preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
শতাব্দীর কবিতা
কবিতা

শতাব্দীর কবিতা

প্রকাশিত হল শতাব্দী চক্রবর্তীর তিনটি কবিতা- যা কিছু ভাবি, উৎসব চলছে এবং আমরা আদার ব্যাপারী।

যা কিছু ভাবি

পথের কাছে জমা রাখি পথ,
হেঁটে পারাপার হই অজানা গন্তব্যের দিকে
গোলাপ গন্ধ যেন মুক্তাঞ্চল এনে দেয় বিধ্বস্ত দিনে
বিভোর হয়ে একান্নবর্তীর হাঁড়িতে পদগুলি সাজিয়ে দিই কেবল একার জন্য।
তিনভাগ জলের সমস্তটাই হাতের মুঠোয় নিয়ে
ভেবে ভেবে রাষ্ট্রের কাছে রেখে দিই জীবনের শ্রুতি কথামালা যত।
নিষ্ঠুর বিষয়আশয় গেঁথে দিই বর্শার ফলায়
ধুলোবালির মতো মথে দিই চিন্তার ঘাস জমি।
শুকনো পাতার উপর উপুড় করে দিই
সমস্ত সমস্যা ও অপারগতার ঝুলি।
অবশিষ্ট সূর্যের আলোয় ঢুকে যাই গহীন বনাঞ্চলে
আদরের হাওয়া লাগে যখন মধুমাস বেজে ওঠে।
নিষিদ্ধ যা কিছু করতে ইচ্ছা হয় দুর্দমনীয় হাতে,
ঠিক তখনই একঝাঁক কইয়ের মতো মেঘ আসে
আমার ভেতর জ্বালিয়ে দেয় এক দায়িত্ববোধ,
যা কিছু ভাবি তা কেবলই মাতৃগর্ভের অন্ধকার জলের ঘর।

কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

উৎসব চলছে

আলোর রোশনাই আর সানাইয়ের সুরে
ভরে ওঠে নতুন রঙের বাড়ি উঠোন
সেই উৎসবে জঞ্জালগুলোকে
ঢেকে দেওয়া হয় বাহারি নকশায়
কর্তন করা হয় জীর্ণ ডাল, ঝোপঝাড়, আগাছা
প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া মানুষকেও।

যেখানে জাহির করা হয় সুন্দর মানেই টুকটুকে
গ্রামীণ শ্যামলা মেয়েটি সেখানে সহকারীর পরিচয়ে
দূর সম্পর্কের আত্মীয় হয়ে ওঠে সমক্ষে।

এখানে আলো জ্বলছে! চলছে উৎসব!
জাঁকজমকহীন মেয়ে ‘অড ওয়ান আউট’!

আমরা আদার ব্যাপারী

আমরা আদার ব্যাপারী জাহাজের খবর রাখি না যদিও
তবুও দেবতার নাম ধরে জোয়ার আসে যখন
হুংকার ওঠে তক্তা বানাবে বলে
মন্ত্রণা দেয় কচি মাথাগুলোকে অগ্নি প্রবেশের
নাম দেয় প্রেমিকের ভালোবাসা ‘জিহাদ’ ভ্রামরি
আমরা তাদের ভক্তি করি না ঘৃণা করি।

মন্ত্রোচ্চারণে ধন্য ধন্য করে নাবিককূল
মধু পাবার আশায় তৈলাক্ত পথ নির্মাণ করে যারা
মাদকতায় তলোয়ার উঁচিয়ে হুংকার করে তারা
গর্ভবতী কাপড়ের আড়ে ঢেকে দেয় আলোর পুতুল
অন্ধকার ঘরে ওঁত পাতে যে আমাদের সর্বনাশ!

বান আসে ভেসে যায় উঠোন, তক্তা, ঘুম, খিদে
মহিমান্বিত তার সর্বকালের কর্ম ও তেজ অগ্নি
আমরা চালের ওপর ডাল পেলেই ভুলে যাই
তবুও রক্ত চড়লে কুড়ুল কোদাল হাতে
নামিয়ে দিতে পারি ভাওতাবাজি।

একথা মনে রাখা দরকার দেবতা আমাদের
চিরকাল পূজা পায়, যদিও আমরা আদার ব্যাপারী
তবুও দেবতাকে পণ্য করে যারা
আমরা তাদের ঘৃণা করি, শুধুই ঘৃণা করি।


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

Image Description

Sukumar Pan Kalipada Pan

4 দিন আগে

শব্দ চয়ন ও কবিতা গুলির ভাব,মন স্পর্শ করে। ভালো লাগে আপনার লেখা। শুভকামনা।


মন্তব্য করুন

লেখক

কবি শতাব্দী চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৮৯ এ। ইংরেজিতে স্নাতক। পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা পশ্চিম মেদিনীপুরের এক মফস্‌সলে। বর্তমানে হাওড়ার বাসিন্দা। সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক। লেখার চর্চা কলেজবেলা থেকে হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু ২০২০ থেকে। এখন লিটল ম্যাগাজিন ও বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ঈশ্বরীর জাতক” প্রকাশিত হয় ২০২৪ এ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায়। যাদের জীবনে কবিতা প্রয়োজন সেইসমস্ত পাঠক হাতে তুলে নেবেন দুই মলাটের ভেতরে কবিকে পড়তে। কবি মনে করেন আশ্চর্যে ঘেরা সংক্ষিপ্ত জীবন আমাদের, যেটুকু রামধনুর রঙে মেখে নিতে পারি জীবনকে এই আকাঙ্ক্ষায় কবিতা লিখে চলা।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন