preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
বর্ষার গান
কবিতা

বর্ষার গান

প্রকাশিত হল ধীমান ব্রহ্মচারীর কবিতা ‘বর্ষার গান’। নাম কবিতা সহ রয়েছে আরও দুটি কবিতা— ‘বাবাকে’ এবং ‘মিছিলের আগে যে মানুষটি’।

বর্ষার গান

এভাবে আসে কালো মেঘ
জল জমে কাচের জানলায়,
লেখার খাতা বুক চিতিয়ে পড়ে থাকে আর্দ্র টেবিলের ওপর
অসংখ্য কাটাকুটি হয়েছে পাতার পর পাতা
একটা লেখার জন্য,
এমনই সময় বার দুই বজ্রের আহ্বান, জানলা থেকে
পুরো চান হয়ে যাওয়া শহরের মৌনতা ভেসে আসে আমাদের
বসু পাড়ায়। সারা গলিময় জমে আছে জল
অঝোর বৃষ্টি, অবিরাম বৃষ্টি, ঘণ্টা পাঁচ ধরে আকাশ ভেঙে
জল ভরিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির সব শুষ্ক পথঘাট থেকে মন।
এমনই কোনো এক ছবি আমাদের পাশের বাড়ির জমা জঙ্গলে
ধীর গতিতে চলা শামুকটাও বেরিয়েছে আমাদের মতো
খাবারের জন্য, গুটি গুটি পায়ে পার করে ফেলল পুরো রাস্তা,
অন্তহীন আশা-ভরসাহীন স্রোত সমস্ত কিছু জমে আছে আমাদের
বড়ো নর্দমার মুখে।

কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

বাবাকে

আমি একটা দীর্ঘ কবিতা লিখেছি
যেখানে শৈশব পুরে দিয়েছি প্রতিটি ছত্রে
শুধু একটি শব্দ এই কবিতায় নেই,
‘আশ্রয়’।

মিছিলের আগে যে মানুষটি

১.
স্লোগান
এক নয়, একার নয়, হাজার হাজার মানুষের উচ্চারণ সারা রাস্তা জুড়ে

২.
প্রতিনিধি
স্তাবক হয়ে ভিড় জমিয়েছে মানুষের মনে
বুঝেছে হৃদয়ের স্পন্দন আর কোলাহল নির্জন
এখনও মুখ দিয়ে রক্ত উঠে আসে দিন উপার্জনের তাগিদে;

৩.
উল্লাস মঞ্চ
এখানে তুমুল স্রোত জনতার, আমার আপনার মতামত চেরা হবে
বাদে-প্রতিবাদে

৪.
এখানে রাজ রাস্তায় মানুষ মানুষকে হত্যা করে অবলীলায়
রক্তের স্রোতের বিপরীতে মানুষের কুচকাওয়াজ গাওয়া হয়
যে আগুন জ্বালিয়ে সামনের মানুষটি হেঁটেছিল সত্তর মাইল পথ...
আজ তাকে মালা পরাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে অগণিত ভক্ত..


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

Image Description

Dipak Ray

6 দিন আগে

শ্যাম বেনেগাল কবিতা লিখতেন। ফিল্ম করার পর আর কবিতা লিখতে পারেন নি। বলেছিলেন কবিতা লেখার জন্য নিরঙ্কুর অভিনিবেশ দরকার। আর বাদল সরকার এই সেদিন বললেন -- In theater when you do minimum is maximum. And when you do maximum it will be nothing. এটা শুধু নাটক নয় যে কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে এটা সত্য বলে মনেহয়। সৃষ্টি করার মতো তোমার আবেগ আছে। কোনো কোনো পঙক্তি ছিটকে এসে ধাক্কা দেয়। কিন্তু কোনো কোনো সময় একটু বেশি কথার ভারে না-বলা -কথার ঐশ্বর্য নষ্ট হয় হয়তো। আমার মন্তব্যকে গুরুত্ব দিও না। নিজে যা ভাববে তাই করবে।


মন্তব্য করুন

লেখক

জন্ম ১৯৮৭ সালে। বাংলায় স্নাতকোত্তর। চাকরি করেছেন আনন্দবাজারে এবং দ্য টেলিগ্রাফে। এখন চাকরি ছেড়ে প্রকাশনা ও সম্পাদনার কাজে পূর্ণ সময়ের জন্য নিযুক্ত। মূলত কবিতা লিখলেও, লিখতে ভালোবাসেন প্রবন্ধ, গদ্য এবং বই-আলোচনা। প্রথম সম্পাদনা: কবিতা বুলেটিন। পরবর্তীতে ম্যানিউস্ক্রিপ্ট নামক একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। তারপর এবং অধ্যায় পত্রিকা। এই পত্রিকার নামেই করেছেন প্রকাশনা। বর্তমানে চুঁচুড়ায় বসবাস করছেন।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন