preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
ভালো প্রশ্ন না হলে ভালো পডকাস্ট হতে পারে না
জীবনশৈলী

ভালো প্রশ্ন না হলে ভালো পডকাস্ট হতে পারে না

আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে একটা ভীষণ মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা লিখেছিলেন রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি—স্মৃতিস্মরণীর মোমবাতিরা। যাঁরা পড়েননি বা যাঁরা আরেকবার ঝালিয়ে নিতে চান, আনন্দবাজারের আটই ডিসেম্বর ২০২৪ এর ইন্টারনেট ভার্সনে পড়ে আসতে পারেন। সেই স্মৃতিকথকতায় এক জায়গায় লিখেছেন, “আমার গোটা আমিটাকে আমি শুধু রিহার্সাল রুমেই খুঁজে পাই। বাকি আর সব কাজে আমার টুকরো-টাকরা পৌঁছয়।” সেই ‘টুকরো-টাকরা’ অনেকটা পরিসর জুড়ে সমৃদ্ধ করে চলেছে আমাদের। অভিনেতা রাহুলকে অনেক সময় হয়তো ছাপিয়ে গেছেন লেখক, থিয়েটারকর্মী, নাট্যকার, ক্রিকেটপ্রেমী, পডকাস্টার রাহুল। সব ছাঁচেই তিনি অনবদ্য। আমরা ওঁর সাথে কথা বলেছিলাম ওঁর জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘সহজ কথা’ নিয়ে।

প্রশ্ন: এত ব্যস্ততার মধ্যে পডকাস্ট শুরু করার ব্যাপারটা আপনি কীভাবে ভাবলেন?

রাহুল: এই ভাবনাটা বেশ কয়েকটা জায়গা থেকে একসাথে উদ্ভূত হল। আমি একটু বিরক্ত ছিলাম কয়েকজনের পডকাস্ট নিয়ে। অভিনেতা হিসেবে অনেকেই আমার ইন্টারভিউ নিতে আসেন, এবং আমি তাঁদের দেখেছি, আমার ইম্পরট্যান্ট কাজগুলো জানে না, অথচ আমি কতগুলো প্রেম করেছি তার খবর আছে। আমি কতগুলো প্রেম করেছি সেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কতটা উৎসাহী করবে জানি না, কিন্তু ক্লিকবেট হেডিং হিসেবে খুব কাজে লাগবে।

আমি মনে করি ভালো প্রশ্ন না হলে ভালো পডকাস্ট হতে পারে না। আমার এই ইন্ডাস্ট্রিতে একুশ বছরে উপার্জন হল বন্ধুত্ব, এবং আমি তাদের এমন কিছু প্রশ্ন করতে পারব যেগুলো অন্য কেউ করতে পারবে না। সেটা আমার অ্যাডভান্টেজ। কারণ আমি তাদের সাথে সাজঘর শেয়ার করেছি। সাজঘর বারো-চোদ্দ ঘন্টা শেয়ার করা মানে এমন অনেক কথা শেয়ার করা, যেটা অন্য কোনো সম্পর্কে করা সম্ভব নয়, একজন সাংবাদিকের সঙ্গে তো নয়ই। আবার যেহেতু প্রত্যেকে আমরা বন্ধু আর সাজঘরে আমরা গোপনতম সিক্রেটগুলো শেয়ার করি, আমার নিজের একটা স্বআরোপিত দায়বদ্ধতা আছে যে কিছু প্রশ্ন আমি কোনোদিন করব না। কারণ আমি সবার থেকে ভালো জানি কোনটা কাকে অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে।

ইন্টারভিউয়ার হিসেবে আমার ধ্যানধারণা একটু প্রাচীন। আমি এখনও ইন্টারভিউ হিসেবে সিমি গারেওয়ালের র‍্যঁদেভু দেখা বেশি পছন্দ করি, করণ জোহরের কফি উইথ করণের থেকে, যেখানে সতীর্থদের রেট করতে হবে। ধরুন আমি ঋত্বিককে ডেকে অনির্বাণ আর আবীরকে রেট করতে বললাম—এটা কোনো প্রশ্নই হতে পারে না। এই ধরনের বালখিল্য প্রশ্নের কোনো জায়গা আমার কাছে নেই। যাঁরা আমার সহজকথায় ঘন্টা দেড়েকের জন্য আসছেন, তাঁরা তাদের মূল্যবান সময় বার করে আসছেন। এখানে তো কেউ টাকার জন্যে আসছেন না, আমাকে ভালোবেসে আসছেন। আমাকে সেই সময়টাকে তো সম্মান দিতে হবে। তাঁদের প্রশ্ন করার জন্য আমার হোমওয়ার্কটা তো করে রাখা উচিত। ওঁদের কাজগুলো নিয়ে পড়াশুনো করে রাখা উচিত। তাঁদের ওই সময়টার মূল্য যদি না বুঝতে পারি তাহলে আমার হোস্ট হবার কোনো যোগ্যতা নেই।

কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

প্রশ্ন: ট্রাডিশনাল ইন্টারভিউ আর পডকাস্ট, এই দুটোর মধ্যে কি কোনো বিভাজন রেখা টানা যায়?

রাহুল: একটা বিভাজন তো আছেই। আমাকে যদি চ্যানেলের সাথে ইন্টারভিউ করতে হত, আমার ওপরে কিছু নির্দেশ থাকত সেটাকে সেনসেশনালাইজ করার। চ্যানেলের আবার কিছু বোকা বোকা ডিরেক্টিভ থাকে। যেমন ধরুন, ‘শুটিংয়ের কিছু মজার ঘটনা বলুন’। এখানে কেউ পিকনিক করতে আসছে না। একটা সিনেমার শুটিংয়ের পঞ্চাশ দিন পরে ইন্টারভিউয়ে যখন কেউ এসব জিজ্ঞেস করে, আমরা অর্ধেক সময় হাতড়াই। আল্টিমেটলি, একটা বোকা বোকা উত্তর দিতে হয় বা বানিয়ে গল্প বলতে হয়।

কিন্তু আজকে আমি সেনসেশনালাইজ করব কি করব না, সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার। ভালো গল্প, ভালো অভিনয় করলেও, প্রোডাকশন বা ডিরেকশনের জন্যে একটা ছবি খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমার লেখার আর আমার পাঠকের মধ্যে কিন্তু কোনো ব্যবধান নেই। এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। আমার লেখা অন্য কেউ খারাপ করে দিতে পারবে না। ভালো বা খারাপ যেটাই হোক, আমার জন্যেই হবে। পডকাস্টও তেমনই। এটা একটা সস্তার শো হবে, না একটা ভিন্নধর্মী শো হবে সেটা পুরোপরি আমার ডিসিশন।

প্রশ্ন: আপনি এখনও পর্যন্ত মূলত সিনেমা বা মিডিয়ার লোকজনকেই আপনার শো-তে এনেছেন। এর পরে আপনার লংটার্ম প্ল্যান কী? এটা কি আপনি চালিয়ে যাবেন?

রাহুল: এটা আমাদের দীর্ঘদিন চালিয়ে যাবারই ইচ্ছে আছে। আমার পডকাস্টে সুদীপ মল্লিক এসেছেন, যিনি বলরাম মল্লিক মিষ্টির দোকানের কর্ণধার। শ্রীজাত এসেছেন, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এসেছেন। আর একজন বিখ্যাত মানুষই যে ভালো ইন্টারভিউ দেবেন তা নয়। একজন ট্যাক্সিচালক, যিনি ট্যাক্সিতে গাছ লাগিয়ে ঘুরছেন কারণ তিনি সবুজায়ন চান শহরে, তাঁকে এনেও একটা এপিসোড করা যায়। সেটার জন্যে ‘সহজ কথা’কে আগে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়াতে হবে। সেটা যখন দাঁড়িয়ে যাবে, সাধারণের অসাধারণ গল্পকেও আমরা তুলে ধরতে পারব।

তবে একটা ব্যাপার হয়তো কোনোদিন আমার দ্বারা সম্ভব হবে না, সেটা হল তন্ত্র, সিউডো-সায়েন্স, পুরাণ আর বিজ্ঞান-এর মিলন বলে প্রচার করা। আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস আর আমার আইডিওলজির জন্য এটা আমি হয়তো কোনোদিন করে উঠতে পারব না। আমি কুসংস্কার বা হাফ বেক্‌ড বিজ্ঞান বিক্রি করতে পারব না।

প্রশ্ন: আপনাকে তো আমরা দেখি এবং চিনি, আপনার এই ‘সহজ কথা’য় আপনার টিম সম্পর্কে কিছু বলুন।

রাহুল: আমি যে টিমের সাথে কাজ করি তাদের নাম ‘অ্যানোনিমাস’। তারা অত্যন্ত দক্ষ এবং সুপরিচিত। লাস্ট দশ বছরে জনপ্রিয় সিনেমার বেশিরভাগ পোস্টার তাদের করা। ওদের ডিজাইন করা টি-শার্ট ‘বংমেড’ খুব বিখ্যাত। আমি ব্যাবসা, ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝি না. সেটা ওরা দেখছে। আর ক্রিয়েটিভ ব্যাপারটায় কেউ আমার সাথে ঢুকতে আসছে না. সেটা আমি যা করি, সেটাই ফাইনাল। ওরা এডিটিংটাও করে। আমি দেখে বলে দিই যদি কোনো অংশ এডিট করার প্রয়োজন থাকে, সেটা ওরা করে দেয়। তবে আমরা খুব বেশি এডিট যে করি তা নয়, তবে কোনোক্ষেত্রে গল্পের ছলে হয়তো কিছু কথা এসে যায় যেগুলো পরে শুনে মনে হয় যে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক শুরু করতে পারে। সেরকম পরিস্থিতিতে আমরা হয়তো কিছু এডিট করি।

প্রশ্ন: আপনি যাদের ইন্টারভিউ করেন, তাদের কাজ সম্পর্কে আপনি তো নিশ্চই অবহিত থাকেন। তার বাইরে পডকাস্টের জন্য আপনি কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেন?

রাহুল: আমাদের কাজের ব্যাপারে আমাদের নিজেদের জ্ঞানই অনেকসময় খুব কম। আপনি দর্শক হিসেবে অনেক ছবি দেখেন। আমরা সবসময় সব দেখে উঠতে পারি না। আমাদের মনের মধ্যে কনফ্লিক্ট থাকে। একটা ক্যারেক্টর দেখে মনে হতে পারে যে সেই ক্যারেক্টরটা আমাকে দিতে পারত। সেই অভিমানে হয়তো ছবিটাই দেখা হল না। অনেক ক্যাম্পের সাথে হয়তো মতানৈক্য আছে, সেজন্যে সেই ক্যাম্পের কাজই হয়তো ভালোভাবে দেখিনি। ফলে যখন যে গেস্ট আসে, তাঁর কাজ নিয়ে আমাকে নতুনভাবে পড়াশোনা করতেই হয়।

এ ছাড়া আমি সবসময় একটা নোটবুক নিয়ে বসি ইন্টারভিউ করতে। আমি খুব ইনভেস্টেড থাকি আমাদের কথোপকথনে। ওঁদের উত্তরগুলো থেকে আমার প্রশ্ন জন্মায়। তাই খুব মন দিয়ে গেস্টদের কথা শুনতেই হবে।

প্রশ্ন: আপনার যে অনস্ক্রিন অভিনেতা হিসেবে অভিজ্ঞতা, সেটা কি আপনাকে পডকাস্টের ব্যাপারে সাহায্য করে?

রাহুল: কিছুটা হ্যাঁ এবং কিছুটা না। আমার ক্যামেরার সামনে যে স্বাছন্দ্য, সেটা কিছুটা সুবিধে প্রাথমিকভাবে দেয়। তবে সেটা যেকোনো হোস্টই কয়েকটা ইন্টারভিউয়ের পরে বুঝে যাবে, সেটা খুব বড়ো ব্যাপার নয়। একটা বড়ো পার্থক্য হল, অভিনয় করার সময় কোনোদিন ক্যামেরার দিকে সোজা তাকিয়ে কথা বলা যায় না, তাতে দর্শকদের সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়। আর এ্যাংকর বা হোস্ট হিসেবে একটা অনুষ্ঠান করার সময় দর্শকদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলাটা প্রয়োজন। এটা টেকনিক্যালি একটু আলাদা।

প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার নিজের একটা পরিচিতি আছে, আপনার নেটওয়ার্ক আছে, সেটা আপনাকে নিশ্চই গেস্ট আনার ব্যাপারে একটা সুবিধা করে দেয়। যারা সেভাবে পরিচিত নয়, হয়তো মফস্‌সলে বসে একটা পডকাস্ট শুরু করার কথা ভাবছে, তারা, কীভাবে সফল হবে এই ধরনের কাজে?

রাহুল: দেখুন, আমার নেটওয়ার্ক বা পরিচিতিটা তো আমার উপার্জন, তাই না? এতদিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে আর কিছু পাই বা না-পাই, অনেক বন্ধু পেয়েছি। তারাও আমার সাথে আড্ডা মারতে ভালোবাসে। আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে এটা করতে হলে, আমাকে হয়তো কোনো চ্যানেলের সাথে করতে হত। তাদের মনের মতো কিছু প্রশ্ন করতে হত। এখনকার স্বাধীনতা আমার থাকত না।

তবে আমি একটা কথা বলব, এখন তো একটা প্রোডাকশন তৈরি করা টেকনিক্যালি খুব শক্ত নয়। আমি আমার লাইব্রেরিতে বসেই অনুষ্ঠানগুলো করছি। যে কেউ একটা ভালো সাউন্ড সিস্টেম, ক্যামেরা জোগাড় করেই কাজ করতে পারেন। হয়তো তাঁরা প্রথমেই রূপম ইসলাম বা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসতে পারবেন না। তবে আমি আগেও বলেছি, নামকরা গেস্ট মানেই ভালো ইন্টারভিউ নয়। আমার তো বরং অনেকসময় উলটো মনে হয়। ধরুন, আপনি সচিন টেন্ডুলকারের ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। আপনি নতুন কী প্রশ্ন করবেন যেটা সবাই জানে না? বরং একজন ডাব্বাওয়ালা, যে মুম্বাইয়ে বৃষ্টির মধ্যে খাবার অফিসে অফিসে পৌঁছে দিচ্ছে, তাঁর কাছে অনেক অজানা কথা থাকবে। সেগুলো খুঁজে বার করতে হবে।

প্রশ্ন: আচ্ছা, আপনি ফিডব্যাক ফলো করেন? ইউটিউবের কমেন্ট পড়েন?

রাহুল: এটা নতুন প্রেম তো। আমি খুব অপেক্ষা করে থাকি কে কী বলছে জানার জন্য। বেশিরভাগই পসিটিভ ফিডব্যাক পাই। আমার টিমও আমাকে জানাতে থাকে। কাদের কাদের জন্য অনুরোধ আসছে সেগুলোও নজর রাখি।

প্রশ্ন: আপনার শো যে খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে আর সবাই পছন্দ করছেন, সেটা তো আপনার ফলোয়ারদের কমেন্ট পড়লেই বোঝা যায়। এই সাফল্যের চাবিকাঠি কী?

রাহুল: আসলে শুরুতেই বিতর্ক তৈরি করে ভিউয়ার বাড়ানো যায়, কিন্তু লংটার্মে চিন্তা করলে দেখবেন, সেই কাজের কোনো মূল্য নেই। আমি আজ থেকে বহুবছর আগে একটা লেখায় হয়তো তাৎক্ষণিক একটা বিতর্কিত বিষয়ের একটা রেফারেন্স দিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই লেখা আর প্রাসঙ্গিক থাকে না। তাই আমার লেখাতেও আমি এ-ধরনের তাৎক্ষণিক উত্তেজক বিষয় এড়িয়ে চলি। সময়ের সাথে সাথে সেই বিতর্ক আর লোকে মনে রাখবে না, উত্তেজনা আর থাকবে না। কিন্তু আমার লেখা বা ইন্টারভিউটা তো থেকে যাবে। আমি চাইব সেটা যেন ভবিষ্যতেও পাঠযোগ্য থাকে।

আমার মনে হয় একটা ব্যাপারে আমি অনেকের থেকে আলাদা। সেটা হচ্ছে আমার পড়াশোনা। আমি এত কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছি বা করার চেষ্টা করে চলেছি, তাতে মনে হয় আমি যে-প্রশ্নগুলো করতে পারব, সেটা অন্যেরা করে উঠতে পারবে না। আমার অনুষ্ঠানে যারা আসছেন, তাঁরা অন্য শোতেও যাচ্ছেন। কিন্তু শ্রোতারা শুনেই বুঝতে পারবেন যে আমার শোয়ের আলোচনাটা অনেকটাই আলাদা। অবশ্য আমার সেলিব্রিটি নেটওয়ার্ক আর আমার ফার্স্ট মুভার অ্যাডভান্টেজও আছে এক্ষেত্রে।

প্রশ্ন: লেখালেখি তো আপনার একটা প্যাশন এবং আপনি খুবই সুলেখক। আপনার কি মনে হয় পডকাস্ট বা সাধারণভাবে দেখলে ডিজিটাল মিডিয়া, অডিয়ো-ভিজ্যুয়াল অনেকটাই প্রিন্ট বা টেক্সট মিডিয়ার ক্ষতি করছে বা লোকজনের উৎসাহ কমিয়ে দিচ্ছে, না কি আপনি একটা অন্যটার পরিপূরক হিসেবে দেখবেন? আপনার নিজের কোন মিডিয়াটা বেশি পছন্দের? একইভাবে ই-বুকের ব্যাপারেও অনেকের অনীহা দেখি, যারা ট্রাডিশনাল বইই খালি পড়তে চান। এ-ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

রাহুল: দেখুন, স্পেস একটা বড়ো ব্যাপার। আমরা সবাই জানি নাগরিক জীবনে এক স্কোয়ারফুটের মূল্য কীরকম। সেক্ষেত্রে বই রাখার জায়গাটা একটা সমস্যার ব্যাপার। তা ছাড়া আমাকে যখন কোথাও যেতে হয়, আমার পক্ষে আমার সব বই নিয়ে ট্রাভেল করাটাও সম্ভবপর নয়। কাজেই ই-বুকের সুবিধে তো অনস্বীকার্য।

আমার নিজের বই আর পডকাস্টের কথা যদি বলতে বলেন, আমার পডকাস্ট হচ্ছে অন্যের ইন্টারভিউ। আর আমার লেখাটা হল আমার নিজের মুক্তির জায়গা। একটা লেখা শেষ করে যে-পরিতৃপ্তি আসে, সেটা অন্য কিছুতে আসে না।


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

মন্তব্য করুন

লেখক

কেতাব-ই বাংলা সাহিত্য ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের প্ল্যাটফর্ম।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন