সকাল তখন দশটা হবে। হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে একা পাড়ায় ঢোকে শ্রীকান্ত। বাড়ির উঠোনে দাঁড়াতেই তার অমন মড়াকান্না শুনে সকলে ঘিরে ধরে। কী হয়েছে, সনাতনই বা কোথায়, এই সব জানতে চায়। কিন্তু কিছুতেই শ্রীকান্তের কান্না থামানো যায় না। অনেকক্ষণ গোঙানোর পর সে জানায়, গঙ্গার স্রোতে ভেসে গিয়েছে সনাতন। অনেক চেষ্টা করেও তাকে পারে টেনে আনা যায়নি। এরপর, বহুদিন কেটে গেলেও সনাতনের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
‘‘আজ দু’মুঠো ভাত হবে না কাকিমা?’’ অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাউরুটি আর চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে অনুরোধের সুরে বলে সনাতন। আসলে কাজের সময়ে চা-পাউরুটি খেলে অম্বল হয়ে যায় ওর। তারপর, সারাদিন কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু সকাল সকাল পেটে দু’মুঠো ভাত পড়ে গেলে সারাদিন আর কোনো চিন্তা থাকে না। দুপুরে খাওয়া না হলেও এবেলায় অন্তত আর সমস্যা নেই। যা ভাবার আবার ওবেলা ভাবতে হবে। বাড়িতে তো খাওয়া নিয়ে কম কথা শুনতে হয় না!
সনাতনের প্রশ্ন শুনে বুবাইয়ের মা ঝঙ্কার দিয়ে ওঠেন, ‘‘আজ ভাতটাত খাওয়াতে পারব না। ওই চা-পাউরুটি দিয়েই চালিয়ে দে। আর এই তো সামান্য কাজ। উঠোনের জঙ্গল আর ঘাস কেটে সাফ করবি। আর নালাটা ডেঁড়ো দিয়ে টেনে দিবি।’’
কিন্তু সনাতন মনে মনে ভালই জানে এই কাজ মোটেই সামান্য নয়। বেশ খাটনির। চাপ চাপ দূর্বা ঘাস উঠোন জুড়ে। প্রথমে গোড়া থেকে নিড়িয়ে সেই সব তুলে ফেলতে হবে তাকে। যাতে অন্তত পাঁচ-ছয় মাস কাজের রেশ থেকে যায় উঠোন জুড়ে। এই কাজ একেবারে শিল্পীর মতো। ঝকঝকে তকতকে করে ফেলতে হবে গোটা উঠোনটা। তার উপর বেশ খানিকটা জঙ্গল হয়ে আছে বাড়ির চারপাশে। সনাতনের অভ্রান্ত অনুমান, দু’কাপ চা আর পাউরুটিতে কাজ শেষ হবে না মোটেই। বরং কাজ শেষ হওয়ার অনেক আগেই খিদে পেয়ে যাবে তার। আবার বাড়িতে গিয়ে ভাত চাইতে হবে। মা কৈফিয়ত চাইবে, এত সস্তায় কেন খাটতে গেল ও?
আসলে সনাতনের কিছু করার নেই। ছোট থেকেই ওর মাথাটায় বেশ গন্ডগোল। তাই বরাবর বাপে খেদানো-মায়ে তাড়ানো। যাক গে, সে যা হবে দুপুরেই দেখা যাবে। পরে ভাতের খিদের ব্যাপারটা কপালের উপর ছেড়েই চায়ে পাউরুটি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করে দিল ও। খাওয়া শেষে চায়ের কাপটা ধুয়ে রেখে দিল বামুনবাড়ির চৌহদ্দির বাইরে, সেপটিক ট্যাঙ্কের উপর। ওই কাপ ওখানেই থাকে বরাবর। মুচির এঁটো কাপের ঠাঁই হয় না বামুনবাড়ির হেঁশেলে। আবার মাস চার-পাঁচ বাদে সনাতন কাজ করতে এলে ওই কাপ ধুয়ে চা খেতে হবে তাকে। পাশেই রাখা ওর বাবার চায়ের কাপটা। সাদা রঙের, ভিতরে অজস্র ফাটল। কাপের কানা ভাঙা। ওর বাবাও এমনই কাজ করত বামুনবাড়িতে। কখনও জনকিষেণ খাটত, কখনও ঝাঁটা তৈরি বা মাটির উনুন তৈরি। বাবার কথা মনে পড়তেই সনাতন ভাবে, বাড়িতে তার খাওয়া নিয়ে এত কথা কেন! বাবা মারা গিয়েছে। তার ভাগের খাবারটা তো সে পেতেই পারে, নাকি! এই রহস্যটা কিছুতেই ভেদ করতে পারে না সে। বাবার মতোও উপায় সে যে করে না এই জিনিসটা তার মাথায় ঢোকে না কিছুতে।
সনাতনের বাবা বলাই মারা গিয়েছে যক্ষ্মায়। প্রচণ্ড মদ খেত। বেশিরভাগই চোলাই, পুজোর সময় ঢাক বাজিয়ে বখশিস পেলে বাংলা। অনেকেই তা খায়। কিন্তু বলাইয়ের তেমন ভাবে খাবার জুটত না। পকেটে একটা ছোট লাল ডায়েরি আর সবুজ কলম নিয়ে ঘুরত পাড়ায়। কবে কোথায় ঢাক বাজাতে হবে তা লেখা থাকত ডায়েরিতে। সেই ডায়েরিটা এখন রাখা আছে কুলুঙ্গিতে। লেখাপড়া জানে না সনাতন। তাই বাবার লাল ডায়েরিতে কী লেখা তা তার পক্ষে আর জানা সম্ভব নয় কোনো দিন। তবে সে দেখতে পাচ্ছে, বাবার চায়ের কাপটা এখনও রয়েছে বামুনবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের উপর। নিজের কাপটা ধুয়ে রাখতে গিয়ে সেটা এক বার ছুঁয়ে দেখে সনাতন। কানের গোড়া থেকে লাল সুতোর একটি বিড়ি বার করে মুখে দেয়। তার পর, বাবার সবুজ লাইটারটা জ্বেলে ধরায়। বাবার মৃত্যুর পর লাইটারটা এখন ওর সম্পত্তি। চা-পাউরুটি, নগদ ১০ টাকা আর এক বান্ডিল বিড়ি-দেশলাই। এই হচ্ছে বামুনবাড়ি কাজ করে সনাতনের রোজগার।
এই সময় সনাতনের পাশে এসে দাঁড়ায় বুবাই। তাকে দেখে একগাল হাসে সনাতন। এমন ফর্সা টুকটুকে বাচ্চা ছেলেকে দেখলে হাসতে হয়। ওকে দেখেই ওর কিশোরী দিদির কথা ভাবে সনাতন। একটু আগে বুবাইদের বাড়ির বাথরুমের চারপাশের জঙ্গল সাফ করতে গিয়েছিল সনাতন। বাথরুমে কল খোলার আওয়াজ পেয়ে ঘুলঘুলি দিয়ে উঁকি দিয়েছিল সে। দেখতে পেয়েছিল, বুবাইয়ের দিদি স্নান করছে। বেশ মজা পাচ্ছিল সনাতন। কামাতুর হয়ে উঠেছিল। সেই বেগ এখনও যায়নি তার। বুবাইকে দেখে ফের সেই ইচ্ছেটা চাগাড় দিয়ে ওঠে ওর। কিন্তু বিপদ আছে। সেই সব ভেবেই ও থমকে যায়। ময়লা লুঙ্গির গ্যাঁট থেকে ফের বিড়ি বার করে ধরায়। তার পর বুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসতে থাকে। আর জিভ দিয়ে চুক চুক করে আওয়াজ করতে থাকে। সনাতনের এই ভঙ্গিটা কোনও দিন পছন্দ হয় না বুবাইয়ের। হাতের লাঠিটা যতটা সম্ভব শক্ত করে ধরে সজোরে সনাতনের পাঁজর লক্ষ্য করে চালিয়ে দেয় ও। বিপদ বুঝে ঘুরে গিয়েছিল সনাতন। কিন্তু আঘাতটা সে পুরোপুরি এড়াতে পারে না। বাঁশের লাঠির একটা অংশ সপাটে লাগে তার পাঁজরে। যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে ও। বুবাইয়ের বয়স কম। কিন্তু জাত-বিচ্ছু। সনাতনকে দেখলেই খেপে ওঠে। ওর মায়ের কাছে অনেক বার নালিশ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু হয়নি। তবে এবার ঘা খেয়েই চেঁচিয়ে ওঠে সনাতন, ‘‘অ্যাই! তোকে এবার আধলা ছুড়ে মারব।’’ বলেই ও উঠোন থেকে একটা ইট তুলে নেয় হাতে। কিন্তু ছোড়ার সাহস হয় না। কারণ, চা-পাউরুটি খাওয়া হয়ে গেলেও দশটা টাকা নেওয়া এখনও বাকি আছে তার। টাকাটা ওর খুব দরকার। তাই বুবাইকে সে উপেক্ষা করেই এগিয়ে যায় উঠোনের কোণের দিকে। এখন ওই দিক থেকে ধীরে ধীরে ঘাস সরিয়ে নেড়া করে ফেলবে ও। এসব কাজে সূক্ষ্ম হাত ওর। বরাবরই ভাল পারে। ঠিক বাবার মতো। কিন্তু তেমন পয়সা পায় না। হাতে নিড়ানি নিয়ে উবু হয়ে বসে পড়ে। ঘাসের গোড়ায় দৃষ্টি দেয়। ওর সরু হয়ে আসা চিবুকে মাথা থেকে ঘাম নামে ফোঁটা ফোঁটা। আশ্বিনের রোদ বড় প্রখর। সনাতন ঘাড় নিচু করে হুঁ হুঁ করে গান গাইতে গাইতে কাজে মগ্ন হয়ে যায়। মুঠোয় গোছা গোছা ঘাসের উপরের অংশ ধরে নিড়ানি দিয়ে গোড়া থেকে তুলতে থাকে সে। আর গানের সুরটা বজায় রাখতে মাঝে মাঝে জিভ উপরের তালুতে ঠেকিয়ে চুক চুক করে আওয়াজ করে। ওর মনে পড়ে যায়, সকালে বাথরুমে বুবাইয়ের দিদির শরীরটা দেখার দৃশ্যটা। ঘাস নিড়ানোর মুহূর্তেই আনন্দবিহ্বল হয়ে ওঠে ও। মুখে জিতে যাওয়ার মতো একটা হালকা হাসি খেলা করে।
দুপুর দেড়টা নাগাদ কাজ শেষ হয় সনাতনের। তখন খিদেয় তার পেট ঢুকে গিয়েছে আরও। বুবাইয়ের মায়ের হাত থেকে দশ টাকার নোটটা নেওয়ার সময় আরও এক বার ভাত দেওয়ার অনুরোধ করে। এবার বামুনগিন্নি আর না বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘‘যা, একটা কলাপাতা কেটে আন।’’ সেই আহ্বান শুনে আনন্দ আর ধরে রাখতে পারে না সনাতন। বাইরে বেরিয়ে হেঁসোর ডগা দিয়ে উজ্জ্বল সবুজ একটা কলাপাতা নামিয়ে নেয়। তার পর কুয়ো থেকে জল তুলে পাতা ধুয়ে উঠোনের এক কোণে বসে পড়ে। হাতটা ভাল করে না ধুয়েই গোগ্রাসে মুখে ঢোকাতে থাকে ভাত, ডাল আর সিম-আলুর তরকারির পরমান্ন।
কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
সে দিন রাতেই সনাতনের বাড়িতে ফের একচোট অশান্তি হয়ে যায়। শোওয়ার জায়গা নিয়ে সমস্যা। মাস পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছে সনাতনের বড় বোন চাঁদনির। চাঁদনিও ছোটবেলা থেকে সনাতনের মতোই মাথাপেয়ালা। কখন কী করে, কী বলে সেই খেয়ালই নেই ওর। তার ইচ্ছে আর কথা তেমন স্পষ্ট নয়। কেমন যেন অকে অপরের সঙ্গে জড়ানো-পাকানো। কিছুতেই আলাদা করে ধরা যায় না। চাঁদনির বর শ্রীকান্ত বিয়ের আগে বলেছিল, ও নাকি একটা কারখানায় কাজ করে। কিন্তু বিয়ের মাস দু’য়েকের মাথায় দেখা যায়, শ্রীকান্ত পাততাড়ি গুটিয়ে আস্তানা গেড়েছে শ্বশুরবাড়িতে। সে নাকি ঘরজামাই থাকবে। মাটির বাড়ি সনাতনদের। সর্বসাকুল্যে আড়াইখানা ঘর। দুয়ারের কোণে রান্না হয় মাটির উনুনে। দুয়ার ঘেরা কঞ্চির বেড়া দিয়ে। বাবু-ভদ্দরলোকরা ঢুকতে পারে না ঘরে। কারণ মাথা নিচু করতে হয় অনেকটা। সেই আড়াইখানা ঘরের একটিতে থাকে সনাতনের মা ও ছোটবোন। আর একটি ঘরে থাকে সনাতন। সেটা অবশ্য বেশ ছোট। কোনওক্রমে এক জনের জায়গা হয়। এর মাঝে চাঁদনি আর শ্রীকান্তের জায়গা কোথায় হবে? তাই শ্বশুরবাড়িতে আসা ইস্তক ঘরের চালের উচ্চতা থেকে আরও নুয়ে আসা দুয়ারেই সস্ত্রীক থাকতে হচ্ছে শ্রীকান্তকে। সেখানে মাথা তুলে দাঁড়ানো দায়! এ নিয়ে সে রাগ-দুঃখ প্রকাশ করেছে বার বার। তার নজর সনাতনের ঘরটায়। মাসখানেক ধরে এই নিয়েই অশান্তি চলছে বাড়িতে। কিছুতেই থামে না।
এমনিতে মানুষের মনের গভীরে ইচ্ছা বা কথার অন্তর্নিহিত রসিকতা একদম বুঝতে পারে না সনাতন। তার আশপাশে এই সব দৃশ্য তৈরি হলে বোকার মতো চেয়ে থাকে সে। শব্দ না করে হাসে। মানুষ মানেই সে বোঝে হাসি আর ভরপেট খাবার। কিন্তু সেই রাতে শোওয়ার জায়গা নিয়ে তুমুল অশান্তির সময় শ্রীকান্তের জ্বলজ্বলে চোখ দুটো দেখে ভিতর থেকে কেঁপে যায় সে। শ্রীকান্তের মনের কথা এক লহমায় যেন বুঝে যায় সনাতন।
দাসবাড়ির জামাই শ্রীকান্ত দৃশ্যত বেশ ধার্মিক। ঢ্যাঙা, আর পাঁজর বার করা চেহারা। মুখটা চোয়াড়ে। পেটটা উঁচু হয়ে থাকে পিলেরোগীর মতো। গলায়-কব্জিতে রুদ্রাক্ষের মালা ঝুলছে। কপালে সিঁদুরের জ্বলজ্বলে টিপ। আঙুলে গোটা কয়েক আংটি। চুল পরিপাটি করে ঘাড়ের দিকে টেনে আঁচড়ানো। রোজ ভোরে গঙ্গায় স্নান করা তার অভ্যাস। আবার বেলা হলে সেই গঙ্গার পারে রোজই প্রায় খালিপেটে চোলাই টানে কয়েক লিটার। দিনভর নেশা করে সে বাড়ি ফেরে সন্ধ্যায়। শ্রীকান্তের সেই সব গুণ শ্বশুরবাড়িতে পা দেওয়ার দিন থেকেই সকলে জেনে ফেলেছে। দিন পনেরো হল ভোরে গঙ্গাস্নানের অভ্যাস সে ধরিয়ে দিয়েছে সনাতনকেও। এখন শালা-জামাইবাবু মিলে ভোরে উঠে বেরিয়ে পড়ে। গোটা দু’য়েক বিড়ি টানতে টানতে তারা পৌঁছে যায় গঙ্গার ঘাটে।
স্নানের নয়, শবদাহের কাঁচা ঘাট। শেষকৃত্যের পর স্নান বা প্রয়োজনীয় জলের জন্য কোনওক্রমে গঙ্গায় নামার ব্যবস্থা আছে, এই যা। আশপাশের লোকজন বলে, ওখান থেকে গুনে গুনে দশ পা এগোলেই গঙ্গার তল আচমকা নেমে গিয়েছে। সেখানে পড়ে গেলে আর রক্ষা নেই।
রাতভর অশান্তির পর, ভোরে সনাতনকে ঘর থেকে ডেকে নেয় শ্রীকান্ত। তার পর অন্ধকার থাকতে থাকতে তারা বেরিয়ে পড়ে গঙ্গার ঘাটের দিকে। এক সময় পৌঁছেও যায়।
সকাল তখন দশটা হবে। হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে একা পাড়ায় ঢোকে শ্রীকান্ত। বাড়ির উঠোনে দাঁড়াতেই তার অমন মড়াকান্না শুনে সকলে ঘিরে ধরে। কী হয়েছে, সনাতনই বা কোথায়, এই সব জানতে চায়। কিন্তু কিছুতেই শ্রীকান্তের কান্না থামানো যায় না। অনেকক্ষণ গোঙানোর পর সে জানায়, গঙ্গার স্রোতে ভেসে গিয়েছে সনাতন। অনেক চেষ্টা করেও তাকে পারে টেনে আনা যায়নি। এরপর, বহুদিন কেটে গেলেও সনাতনের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
দিন কয়েক অপেক্ষা করে, সনাতনের ফাঁকা ঘরে পাকাপাকি ভাবে উঠে যায় শ্রীকান্ত ও চাঁদনি। কানাঘুষো শোনা যায়, শ্রীকান্ত নাকি সাধনার একের পর এক ধাপ পেরোচ্ছে। একে-ওকে বশীকরণ করছে, বাণ মারছে। দাসপাড়ায় ওঝা হিসাবে তার বেশ নামডাক।
এই ঘটনার বছর দেড়েকের মাথায়, গঙ্গার পারভাঙা স্রোতে এক দিন ভোরে ভেসে যায় শ্রীকান্তও। তারও আর খোঁজ মেলে না কোনো দিন। দিন পনেরো অপেক্ষার পর, সিঁথি থেকে সিঁদুর মুছে ফেলে চাঁদনি।
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
সুদীপ্ত আচার্য
2 দিন আগেমানুষ দেখা,মানুষ চেনা সহজ না; কিন্তু লেখক সহজেই এই কাজটা করেছেন। অসাধারণ একটা উপহার, মানবিক কলম চলতে থাকুক।