প্রকাশিত হল স্নেহাশিস রায়ের পাঁচটি কবিতা— ‘সুন্দরবন’, ‘চাঁদ’, ‘কালোপর্দা’, ‘মড়া’, এবং ‘দিকশূন্যপুর’।
সুন্দরবন
নদীতে ভাসতে ভাসতে হাঁসের ডিমের কুসুমসূর্য পেটে পড়লে
চাঁদডমরু বেজে ওঠে। পোকা আপাদমস্তক কুরে কুরে
খাচ্ছে রাতদিন। নষ্টভ্রূণ, শূন্যমাঠ— অফুরন্ত হাওয়া। ডোরাকাটা
বন্ধুদের এড়িয়ে আমি আর আশিসদা
হলুদ ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছি। গন্তব্য সুন্দরবন
চাঁদ
লিঙ্গ কই
ওতো সাপ
মুখে গোলাপ: লেজ দো-নলা বন্দুক
শঙ্খলাগা... হস্তমৈথুন
চাঁদ আত্মভূক
গড়ায় গড়াক
চন্দ্রসূর্য: সংগমে যাক
কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
কালোপর্দা
একটা কেউটে সাপ শীতের দুপুরে কাঁটাতারের
ওপর রোদ পোহাচ্ছে একা
পৃথিবী নামক বিরাট স্তনের নীচে হামাগুড়ি দিচ্ছে মানুষ
স্বামী-স্ত্রী দমবন্ধ ঘরে কালো ভিমরুলকে
চুমু খাবে বলে ইতস্তত লাফাচ্ছে পুতুলের মতো
ভিখারি হাত পেতে চিত্রবৎ দাঁড়িয়ে
তুমি তাঁর হাতে গুঁজে একটা লাল মোমবাতি
চিত্রনাট্য শেষ; শূন্য থেকে নেমে এল কালোপর্দা
মড়া
অনুভববেত্তা না কি কাগজের ফুল তুমি
অনন্তনক্ষত্রভাস্কর্য তোমার শরীর
হৃদয় অভ্যন্তর অবধি বারে বারে চুমি
নাকি প্রস্তরসম জ্বলন্ত স্থবির
ফিরে এসো প্রাণ হয়ে
সোহাগ চিহ্নের দাগ লাগুক
পোড়া কপালে, গিয়েছে যা ক্ষয়ে
সিংহ ও বাঘিনী রাত্রিভূক
ধ্যানে থাকো জ্ঞানে থাকো লেখা আছে যত
শ্রীকলম কালি দিয়ে আঁকো মিথ্যেক্ষত
মন যদি গাছ পায় সে ছলনে ভুলে
নয়তো ও জুতোজোড়া টেনে নেব খুলে
রাখিব হৃদে ও মাগো জলশূন্য ঘড়া
বহন করিব পিঠে গোলাপের মড়া
দিকশূন্যপুর
বাজরা খেতের মধ্যে দিয়ে ওই যে মেয়েটি
হেঁটে আসছে
আমি কি তাকে চিনি, চারপাশে ধূপগুড়ি,
ময়নাগুড়ি; ঝোপ-জঙ্গল
রাতে বৃষ্টি হয়ে নতুন সকাল সবুজে সবুজ
ঠ্যাং দোলাতে দোলাতে চলেছি সব্যসাচীদার সাথে
জগৎপারের গল্প, গন্তব্য দিকশূন্যপুর
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
শামীম নওরোজ
1 দিন আগেকবিতাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো