী করে হাসছে সবাই অনেক পাতালে সৌরেন্দ্রীয় যুবসেন লিঙ্গবিহীন উপগ্রহের স্নায়ু কাঠ পুড়িয়ে চিতার মাংসাশী স্তনের ভেতরে ফুটিয়ে দিচ্ছে বক্ষরোগের ত্রিস্তরীয় স্তরীভূত অংকোলজিক্যাল সাবস্টেন্স, দীর্ঘ শ্বেত প্রদাহের রোগ জলের ভেতরেই মৎস্যগন্ধার আঁশ উড়ছে। ফিনকি দেওয়া ফাঁসিকাঠ থেকে নেমে আসা ধী সুগন্ধীকরণ, অলৌকিক জাতক দ্রব্যের মায়াকাঠের বায়োলজিক্যাল জননছিদ্রের চারপাশে ছত্রাকের বৃত্তীয় নক্ষত্রের পোঁচ লাগাচ্ছে মাদকতন্ত্রীদের মতো এখানে পাগলা গারদেই সব নারী পাগল গর্ভবতী হয়। এত ঔরসের ধান বীজ বৃহদন্ত্র লিঙ্গবিহীন চক্রাকার স্নায়ু খণ্ড খণ্ড নিয়ে সর্বাঙ্গাসনের পাপাত্মারা খোলসের ভেতরে থাকা শ্বেতাঙ্গ ফসফরিক দেহের ভেতর থেকে বের করে আনছে সরীসৃপ সংগমের কঠিন যৌগিক পদার্থ, এ তো স্তন ঢেকে রাখার অন্তর্বাসে শুয়োপোকা ছাই ও কাশ্মীর লোম ক্ষেত্র, বারবার সংক্রমিত হচ্ছে জনন অপ্সরা ব্লেড কাচ ভাঙা, গলার ঔষধ ও স্তন ছিদ্রের পলিসিস্টিক দ্রাঘিমা
স্পুটাম স্যাম্পেল
তীব্র কালো রঙের মাছেরা ভেসে যাচ্ছে, অদ্ভুত শ্বাসকষ্ট শ্বাসনালীর কৃমিপোকারা দাতব্যের রক্ষিনী অন্ধকার নিয়ে ছিদ্রাল আগুনের গীতবাদ্য লিখছে। কোনো সংগীতশাস্ত্র নেই ড এ কার ষড়ঙ্গ ফেনলের মতো গলাকাটা হাড়হীন লাশের ঘর, বিউটি পার্লারের থেকেও আরও চুম্বকিত ঘোড়া ঘোড়ার মাংস খুবলে খায় নখের লিঙ্গবর্ধক ক্যাপসুল এখানে ছন্নছাড়া জাতীয় সম্প্রদায়ের কৃপাচার্য বসে থাকে এত রাতের নিঃশব্দ অন্ধকারে কো স্যালিসাইলিক এনজাইম রিওটিক আদিম তৃতীয় জন্মের ত্রিতত্ত্বগুণের রজতন্ত্রী নখ নিয়ে কামড়ে দিচ্ছে অমরাবতীর ভাসমান টং অপ্সরা, আমি কি বিশুদ্ধ হয়ে যাব এবার? আগ্নেয় অসুখে পিতৃতর্পণ দাউদাউ করে জ্বলে উঠছে এ সংগম শুদ্ধ পৈশাচিক বিছানার নরম হরমোনাল ছায়াপথ। ভাসমান বেলুনের ভেতরে আমার আগ্নেয়াস্ত্রের মতো প্রাণহীন দেহে ধূপ জ্বেলে দিচ্ছে রজঃ চকলেটের থেকেও আরও চটচটে কোনো ইনবক্স ক্যাবিনেটর, ফ্রিজের ভেতরে থেকে মৃত বায়বীয় চিংড়ি মাছেরা বেরিয়ে আসে। যাদের সংগম হয়নি অথচ ডিম পাড়ে তারাও আমিষ চুম্বকের থেকেও নষ্ট, অ্যামিট্রিপটিলিন ঔষধি খায়, গলার ভেতরে নরম কফের ঘড়ঘড় জ্বর জ্বর একটি আন্টি রিলেশন শর্করার নাম, পিতার নামে মৃত ফার্নিচার ব্যবসায়ীটি চিতার সুগন্ধ পৈশাচিক ঘাটের কাছে আমার লাইপোপ্রোটিন ঘৃতাচীর ঋক পিতার স্টেবিলাইজেশন
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
Rizu Rejwan
3 দিন আগেআপনার লেখা পড়তে হয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। তবে এর স্বাদ কিছুটা লাভ করা যায়। আর নতুন অনেক শব্দের সাথে পরিচিত হই, নিজেই খুঁজে খুজে। তাতে আমিও সমৃদ্ধ হই। এটাই একজন কবির কাছে শিক্ষা ও উপভোগের আলোক। যা আনন্দ দেয় কবি।
Rizu Rejwan
3 দিন আগেআপনার লেখা পড়তে হয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। তবে এর স্বাদ কিছুটা লাভ করা যায়। আর নতুন অনেক শব্দের সাথে পরিচিত হই, নিজেই খুঁজে খুজে। তাতে আমিও সমৃদ্ধ হই। এটাই একজন কবির কাছে শিক্ষা ও উপভোগের আলোক। যা আনন্দ দেয় কবি।