preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
একটি ভয়ের গল্প
গল্প

একটি ভয়ের গল্প

প্রাঞ্জলের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বিফল হওয়ার পর থেকে প্রসূনকে ঘৃণা করতে শুরু করে দেবস্মিতা। তবে সেই ঘৃণা-রেখা তার প্রতি ভালবাসার সরল দাগটাকে পেরিয়ে যায় না কখনই। ফলে তার মনের দাঁড়িপাল্লা নিচু হয়ে থাকে ওর প্রতি। মাঝে-মাঝে তার মনে হয়, কেন এই পথে পা বাড়াল ও! কেনই বা আত্মসমর্পণ করল? খুব ভেবেও কখনই কেবলমাত্র প্রসূনকে একা দায়ী করতে পারে না ও। তিরটা তার নিজের দিকেও ঘুরে যায়।

‘‘মেয়ে কেমন দেখলে? আমার মতো?’’

দেবস্মিতার প্রশ্নটা শুনে হালকা হাসল প্রসূন। তারপর বলল, ‘‘তার থেকে ভাল।’’

প্রসূনের এমন বাঁকা কথায় অভ্যস্ত দেবস্মিতা। বহু বছর ধরে ঘন হয়েই মিশছে তারা। প্রসূনের মনের খোলনলচে-আলিগলি এখন ওর চেনা। তাও উত্তর করল, ‘‘হুমম, বুঝেছি। বিয়ের পর তো তাকে নিয়েই থাকতে হবে। তাই আগাম এত প্রশংসা!’’

খোঁচাটা গায়ে মাখে না প্রসূন। ও ভালই জানে দেবস্মিতার অধিকারবোধের টান সে কোনও দিনই এড়াতে পারবে না। লঘু গলায় বলে, ‘‘মেয়ে শিক্ষাদীক্ষায় প্রজ্ঞাপারমিতা। কুঁচবরণ কন্যা। আর র‌্যাপুনজেলের মতো চুল।’’

দেবস্মিতা কাছে এগিয়ে এসে প্রসূনের থুতনিটা ধরে বলে, ‘‘তা সেই চুল ধরে এই রাজকুমার কবে কেল্লায় যাচ্ছে?’’

প্রসূন বলে, ‘‘বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনও। বাড়ির লোকজন আমাদের কোষ্ঠী দেখে পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলবে। তবে ওর মধ্যে আমি আর নেই। যা করার এবার ওরাই করুক।’’

‘আমাদের’ শব্দটার উচ্চারণ ধাক্কা দেয় দেবস্মিতাকে। প্রসূনের স্বাভাবিক ছন্দে এই সব উচ্চারণও তাকে বিদ্ধ করে। সেইসব অভিমান ঢেকে, সে গম্ভীর গলায় বলে, ‘‘মেয়েটাকে তোমার পছন্দ?’’

এবার চুপ করে যায় প্রসূন। জানালার কাছে গিয়ে পর্দাটা সরিয়ে দেয়। তারপর তিন তলা থেকে তাকিয়ে থাকে দূরের আকাশের দিকে। পকেট থেকে সিগারেট বার করে ধরায়। সিগারেটের ধোঁয়া আর ওই আকাশে ঝড়ের ইঙ্গিত পায় দেবস্মিতা। প্রসূনের এই ইশারাও সে বোঝে। এতদিন ধরে ও দেখছে, ভুল হওয়ার নয় কিছুতেই। তাদের মধ্যে আরও একজন ঢুকে পড়ার দরজাটা খুলে যাচ্ছে। কিন্তু তা ঠেকানোর কোনও উপায় ওর জানা নেই। সে ভাবে, প্রসূন কী এর থেকে বেরোতে পারে না? নাকি বেরোতে চায় না?

বর্ধমান থেকে বদলি হয়ে মুর্শিদাবাদের এই ছোট্ট শহরে এসেছিল প্রসূন। প্রথম-প্রথম গেস্ট হাউসে উঠেছিল। সেখান থেকেই অফিস করছিল। পরে ভাড়া চলে আসে সহকর্মী প্রাঞ্জলের বাড়িতে। প্রাঞ্জলই আগ বাড়িয়ে সব ব্যবস্থা করে দেয়। শহরের মূলকেন্দ্রে পৈতৃক তিনতলা বাড়ি প্রাঞ্জলের। বাবা-মা গত হয়েছেন অনেক দিন আগে। স্ত্রী দেবস্মিতাকে নিয়ে থাকে সে। দোতলা ও তিনতলার ঘরগুলি তার কাজে লাগে। কিন্তু একতলাটা পুরো ফাঁকাই। সেখানেই ভাড়া ওঠে প্রসূন। তারপর বছর পাঁচেক কেটে গিয়েছে। প্রাঞ্জল-দেবস্মিতা আর প্রসূনের সম্পর্কের ধারা এখন সাপের হিলহিলে গতিতে বইছে। সেই গিঁট খোলা স্বয়ং প্রজাপতি ঋষিরও অসাধ্য।

প্রসূনকে প্রথম দেখে বেশ চমক লেগেছিল দেবস্মিতার। ছেলেটা সহজসরল। এখনও শহুরে চালচলনে অভ্যস্ত নয়। সেই চমকই ক্রমে-ক্রমে ঘোরে পরিণত হল। এক-একদিন রান্নার মাসি না এলে হাত পুড়িয়ে রাঁধতে হত প্রসূনকে। কখনও বা চিঁড়ে-মুড়ি খেত। সে সব দেখে মাঝে-মাঝে তাকে নিমন্ত্রণ করত প্রাঞ্জল। সেই নিমন্ত্রণেই ভিন্ন আমন্ত্রণ খুঁজে পেয়েছিল প্রসূন।

কেতাব-ই'র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন manuscript.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

প্রাঞ্জল প্রথম-প্রথম এসব ধরতে পারেনি। বছর খানেক তার চোখে ধুলো দিয়ে চলছিল ওদের সম্পর্ক। কিন্তু একদিন সব ধরা পড়ে যায়। তবে এ নিয়ে সে তেমন কিছু বলেনি স্ত্রীকে। রাতে খেতে বসে শুধু জানতে চেয়েছিল, ‘‘তুমি কি সত্যিই এখন থেকে পুরোপুরি ওর?’’

প্রাঞ্জলের চোখের দিকে তাকিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি দেবস্মিতা। তবে স্ত্রীর চুপ করে থাকা যে আসলে অনেক প্রশ্নের উত্তর সেটা ঠিক পড়ে ফেলেছিল সে। প্রাঞ্জল চুপ করে গিয়েছিল। তার পরদিন সন্ধ্যায় দেবস্মিতাকে দিয়ে প্রসূনকে ডেকে পাঠায়। ডাইনিং রুমেই ওরা তিনজন বসে। চায়ের কাপ নিয়ে ধীরে-ধীরে আলোচনা শুরু করে তারা। বিষয়টা যে এত দূর গড়িয়েছে তা প্রসূনকে কোনও ভাবেই জানিয়ে উঠতে পারেনি দেবস্মিতা। কিন্তু কথাবার্তার সময় সকলকে অবাক করে দেয় প্রাঞ্জল। দেবস্মিতাকে বলে, ‘‘আমাকে ডিভোর্স দিয়ে তুমি প্রসূনের সঙ্গে ঘর বাঁধো। আমার কোনও আপত্তি নেই।’’ গোটা ব্যাপারটা যে এতটা খোলাখুলি হয়ে পড়বে তা না ভাবতে পেরেছিল প্রসূন, ভেবে উঠতে পারেনি দেবস্মিতাও। লজ্জায় ঘাড় হেঁট হয়ে গিয়েছিল তার। প্রসূনও বসেছিল মাথা নিচু করে। তার মনে হয়, এই প্রাঞ্জলকে সে চেনে না। আবার দেখতে পায়, বহু মেলামেশার পরেও সে প্রসূনকেও চিনে উঠতে পারেনি। প্রাঞ্জলের প্রস্তাবে প্রসূন যেন কেন্নোর মতো গুটিয়ে যাচ্ছে। ঘাড় তুলতে পারছে না কিছুতেই। জোর গলায় প্রাঞ্জলের প্রস্তাবে সায় দিতে পারছে না। সেই ঘণ্টাখানেকের অসহ্য পরিস্থিতির পর একেবারেই চুপ করে যায় প্রাঞ্জল। বেশ কয়েক বছর ধরে স্বামীর সেই মৌনতা অবশ্য এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে দেবস্মিতার।

 

আরও গভীরে গিয়ে, এখন ও ভালই বুঝতে পারে, কেন সেদিন প্রাঞ্জলের প্রস্তাবে সায় দেয়নি প্রসূন। ওরা ব্রাহ্মণ। বর্ধমানের গ্রামে বিপুল সম্পত্তি ওদের। ওদের পূর্বপুরুষ নাকি কোনও এক সময় রাজা ছিলেন। সেই সব ঠাটবাট আগের মতো না থাকলেও, যা আছে তা কম নয় মোটে। বাড়িতে দুর্গাপুজো, গ্রামের লোকজনকে পাত পেড়ে খাওয়ানো, এই সব রীতি-রেওয়াজ দেড়শো-দুশো পরেও টিকে আছে বহাল তবিয়তে। তাই প্রাঞ্জল নিজে থেকে এই প্রস্তাব দিলেও, প্রসূনের বাড়িতে এই সম্পর্ক কখনই মেনে নেবে না। কিন্তু দেবস্মিতার মনে প্রশ্ন জাগে, প্রসূন যখন একা পেয়ে প্রবল আশ্লেষে ওকে জড়িয়ে ধরে, যখন ওর ভিতরে প্রবেশ করে, তখন ওর এই জাত্যাভিমান কোথায় যায়?

প্রাঞ্জলের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বিফল হওয়ার পর থেকে প্রসূনকে ঘৃণা করতে শুরু করে দেবস্মিতা। তবে সেই ঘৃণা-রেখা তার প্রতি ভালবাসার সরল দাগটাকে পেরিয়ে যায় না কখনই। ফলে তার মনের দাঁড়িপাল্লা নিচু হয়ে থাকে ওর প্রতি। মাঝে-মাঝে তার মনে হয়, কেন এই পথে পা বাড়াল ও! কেনই বা আত্মসমর্পণ করল? খুব ভেবেও কখনই কেবলমাত্র প্রসূনকে একা দায়ী করতে পারে না ও। তিরটা তার নিজের দিকেও ঘুরে যায়। মাঝে-মাঝে তাত্ক্ষণিক মুক্তির পথ হিসাবে আত্মহত্যার কথা ভাবে। কিন্তু প্রায় বেশিরভাগ আত্মহননেচ্ছু যে প্রশ্নে আটকে যান সেখানে থমকে যায় দেবস্মিতাও। কোন পদ্ধতি একেবারে যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর জন্ম দেয়? এই প্রশ্নের উত্তর আজও পায়নি দেবস্মিতা। কয়েক মুহূর্তের শেষ যন্ত্রণা নিয়ে বড় আতঙ্ক তার। তার চেয়ে এ ভাবে বেঁচে থাকা অনেক ভাল। শুধু উপলব্ধির গভীরতা অনেক কমিয়ে দিতে হবে, এই যা।

অফিস থেকে সিগারেট খেতে বেরিয়ে মৌমিতার মোবাইলে ফোন করল প্রসূন। পুরোহিত জানিয়েছেন, দু’জনের কোষ্ঠীতেই নাকি রাজযোটক মিল। তারপরেই মাকে দিয়ে মৌমিতার বাবার থেকে তার ফোন নম্বরটা চেয়ে পাঠায় প্রসূন। বিয়ের আগে মেয়েটাকে সে পড়ে নিতে চায় ভাল করে। আচমকা কতটা ভার নিতে পারে সেটা পরীক্ষা করবে ও এ’বার। প্রসূন ভালই জানে, তার গায়ে রাজরক্ত। শাসনই তার কাজ। গত কয়েক বছরে এটা বেশ ভাল করেই বুঝে গিয়েছে ও।

ফোনটা প্রথম বার ধরতে পারেনি মৌমিতা। স্নান করছিল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে মোবাইলটায় দেখে একটা অচেনা নম্বর থেকে মিসড কল। চুলটায় কিছু ক্ষণ ড্রায়ার চালিয়ে ঘুরিয়ে ফোন করে ও। কয়েক বার কল হতেই ফোনটা ধরে প্রসূন। বলে, ‘‘হ্যালো, কেমন আছেন?’’

গলাটা চিনতে পারে না মৌমিতা। প্রশ্ন করে, ‘‘কে বলছেন?’’ উত্তর আসে, ‘‘আমি প্রসূন।’’ এ’বার এক-ঝটকায় চিনে যায় মৌমিতা। মনে পড়ে যায় প্রসূনের প্রথম দিন ওদের বাড়িতে আসার দৃশ্যটা। সারা জীবন পড়াশোনা ছাড়া আর কোনও দিকে তাকানোর সুযোগ পায়নি মৌমিতা। কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে দু-একজন ওকে পছন্দ করত খুব। সে খবর ও যে জানত না এমন নয়। কিন্তু সেই পথে ও এগোয়নি। বরাবর পড়াশোনাতেই মনোযোগ দিয়েছে। তা ছাড়া, বাড়িতেও মা তার প্রতিদিন নিয়ম করে খোঁজখবর নিত। মেয়ের মনে কেউ ঢুকছে কিনা সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি ছিল তাঁর। তার বাবা সরাকরি চাকুরে। তাই তাঁরও দুর্বলতা আছে সরকারি চাকরির প্রতি। এসব ভেবে ইচ্ছাগুলিকে মেরেই ফেলেছিল মৌমিতা। ফোনে প্রসূনের বার বার ‘‘হ্যালো, হ্যালো’’ চিত্কার শুনে সম্বিত ফেরে তার।

সে উত্তর দেয়, ‘‘আমি ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?’’

‘‘ভাল, প্রথম বার আপনার ফোনটা বেজে গেল। আমি ভাবলাম বুঝি আমার ফোন ধরবেনই না।’’ প্রথম বার কথা বলার আড়ষ্টতা কাটানোর চেষ্টা করে প্রসূন।

মৌমিতা বলে, ‘‘আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম। বলুন, আপনি কী করছেন?’’

 

তৃতীয় বার টেলিফোনিক কথোপকথনে প্রসূন ও মৌমিতার আলাপ বেশ জমে যায়। এই দফায় তারা সিনেমা নিয়ে কথা বলে। প্রসূন সিনেমাপ্রেমী নয় মোটে। কয়েক বার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যা গিয়েছে। তার পর, কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার চাপে এসবের দিকে তাকানোর সময় পায়নি। কিন্তু মৌমিতার কথা মন দিয়ে শোনে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে তাকে এবার জেনে নিতে হবে দেবস্মিতার থেকে। তৃতীয়বারে সে বুঝতে পারে, মৌমিতার আগ্রহ সিনেমা, বইপত্র এমন নানা দিকে। ওর মতো, টাকা, সেভিংস, এসআইপি, ইউলিপ এই মেয়েটার মাথায় ঘোরে না। বাড়ি থেকে তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও, মৌমিতাকে চমকে দিতে প্রথম প্রথম একটু-আধটু প্রস্তুতি নিয়ে নেয় প্রসূন। একদিন তারা দেখাও করে। ওদের বাড়িতে মৌমিতাকে প্রথম বার দেখায় যে ভাল লাগা কাজ করেছিল প্রসূনের মধ্যে তা যেন বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যায় দ্বিতীয় দেখায়। রেস্তরাঁয় ওর সামনেই বসে আছে মাথা নিচু করে। ভঙ্গিটা ভাল লাগে তার। এমন দৃশ্যের জন্ম হয়েছে দেবস্মিতার সঙ্গে রেস্তরাঁয় গিয়েও। সেই ছবিও তখন সিনেমার মতো ফুটে ওঠে প্রসূনের চোখে।

মৌমিতা অতি সূক্ষ্ম ভাবে দৃষ্টি চালিয়ে বুঝতে পারে প্রসূনের বয়স তার থেকে কিছুটা বেশি। মনের ইচ্ছা যাই হোক, বাবা-মায়ের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া তার আর করার কিছু নেই। বাবা বলেছে, চাকরি পরে। আগে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে। ঠিক এই সময়েই প্রসূন তার কাছে জানতে চায়, ‘‘বিয়েতে কী চাই আপনার?’’

এসব কথা কোনও দিন বাবার কাছেও মুখ ফুটে বলেনি মৌমিতা। তবুও সেদিন প্রসূন তাকে দিয়ে বলিয়ে নেয়, সোনার স্বাস্থ্যবান হারের কথা। মৌমিতাদের বাড়িতে গিয়ে ওদের আর্থিক সক্ষমতা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে প্রসূনের। ওর হবু শ্বশুরের খামতি যে কোথায় তাও এত দিনে বুঝেছে প্রসূন। সেই অভাব ও ঢেকে দিতে চায় সোনা দিয়ে। এই ভাবনা কিছুদিন আগেও ওর মাথায় খেলত না। কিন্তু এখন যেন সেই সব ভাবনা বাঁধভাঙা স্রোতের মতো তৈরি হচ্ছে। ইচ্ছা হচ্ছে, একের পর এক দুর্গ জয়ের।

সেদিন রাতেই হোয়াটসঅ্যাপে হারের ছবিটা মৌমিতাকে পাঠায় প্রসূন। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় সেটা কিনে এনেছে ও। মেয়েদের পছন্দ ভাল বুঝবে বলে সঙ্গে গিয়েছিল দেবস্মিতা। ওই পছন্দ করেছে হারটা। এ জন্য বেশ মোটা টাকাই খসল প্রসূনের। তাতে ওর অবশ্য পরোয়া নেই। এখন ও ভিতরে-ভিতরে জয়ের আনন্দ পেতে শুরু করেছে।

এই ভাবে ওদের বিয়ের দিন এগিয়ে আসে। ২৩ মাঘ। দু’পক্ষ মিলে স্থির হয়েছে দিন। এখন সবে কার্তিক পেরোচ্ছে। ধীরে-ধীরে এগিয়ে আসছে অলাতচক্র।


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

Image Description

Shatarupa Ari

1 মাস আগে

Khb valo lekhechis pore valo laglo


Image Description

Shatarupa Ari

1 মাস আগে

Khb valo lekhechis pore valo laglo


Image Description

Sudipta Acharyya

1 মাস আগে

পড়ে মনে হলো না লেখকের লেখা প্রথম গল্প এটা, খুব ভালো লাগলো, আরো গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।


মন্তব্য করুন

লেখক

কণাদ মুখার্জি, জন্ম: ১৯৭৯, শিক্ষা: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রথমে ইংরেজি ভাষা ও পরবর্তীকালে সাংবাদিকতার ছাত্র। পেশায় সাংবাদিক। গ্রামের মানুষ। শহরে পেটের দায়ে আসা। মূলত ফেসবুকে লেখালিখি। গল্প লেখা এই প্রথম।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন