preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
জামিন: পর্ব ৯
ধারাবাহিক

জামিন: পর্ব ৯

29 Mar, 2025.

দীপ্তেশদা, দীপ্তেশ লাহিড়ি; বুলির বস যদিও সেই অর্থে সে নিজেকে বস হিসেবে দেখায় না। বরং বেশ এটিকেটের সঙ্গেই সে নিজেকে সহকর্মী বলে স্টাফদের। কোম্পানিটা যেটা কিছুটা এনজিও-র মতই, সেটাকে বলে প্রতিষ্ঠান। এই দীপ্তেশদাই আবার প্রত্যেক মাসের বায়মেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চেক করে নিজে। বেশ কয়েকবার হয়েছে ফণীবাবুর চোখ এড়িয়ে গেলেও বুলির মত অনেকেরই কামাই করার জন্য টাকা কেটে নিয়েছে দীপ্তেশদা। ফণীবাবু অ্যাকাউন্টস-ক্যাশ সামলায়। বয়স পেরিয়েছে ষাটের ওপরে। দলের স্টেট কমিটির কোন এক গোপন অ্যাসোসিয়েটেড ব্র্যাঞ্চে ফণী, দীপ্তেশদা দুজনেই সদস্য। গাফিলতির জন্য ফণীবাবুরও বেতন থেকে টাকা কাটা গেছে। দীপ্তেশদা কিন্তু স্বচ্ছ… স্বচ্ছতার এই শিক্ষা নাকি তাকে দিয়েছে তার রাজনীতির শিক্ষা। মান্থলি মিটিং-এ সবার সামনেই সে বলেছে ফণীবাবুর গাফিলতি আর শাস্তির কথা। সোশ্যালিসমের লক্ষ্য আর ক্যাপিটালিজমের পদ্ধতি না মেশালে নাকি উন্নতির সম্ভাবনা নেই… নাহ!

বুলবুলের খিঁচুনিটা কমেছে, কিন্তু জ্বর! কিছুতেই একেবারে সারছে না। মা’র অবস্থা ভেবে বুলির কান্না পায়। সেই বুলি যাকে বাবা শিখিয়েছে, কান্না মানুষের দুর্বলতা প্রকাশ করে। তুমি যে সমাজে থাক, সেই পেটি বুর্জোয়া মানসিকতার মধ্যবিত্ত সমাজের লোকজন, অন্যের কান্নাতে সহানুভূতি অনেক দূর… মজা পায়। উপভোগ করে। তাই কেঁদে, চোখের জল ফেলে কোনো লাভ নেই। কেউ তোমার কষ্টের ভাগ নেবে না। যদি সত্যি কষ্টের হাত থেকে মুক্তি চাও তবে তোমার থেকেও যারা কষ্টে আছে, তাদের দিকে তাকাও, তাদের জীবনের লড়াই-সংগ্রামে মিশে যাও, তবেই নিজের দুঃখ, কষ্ট আর তোমাকে জ্বালবে না। ঠিক… এটাও একটা কারণ, এইভাবে এই যে খুব, খুব খারাপ সময়ে সে বাবার রাজনৈতিক পথে চলতে চাইছে, বুঝতে চাইছে বাবার অভিজ্ঞতা, তার কারণ বাবার ঐ কথাগুলো। বাবার, বাবাদের স্বপ্ন বলতে বুলি আজ পর্যন্ত যা বুঝেছে… দুঃখী মানুষদের জীবনে যদি কিছুটা সমতা… হ্যাঁ, সমতা, ও, ওর মত মানুষেরা যে সুযোগ-সুবিধাগুলো পেয়ে চলেছে অন্তত সেইসব সুবিধাগুলো যদি গরীব-দুঃখি মানুষেরা ভোগ করতে পারে, তবে যে সমতা, সাম্য আসবে সেই অবস্থা… নিয়ে আসা যায়! সেই স্বপ্ন… আচ্ছা, বাবাদের কি এটাই স্বপ্ন ছিল? বাবাদের সরকার যখন ছিল, তখন তো ওইভাবেই দেখা হত কিন্তু তাদের পার্টি-লাইন কি সেই কথা বলে? সেখানে তো পুরো ব্যবস্থাটাকে সব মিলিয়ে মুছে দিয়ে, নতুন এক…

ধুর! কী যে কথা, সব মাথার মধ্যে এসে যায়! প্রজেক্ট রিপোর্টটা অনেকক্ষণ চেয়েছে দীপ্তেশদা। দীপ্তেশদা, দীপ্তেশ লাহিড়ি; বুলির বস যদিও সেই অর্থে সে নিজেকে বস হিসেবে দেখায় না। বরং বেশ এটিকেটের সঙ্গেই সে নিজেকে সহকর্মী বলে স্টাফদের। কোম্পানিটা যেটা কিছুটা এনজিও-র মতই, সেটাকে বলে প্রতিষ্ঠান। এই দীপ্তেশদাই আবার প্রত্যেক মাসের বায়মেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চেক করে নিজে। বেশ কয়েকবার হয়েছে ফণীবাবুর চোখ এড়িয়ে গেলেও বুলির মত অনেকেরই কামাই করার জন্য টাকা কেটে নিয়েছে দীপ্তেশদা। ফণীবাবু অ্যাকাউন্টস-ক্যাশ সামলায়। বয়স পেরিয়েছে ষাটের ওপরে। দলের স্টেট কমিটির কোন এক গোপন অ্যাসোসিয়েটেড ব্র্যাঞ্চে ফণী, দীপ্তেশদা দুজনেই সদস্য। গাফিলতির জন্য ফণীবাবুরও বেতন থেকে টাকা কাটা গেছে। দীপ্তেশদা কিন্তু স্বচ্ছ… স্বচ্ছতার এই শিক্ষা নাকি তাকে দিয়েছে তার রাজনীতির শিক্ষা। মান্থলি মিটিং-এ সবার সামনেই সে বলেছে ফণীবাবুর গাফিলতি আর শাস্তির কথা। সোশ্যালিসমের লক্ষ্য আর ক্যাপিটালিজমের পদ্ধতি না মেশালে নাকি উন্নতির সম্ভাবনা নেই… নাহ! রিপোর্টটায় চোখ বুলোতে শুরু করে বুলি। কিন্তু, মেসেজ টোন… দীপ্তেশদা বলছে, রিপোর্টটা নিয়ে এখনই এস। বুলি মিনিট কুড়ি সময় চায়। না, পাওয়া যাবে না… এক্ষুনি আসতে হবে!

কী মনে করে এই পুরুষগুলো, এক্ষুনি… মানে এখনই, এই মুহূর্তে, এই মিনিটে, এই সেকেন্ডে, এই পলে… অনুপলে? ওদের কোনো ধৈর্য নেই! পরেশের ছিল? একেবারেই না… চাইলেই দিতে হবে, যখন, তখন, যেখানে, সেখানে… একটা অসুস্থ লোক। বুলি, কাউকে বলতে পারছিল না… কী ভয়াবহ ছিল সেই দিনগুলো, দমবন্ধ হয়ে আসত। একদিকে এই অত্যাচার আর খিদে না মিটছে বলে পরেশের কত রকমের যে চাল! বুলি সার্চ করত তখন ইন্টারনেটে, কত কম যন্ত্রণায় নিজেকে শেষ করে দেওয়া যায়। শেষে বাবা-মার সামনে একদিন ওকে একদিন একটা প্রচণ্ড জোরে থাপ্পড় মারল পরেশ… ও নাকি নিয়মিত পরেশের পকেট থেকে টাকা সরায়। বুলি চোর, বুলি মানসিক রোগী… বাবা, বুলির চেনা খুব শান্ত বাবার একটা অচেনা চেহারা সেদিন দেখেছিল বুলি। কোনো কথা বলেনি, শুধু বাবার চোখের স্থির দুটো তারা আর একনজরে পরেশের দিকে তাকিয়ে থাকা… পরেশ পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সন্ধেবেলায় বাবা যেন কন্ট্রোল কমিশনের সামনে জবাবদিহি করেছিল, সামনে বুলি আর মা। পারেনি বাবা… সারা জীবন নিজের ভেতরে থাকা জমিদারি বংশের গুমোর আর ব্রিটিশ-কলোনির দান কেরানি জীবনের সুখ, শামুকের খোলের মত মাস-মাইনের জীবনের নিরাপত্তার লোভ, বাবা ঝেড়ে ফেলতে পারেনি। পার্টির সমর্থক পরিবার থেকে সম্বন্ধ যখন এল, মা-বুলি, কারুর মতামত নেয়নি বাবা। গ্র্যাজুয়েশান পেরোতেই বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল… ওহ! আবার ফোন! বুলি উঠে পড়ে কম্পিউটারের সামনে থেকে। মাথায় এত কথার ভিড়! কিছুতেই রিপোর্টে মন দিতে পারছিল না সে। যা হয় হবে!

কেতাব-ই’র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন blogzine.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

‘এ কি, এই শাড়িটা? দিন পনেরো আগে এটা পরে এসেছিলে না?’

চাকরি শুরু করার আগে, দীপ্তেশদা বলে দিয়েছিল। রোজ এমন শাড়ি পড়ে আসতে হবে, যেটা এর আগে কেউ কোনোদিন বুলিকে পড়তে দেখেনি। বুলি মাথা নিচু করেছিল তখন। আজও মাথা নিচু করে থাকে। রোজ একটা করে অচেনা শাড়ি পড়তে গেলে কম করে সত্তর-আশিটা শাড়ি লাগে, ম্যাচিং ব্লাউজ লাগে, তাকে আয়রন করতে হয়। বুলির সময় হয় না, মা করে দেয়। কিন্তু বাইরে থেকে করতে গেলে… এই সামান্য বেতনে ওই ঠাঁটবাট বজায় রাখা যায়? আর কাজ করে বুলি, শাড়ি তো না! দীপ্তেশদার মত প্রোগ্রেসিভ লোকেরাও যদি…

‘হুঁ, ঠিকই ভাবছ। আমি একদিকে প্রোগ্রেসিভ কথা বলি, আবার…’

এ কী, দীপ্তেশদা কি থট-রিড করতে পারে?

‘নো নো প্রিটি উওম্যান! তেমন কিছু না। আসলে এই প্রশ্নটা যদি আমি তোমাকে করি, তাহলে তোমার মনে এমন প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক… না?’

বুলি এবার মাথা তোলে, দীপ্তেশদার পিছনের দেয়ালজোড়া একটা স্কুলের মেয়েদের জন্য স্যানিটারি-ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধনের ছবি। আজকের শিক্ষামন্ত্রী উদ্বোধন করছেন, উচ্ছ্বসিত দীপ্তেশদার হাতে ফুলের তোড়া।

‘জোয়া ম্যাডাম, বুঝতে পেরেছি রিপোর্টটা করতে সময় লাগবে!’

বাবা, নাম রেখেছিল, ভাল নাম… জোয়া। তার এক আদর্শের নারী জোয়া। আর মা ডাকে বুলি। কিন্তু দীপ্তেশদার গলায় একেবারে জোয়া…ম্যাডাম!

‘সরি স্যার। একটু সময় দিন, করে আনছি।’

বুলি এবার মুখ খুলল। আর কিছুক্ষণ কথা না বলতে পারলে, ও নিশ্চয়ই চিৎকার করে ফাটিয়ে ফেলত। তারপর হয়ত কোম্পানির সব ইনহিউম্যান স্টেপগুলো নিয়ে চার্জ করত দীপ্তেশদাকে। তারপর চাকরিটা চলে যেত। আর বুলবুল… ওর ওষুধ! ওহ!... আচ্ছা, অঞ্জুকে যখন পার্টির মিটিং-এ, একঘেয়ে, বস্তপচা, অকেজো কথাগুলো শুনে যেতে হয়, ওর মনে এমন ইচ্ছে জাগে? পারবে অঞ্জু মিত্যুনকাকুকে বলতে,

‘অনেক হয়েছে ছাড়ুন চেয়ার। আমাদের হাতে ছাড়ুন সব। আপনারাই আসল বাধা… বুঝতে পারছেন না?’

‘ছাড়ুন, ওসব পরে হবে। আপনাকে এখন বেরোতে হবে!’

বুলির মাথার ভেতরে, প্রাইমারি স্কুলের ছুটির ঘণ্টা ঢং ঢং করে বেজে উঠল, ওহ! বাড়ি গিয়ে বুলবুলকে দেখতে পাবে ও…। ধুর! কীসব ভাবছে বুলি, ছুটি কোথায়! দীপ্তেশ লাহিড়ি, বাইরে পাঠাচ্ছে, তার মানে অফিসেরই কাজ!

‘ইয়েস! ডিয়ার, ইউ নো ভেরি ওয়েল। আজকের দিনে লেবেলিং, প্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং কত জরুরি! এক একটা অরগানাইজেশান…এই যে আমরা তো আসলে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের কাজ করি…না! তো আমাদেরকেও শো রাখতে হয়! শো-অফ হলেই তো সব ঘেটে ঘঁ! আলমেটলি, এভরি বিজনেস ইস, শো-বিজনেস! বিজনেস মিনস… অ্যাট ডিকশনারি লেভেল…এনি রেস্পন্সিবল জব, তাই না! সেইজন্য তোমার শাড়ি, লুক, মেকাপ এই অরগানাইজেশনের জন্য ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট!’

‘তাহলে স্যার! আমায় একটা এক্সট্রা অ্যালাউন্স দিন…না!’

অদৃশ্য কোনো হাত এসে বুলির মুখ চেপে ধরা উচিত ছিল। দীপ্তেশদা কি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াবে? নাগাড়ে তিনবছর এক মাইনে? কোনো বোনাস, ইনক্রিমেন্ট কিচ্ছু নেই! উল্টোটাই হল। দীপ্তেশদা হাসল। বুলি মনে করার চেষ্টা করছিল। এই বছর তিনেকে কবার সে দীপ্তেশদাকে হাসতে দেখেছে।

গাড়িতে যাচ্ছে বুলি। দীপ্তেশদার গাড়ি। আজ কী যে অদ্ভূত কান্ড ঘটে যাচ্ছে? রিপোর্ট নিয়ে কিচ্ছু বলল না দীপ্তেশদা, তার বদলে হাসল আবার বুলি অ্যালাউন্স চাইল… এখন দীপ্তেশদার গাড়িতে যাচ্ছে বুলি। না, অন্য কোথাও নয়, পিওর একেবারে খাঁটি অফিসের কাজে এবং দীপ্তেশদা অফিসে বুলি একা যাচ্ছে। বুলি যাচ্ছে, সেই রামবাজার ছ-মাথার মোড়ে যেখানে সব থেকে বড় অনশন চলছে, ধর্ণা চলছে। ওর দলের কচি ছেলেমেয়েগুলো না খেয়ে, মুখ শুকিয়ে, সুগার লেবেল বিপজ্জনক নামিয়ে লড়ে যাচ্ছে। রোজ একটা, দুটো করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবুও ওরা ছাড়ছে না। পার্টির নির্দেশ আছে, একটু বেচাল দেখলেই যেন ওরা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু ওরা… ওদের মনে এখনও ঠিক গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার ছাপ পড়েনি। সারা দেশ যেমন ঠিক করে নিয়েছে, এইভাবে রাস্তায় নেমে কল্যাণী-মায়ের খুনীদের ধরাবেই, শাস্তি পাওয়াবেই, যা চলছে, যেমন চলছে তার একটা হেস্তনেস্ত করবেই… তার থেকে ঐ বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আলাদা হতে পারছে না। কাল তো একজন বলেই দিল টিভির সামনে, চোখদুটো গর্তে ঢুকে গেছে, চোয়াল বুড়োদের মত, চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে… জলটুকুও খাচ্ছে না… ওরা নাকি মরে যাবে, তবুও দাবি না মিটলে ওরা উঠবে না। বুলির অবাক লাগে! এখনও মিত্যুনকাকুরা… আবার এই ছেলেমেয়েরা একই মত, একই রাস্তার যাত্রী! কী করে হয়? বুলিকে গিয়ে দেখা করতে হবে ওদেরই একজনের সঙ্গে। দীপ্তেশদার ভাষায় খুবই ‘প্রমিসিং চ্যাপ!’

গাড়িটা, প্রীতিলতা-উদ্যানের সামনে আটকে গেল। মানুষের জোয়ার যেন বইছে সামনের দিকে। পুলিস থামিয়ে দিল বুলির গাড়ি। আর যাওয়া যাবে না। বুলি নেমে পড়ল। যদিও, দীপ্তেশদা বলে দিয়েছিল কাজ সেরে অফিসে ফিরতে তবুও সে ড্রাইভারকে বলে দিল দীপ্তেশদাকে বলে দিতে যে সে এখান থেকে সোজা বাড়ি চলে যাবে।


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

মন্তব্য করুন

লেখক

জন্ম কলকাতায়, ১৯৭১ সালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় এম. এ। খবরের কাগজ বিক্রি থেকে মার্কেট-রিসার্চ ইত্যাদি নানারকম পেশা পেরিয়ে স্কুলশিক্ষকতায় স্থিতু। শিক্ষকতার প্রথম ষোলো বছর ইছামতীর তীরে বসিরহাটে বসবাস। সেই অভিজ্ঞতাই গল্প লেখার প্ররোচক। কবিতা, প্রবন্ধ দিয়ে লেখালেখির সূত্রপাত হলেও গল্পকারই প্রধান পরিচিতি। প্রকাশিত বই: উন্মেষ গল্পগ্রন্থমালা-২ (কলকাতা), চুপিকথা (ঢাকা)।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন