প্রকাশিত হল দীপ্তিপ্রকাশ দে-র ‘তিনটি কবিতা’ শীর্ষক গুচ্ছ কবিতা। ‘পুরুষদেহ’, ‘এ আই’ এবং ‘রাত্রি’ এই তিনটি কবিতা এই গুচ্ছ কবিতায় স্থান পেয়েছে।
পুরুষদেহ
যে হাত চেয়েছে ছুঁতে—তুমি তাকে
আশকারা দাও
দুধ দাও, ভাত দাও, খিদের বেড়াল হয়ে
মুখে দাও রক্তমাখা কাঁটা
অলস গৃহস্থ আমি
আজ শুধু শুয়ে থাকব,
মজা নেব মাছগন্ধ-মুখে
দ্যাখো—সমস্ত দরজা খোলা হাট করে
বিপ্লব আসবে কি আসবে না—এই ভেবে
আমার পুরুষদেহ পাষাণদেবতা হয়ে যায়!
কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
এ আই
তোমাকে চুমু খেতে গিয়ে দেখেছি
অকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লাগে
তোমাকে ভালবাসতে গিয়ে, এমনকি
ঘৃণা করতে গিয়েও দেখেছি
আমার লালা ও রক্ত, এবং অর্ধেক শ্বাস
কীভাবে সেঁধিয়ে আছে তোমারই শরীরে
আমি অর্ধেক হাসলে তুমিও অর্ধেক,
আমি অর্ধেক কাঁদলে তুমিও অর্ধেক কেঁদে
এসে দাঁড়িয়েছ অলৌকিক ছাদে
এখনও সামান্য ইচ্ছে বাকি
আমি মারা গেলে—বলো, অর্ধেক মৃত্যু তুমি নেবে
আমি জন্মালে, তুমিও আবার
অর্ধেক জন্ম হয়ে হেসে উঠবে—কাঁথা ও কানিতে
রাত্রি
পুলিশ যেভাবে ঠিক ঘুষ খায়, হে-রাত্রি,
তোমাকেও সেইভাবে খাব
অন্ধকারে
লোকালয় থেকে দূর,
টার্ন নেওয়া গ্রামের রাস্তায়
সহস্রাব্দ ধরে তুমি প্রহর গোনালে
চেনালে ভাতের থালা ফেলে উঠে যাওয়া
দুঃখের সমস্ত খসড়ায়
লেখা হয়ে পড়ে আছে অর্ধেক জীবনী
এরপর, ঘুরে দাঁড়ানোর মতো
দায় তো থাকেই কিছু
যে-রাত্রি ঘুমিয়ে পড়েনি এলোচুলে,
মন্দিরের পেছন-চাতালে তাকে নিয়ে যাব আজ
খাব অশ্রু, খাব ঘাম
অচেনা থানার কোনো ছোটোবাবু হয়ে
হে-রাত্রি,
প্রতিটি ভক্ষণ জেনো ঘোরতর প্রতিশোধ-স্পৃহা!
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই,ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
মন্তব্য করুন