বাইকটা ঘুরিয়ে নেয় সামনের ছেলেটা, আর পেছনেরটা বুলির ডানহাতটা চেপে ধরে। বুলির বুকটা খুব জোরে ধড়াস করে ওঠে। ও চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু বুঝতে পারে, ওর গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না।
‘আরে, আরে ভয় পেও না। এখন কিচ্ছু করব না। বলে দিয়েছে, নজরে নজরে রাখতে হবে। তোমরাই শালা, …ঐ পাগলি মেয়েগুলো সব জায়গায় দৌড়োচ্ছে, অনশন করছে, ‘ফ্যাসান-শো’ করছে…ওদের পেছনে যাচ্ছ। সবাই জানে। তোমার বাপটা শালা আরও ফেরোশাস ছিল। ঠিক সময়ে টপকে গেছে। এই গান্ডু শিলুটা বলল, বস মালটা আজকে ওড়না দিয়ে আসেনি, শালা ফেটে বেরোচ্ছে রে …চল। কী করব বল?
রাশি নামের মেয়েটার বাড়ি থেকে চলে এসেছে বুলিরা প্রায় আধঘণ্টা। বাবুদা-অঞ্জুরা ওখান থেকে পার্টি অফিসে চলে গেল। বুলি বাড়ির রাস্তা ধরেছে। কেমন যেন গা-ছমছম করছে বুলির! বনপুর লোকালের ঐ মর্মান্তিক ঘটনার পর মাঝেমাঝেই এমন লাগে! নিজের এলাকা, নিজের ওয়ার্ডেও হাঁটতে স্বস্তি পাচ্ছে না। সেই যে কাল সন্ধেতে বিরক্তি লাগছিল, সেই বিরক্তিটাই কি তার সঙ্গে ফিরে এল? সারাদিন, অফিসে আজ এমন লাগেনি। কিন্তু সাইকেল, বাইকের হুড়োহুড়ি আর দু-পাঁচমিনিট অন্তর এগরোল-চাউমিন, সব্জির ভ্যানের গুঁতো বাঁচিয়ে, হলদেটে আলোর রাস্তায় লোকজনের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে বিরক্তি লাগছে, সঙ্গে ভয়। মনটাকে ঘোরানোর জন্য বুলি ছোটবেলায় এই পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় কেমন লাগত, সেই কথা ভাবতে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে, ঐ যে সামনে অনির্বাণ সংঘের পিছনে বটগাছটা, ওর ডালে কোন আমলে নাকি এক পুরুতঠাকুর গলায় দড়ি দিয়েছিল। সারা এলাকায় সবাই জানত, ঐ গাছে ব্রহ্মদত্যি আছে। অনেকে নাকি দেখেওছিল তখন। বাচ্চাবেলায় কখনও দিনের বেলায় এলেও ভয় করত। বাবাকে বললে, বাবা হাসত,
‘দূর পাগলি, ভূত বলে কিছু হয় না। আমরাই তো এক একটা ভূত!’
ভূতে মানত না বাবা। ভগবানকেও মানত কি? আসলে মানত না। মার পাল্লায় পড়ে বাড়িতে লক্ষ্মী, সরস্বতী পুজো করত বাবা। অঞ্জলিও দিত। কলেজে পড়ার সময় একদিন বুলি বেশ রেগেই বলেছিল,
‘এসব হিপোক্রিসির মানে কী? না মানলে ভড়ং কর কেন?’
ঠিক ভড়ং নয় মা! আমি তো জোর করে, তোর মার বিশ্বাস পাল্টাতে চাইনি। সেটা করলে, ও পার্টির পতাকাটাকেই পুজো করতে বসে যেত। আমি জানি, এই পুজোগুলোতে তোর মা, আমাদের সবার মঙ্গল কামনা করে। আর আমি যদি পাশে থাকি, সেই চাওয়াতে ও আরেকটু জোর পায়। কারুর ক্ষতি তো করছে না সে!’
‘তুমি এমন বলছ? বস্তুবাদী, যুক্তিবাদী? অলৌকিক সত্তাকে বিশ্বাস কর?’
‘আজকাল, সব যেন নতুন করে দেখছি রে! আসল তো ভাল থাকা। আমার কিছু আচরণে যদি তোর মা ভাল থাকে, সেটা মনে হয় ভাল রে!’
‘আরে, এখান থেকেই তো বিচ্যুতির শুরু হয়!’
‘মাটি না ঘাঁটলে গাছের চারা বাঁচাব কী করে?’
শেষদিকে কি বাবা, ঠিক আগের মত অত কাঠখোট্টা পার্টিম্যান ছিল? বটগাছটার নীচে দাঁড়িয়ে পড়ে বুলি। মা তো বলে, যতদিন না, গয়ায় গিয়ে পিণ্ড দেওয়া হয়, আত্মার মুক্তি হয় না। তাহলে বাবা? কিছু না মানলেও বাবা তো ব্রাহ্মণ! মা, শাস্ত্র মেনেই বাবার শ্রাদ্ধ করেছে। পার্টির মিছিলে মিছিলে খোঁজার সঙ্গে সঙ্গে এখানেও কি কোনোদিন মাঝরাতে আসবে বুলি? চড়া একটা আলো এসে পড়ল বুলির চোখে। একটা বাইক একেবারে ওর মুখোমুখি, প্রায় গায়ের ওপরে এসে থেমেছে। দুটো চ্যাংড়া ছেলে। মুখে, হাতে উল্কি, যে চালাচ্ছে তার একটা কানে দুল, হিরের মত কিছু চকচক করছে। মুখ দিয়ে দুজনেরই বিটকেল গুটখার গন্ধ! নাড়ি ছিঁড়ে যাবে বুলির,
‘বুলিদি, গাছটার দিকে তাকিয়ে কী দেখছ? বাড়ি যাবে না? কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি?’
কী বলছে কি ছেলেগুলো? ও বাড়ি যাবে কিনা, এদের প্রশ্ন? তাতে ওদের কী?
‘তোমরা কারা?’
‘আরে আমরা? বিবেক-কলোনিতে থাকি গো! তুমি চিনবে না, বিবেক-কলোনিতে গেলেই এখন বাটাম খায়, তোমাদের লোকেরা। চিনবে না। বাদ দাও। চল, চল, বাড়ি চল। আর কতক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখবে? তুমি বাড়ি ঢুকে গেলে তারপর ওয়ার্ড অফিসে যাব। আবার কী কাজ দেয়!’
বুলি এখন বিরক্ত না অবাক, নিজেও যেন বুঝতে পারছে না। সে চুপ করে থাকে। এ জায়গাটা আর সেই ওদের ছোটবেলার মত অন্ধকার নেই। বেশ আলো। লোকজন হেঁটে যাচ্ছে। নিজের এলাকাতে এসব কী হচ্ছে? ও কি ফোন করবে পার্টি অফিসে?
‘আরে চল, চল… তোমার পিছনে রোজ রোজ আর ঘুরতে ভাল লাগছে না।’
কেতাব-ই'র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন manuscript.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’।
বাইকটা ঘুরিয়ে নেয় সামনের ছেলেটা, আর পেছনেরটা বুলির ডানহাতটা চেপে ধরে। বুলির বুকটা খুব জোরে ধড়াস করে ওঠে। ও চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু বুঝতে পারে, ওর গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না।
‘আরে, আরে ভয় পেও না। এখন কিচ্ছু করব না। বলে দিয়েছে, নজরে নজরে রাখতে হবে। তোমরাই শালা, …ঐ পাগলি মেয়েগুলো সব জায়গায় দৌড়োচ্ছে, অনশন করছে, ‘ফ্যাসান-শো’ করছে…ওদের পেছনে যাচ্ছ। সবাই জানে। তোমার বাপটা শালা আরও ফেরোশাস ছিল। ঠিক সময়ে টপকে গেছে। এই গান্ডু শিলুটা বলল, বস মালটা আজকে ওড়না দিয়ে আসেনি, শালা ফেটে বেরোচ্ছে রে …চল। কী করব বল? কর্পোরেশান এত তেল মারছে তবু ড্রেনের মশাগুলো মরে? মশার কামড় না খেয়ে এই তোমার সামনে চলে এলাম।’
পেছনেরটা বলে উঠল,
‘তেল না জল?’
বলেই বিচ্ছিরি হাসতে লাগল।
‘এই কুত্তা। সবার সামনে সব বলতে নেই। বললাম, চল দিদির সঙ্গে একটু মাজাকি মেরে আসি। ভোটের দিন তো বেরোয়নি। যা কেলিয়ে ছিলাম না! ওহ, ঐ যে অঞ্জু, মালটা হাতে লেগে গিয়েছিল রে… ইস!’
পৌরভোটের দিন, বুলবুলের বাড়াবাড়ি হয়েছিল। নিজের ভোটটাও দিতে যেতে পারেনি বুলি। অঞ্জু ফোন করে বলেছিল… আসার দরকার নেই, বাড়িতে থাক।
‘কী হল, যাবে?’
হাতটা ছেড়ে দিয়েছিল পেছনের ছেলেটা। এবার সামনেরটা হাত বাড়ায়। বুলি লাফ দিয়ে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। যেন উড়ে বেরিয়ে যায় বাইকটা, কয়েকটা কথা শুধু ভেসে থাকে,
‘ইয়ে তো স্রিফ টেলার হ্যায় কালিয়া…’
রাশির মুখটা মনে পড়ল বুলির। সামনের মোড়টা ঘুরেই বাঙাল গলি, সেখানেই তো প্রথমবার, রাত-দখল থেকে ফেরার সময় থ্রেট করেছিল, একটা অটো-ড্রাইভার! কী ডেঞ্জারাস… প্রথম দিন থেকেই ওরা ছক কষে রেখেছে? মুখটা খুব তেতো লাগছে বুলির।
ফোন বাজছে। রাশির ফোন। ওদের বাড়িতেই বসে সেভ করে নিয়েছিল নাম্বারটা। ফোনটা কেটে দিল বুলি। ধুর! ...এর মধ্যে ফোন? তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে। বুলবুলের কাঁপুনি না কমলেও জ্বর কিছুতেই নামছে না। তাও অফিস থেকে সোজা পার্টি অফিসে চলে গিয়েছিল বুলি। বাবুদা, ফোন করেছিল, তখন অফিসের লাঞ্চ টাইম। বলেছিল, মিত্যুনদাকে রাজি করানো গেছে। আজ বুলিকে নিয়েই ওরা যাবে রাশিদের বাড়ি। রাশিই তো প্রোপোজালটা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও…ধুর, মিত্যুনকাকাকে দিয়ে কিছু হবে না। রাশির মা…প্রথম দিকে একটু রেগে রেগে কথা বলছিল, তারপর কেঁদেই ফেলল মহিলা। কী করবে? তাও তো ওরা জানে না, আসল ধারাটা কী? আর থানাটাও এমন? নোটিস দিচ্ছে না সরাসরি, শুধু ফোন করে ডাকছে ছয় তারিখের জন্য, আর হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছে … সাতশো তেরোর তিন ধারা। লেখাপড়া তেমন জানেন না রাশির মা-বাবা, যদি জানত, সব বুঝতে পারত। তাহলে ওদের জন্য দোকান থেকে মিষ্টি আনানোর জন্য পয়সাটুকুও খরচ করত না, রেখে দিত উকিলের জন্য। যখন চলে আসছে, তখনও রাশির বাবা কত ভদ্র ব্যবহার করলেন! ওদের সঙ্গে পিচরাস্তার মুখ পর্যন্ত এসে, মিত্যুনকাকুর হাত ধরে বললেন,
‘কিছু মনে করবেন না! রাশির মা-এর মাথাটা খারাপমত হয়ে গেছে। এখন একটাই চিন্তা জানেন, মেয়েটার কী করে শাদি হবে?’
তখনই কেঁদে ফেললেন ভদ্রলোক। আশ্চর্য মিত্যুনকাকু, ওখানেও বলে ফেললেন, ‘ঘরের মেয়েছেলে কী বোঝে? তোমরা প্রতিবার ভোটের আগের দিন একসঙ্গে বসে ঠিক করে নাও, কোথায় ভোট দেবে। এখন বোঝ? দেশের মেয়েদের কী অবস্থা বুঝতে পারছ?’
‘আজ্ঞে, আমার মেয়েকে তো কেউ কিছু করত না। ও নিজে নিজে চলে গেল। ওর মার কথা যদি শুনত? তাহলে আজ, এই অবস্থা হত?’
মিত্যুনকাকু চুপ করে গেল, এরপর। বাবুদা বলল এরপর,
‘চাচা, বুঝতে হবে। এক একটা ভোটের ওপরেই আমাদের সবার কপাল। আজ মেয়েদের কী দুরবস্থা বলুন দেখি!’
এমনই একটা কথার পরে রাশির মা বলেছিল,
‘ভোট কে দিতে পারে? আগে দিতে পারতাম? নাকি এখন দিতে পারি? একটু বেলা করে গেলেই বলে যাও ভোট হয়ে গেছে!’
তখনই মিত্যুনকাকুর সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়ে গিয়েছিল রাশির মায়ের। তার আমলে সব খারাপ ছিল, মিত্যুনকাকু মানবে কেন?
আবার রাশির ফোন। তেতো-তেতো মুখটা নিয়েই বুলি ফোনটা ধরল।
‘কী বলছ, রাশি?’
‘দিদি, তোমাদের সংগঠনে ঢুকতে গেলে, কী করতে হয়?’
‘কী বলছ? ভাল করে ভেবে বলছ? আমরা কিন্তু, মানে আমাদের এখন কোনো পাওয়ার নেই, কাউকে বাঁচাতে পারব না!’
‘তাহলে এসেছিলে কেন?’
‘এসেছিলাম, তোমাদের পাশে থাকতে। তুমি, তোমরা যে লড়ছ, তাতে একটু সহযোগিতা করতে, আর যদি উকিল লাগে…’
‘সে কথা তো বললেন না দিদি?’
‘বলার মত সুযোগ পেলাম কই! তোমার মা কেঁদে উঠল, আর আমরাও, আমাদের দিক থেকেও… বাদ দাও। আমি সবার তরফ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তুমি বল, উকিল লাগবে, তোমাদের? তাহলে পার্টির সঙ্গে কথা বলে…’
‘শুনছি, উকিলরা নাকি অনেক টাকা নেয়। আম্মার যেকটা গয়না আছে, সেগুলো আমাদের তিনবোনের বিয়ে ছাড়া আম্মা, দেবেই না। থাকুক উকিল! আপনি বলুন, আমাকে আপনাদের অ্যাকশান স্কোয়াডে নেবেন? আমি কিন্তু কনস্টেবলের প্যানেলে আছি, পারব…’
‘কী বলছ কী?’
বুলির বিরক্তি যেন ব্রহ্মতালুতে উঠে যায়। মেয়েটা রেকর্ডিং করে রাখছে না তো? এসব কি ওদের চাল? একটু আগে ছেলেগুলো যা করে গেল? কেটে দেবে ফোনটা? কিন্তু মেয়েটার ওপর এতবড় ধারা ঝুলছে! যা বলছে সেই রেকর্ডিং-এ, ওরই তো ক্ষতি হবে! না, সাবধানে কথা বলতে হবে।
‘রাশি, আমি রাখব। বাড়ি যেতে হবে সেই সকালে বেরিয়েছি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি।’
‘দিদি, আমি আর বিরিক্ত করব না। শুধু মনে রাখবেন, আমার প্রস্তাবটা…উকিলে, ফুকিলে কিছু হবে না। যেভাবে আচমকা মারল, তার বদলা…’
কথা আর শেষ করতে আর পারল না রাশি, কেঁদে উঠল। বুলিও ফোনটা কেটে দিল। বাড়ি যেতে হবে তাড়াতাড়ি। রাস্তার ওপারে পিঙ্কিভাবীর রুটি করছে, পিছনে ওর বরের ভুজিয়ার দোকান। আজ গোটা পাঁচেক রুটি কিনে নিয়ে যাবে ঠিক করল বুলি। মা রোজ গরম গরম রুটি বানিয়ে দেয়। আজ আর খাটাবে না মাকে। এগিয়ে গেল রাস্তার ওপারে।
বেশ ভিড়। আজকাল মনে হয়, আর কেউ বাড়িতে রুটি করে না। সারা দিন খাটার পর, ওকে যদি রুটি করতে বলা হয়, বুলি কি নিজেই করতে চাইত? কে জানে! মিনিট দশেক দাঁড়ানোর পর, পিঙ্কি ভাবী নিজেই পাঁচটা রুটি, ফয়েলে মুড়ে এগিয়ে দিল বুলিকে,
‘আরে, আমি তো বলিনি, তার আগেই দিয়ে দিলে, কী করে জানলে, কটা রুটি লাগবে?’
‘তুমি আসলে, পাঁচটা করেই রুটি নাও বুলিদি।’
‘এই নাও পনেরো টাকা খুচরো! ঝগড়া হবে না তোমার সঙ্গে!’
জিভ কেটে ফেলল, পিঙ্কিভাবী,
‘ছিয়া ছিয়া…কী বলছ দিদি! আগের লোকটার কথা বলছ, তো? রোজ দুশো-পাঁচশোর লোট ধরায়। ছটা করে রুটি নেয়। যতক্ষণ থাকে দিয়ে দি। আজ নেই, কী করব বল তো? তার মধ্যে সব সময়, এত মনটা খারাব লাগছে, মেজাজ হর বখত চামুণ্ডা কি মাফিক হয়ে থাকছে! আর, দাদুটা বলে কিনা, যেখান থেকে এসেছি সেখানে পাঠিয়ে দেবে!’
‘ব্যবসা করতে গেলে, মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় যে! মেজাজ খারাপ করলে হবে?’
‘কেন হবে না দিদি? একটা বুঢ়ি আওরাতকে ঐভাবে দিন-দাহারে…হামারি কোই ইজ্জাত বাকি হ্যায়? ই সমাজ ভাঢ়ুয়া হো গায়া। তারপর থেকেও থামছে কোই!’
‘হো পিঙ্কি, রোটি বানা, যাদা বকবক করি তো, ঘর মে বনধ কর দুঙ্গা। আরে আমাকে ব্যবসা চালাতে হবে না! বেওকুফ আওরাত!’
চেঁচিয়ে উঠল, পিঙ্কির বর ভুজিয়াওয়ালা মনোজ শর্মা।’
বুলি মাপতে চেষ্টা করে পিঙ্কিভাবী না সে, কে বেশি বিরক্ত?
কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
মন্তব্য করুন