preloader
বাংলা বইয়ের e-ভুবন
Menu Categories Search Cart 0
Menu
Cart

Total 0 Items

☹ Your cart is empty

Sub Total:

$0

₹0

বিভাগ
জামিন: পর্ব ২
ধারাবাহিক

জামিন: পর্ব ২

07 Dec, 2024.

পাড়ায় যেদিন জানাজানি হয়েছিল সে নাটক করতে গেছে। সে কী কানাঘুষো আর ঠেস! ভয় আর আশঙ্কায় ঘরের ভেতরে তখনও দম আটকে আসছিল। এই বুঝি মুরুব্বিরা আসে! বাঁচার জন্য এত গুণাহ করতে হচ্ছে, আর নিজের মেয়ে জাহান্নামে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলল…আম্মার কান্না কিছুতেই থামছিল না। আব্বা কিছুই বলেনি, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দোকানে চলে গিয়েছিল। সেদিনও আগে ভয় তারপরে রাগে জেরবার হচ্ছিল রাশি।

মেজ বোনটা বেশ নাক ডাকে! রাশি জানতই না, তখন তো চোখ বুজলেই ঘুম!  এই চার-পাঁচদিন, ঘুম হচ্ছে না, কিছুতেই ঘুম আসছে না। অনেক চেষ্টা করছে রাশি, আসছে না! নেট দেখে যা যা জেনেছে সব করেছে। এমনকি…  শোয়ার আগে ঘুম আসার দোয়া জোরে জোরে পড়েছে আম্মা, আর আল্লা পাককে ভেবে ভক্তিভরে সেই দোয়া উচ্চারণ করে গেছে। কিন্তু না, হচ্ছে না। চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকতে থাকতে একটু তন্দ্রা আসছে। আর তারপরেই কে যেন ওকে ভেতর থেকে জোর করে নাড়া দিচ্ছে। ও চমকে উঠে দুচোখ মেলে তাকাচ্ছে।

ময়লা জমা নীলচে নাইট-ল্যাম্পের মরা-আলো মশারির ভেতরে, অন্ধকারকে কাবু করতে পারে না। প্রথম প্রথম রাশি ল্যাম্পের আলো আর অন্ধকারের ফারাক বোঝার চেষ্টা করত। এখন আর অসুবিধা হয় না। কিছু দেখতে না পেলেও পুরো ঘরটার ভিডিওগ্রাফি ওর মাথার ভেতরে চলতে থাকে। পাশে শুয়ে থাকা মেজ বোন, মেঝের বিছানায় শোওয়া আম্মা, আব্বা, ছোট বোন ঝুলন, দেয়ালে-মেঝেতে চলাফেরা করা আরশোলা, টিকটিকি সবার, সব চলাফেরা রাশি অনুভব করতে পারে। তার সঙ্গে আবহ, মেজ বোনের এই নাকডাকার আওয়াজ। নাহ্‌, বিরক্ত হচ্ছে না রাশি…বরং ঘুম না আসা সারারাত জুড়ে এই বিদঘুটে আওয়াজটাই যেন ওর ভরসা । না হলে, না হলে…কী যে হত! ভেতরে জমে থাকা রাগ আর ঘেন্নার চাপে ওর বুকটা নিশ্চয়ই ফেটে যেত, পেটে জমে থাকা পচা পিত্তবমি উঠে এসে সারা ঘরে দুর্ঘন্ধ ছড়িয়ে পড়ত। নাকের ঐ বিচ্ছিরি শব্দস্রোত, তরল ব্যারিকেড হয়ে মাথার মধ্যে ঢুকে পড়ে। ওকে আটকে দেয়।

রাগ হয়… খুব রাগ হয়!  মার খাওয়ার রাতের সেই মহিলাকে, গুন্ডা ছেলেগুলোকে… আর, আর যারা সেই বৃদ্ধাকে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে, লেডিস কামরায়, একগাদা মেয়ের সামনে… হায়, হায়... সেই সেই জানোয়ারগুলোকে… বা, সারা শহর,  শহরের বাইরে, গ্রামে, মফস্বলে বড় বড় পোস্টার, কাট-আউটের ঐ যে তিনি, যাঁর করুণা-কৃপায়…এই, এইসব চলছে, সেই তাকে… মনে হয়… মনে হয়…এমনই মাঝরাতে উঠে পায়খানা থেকে অ্যাসিডের শিশিটা, চুড়িদারের ওড়নায় ঢেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়বে ও। তারপর যেমন লালমল-নীলকমলের গল্পে খুলে গিয়েছিল একের পর এক ঘুমন্তপুরীর দরজা, ঠিক সেইভাবে রাশি এগিয়ে যাবে…  একের পর এক, ধরে ওদের গায়ে গলগল করে ঢেলে দেবে শিশিভর্তি অ্যাসিড… করবে, করে ফেলবেই একদিন রাশি। কিচ্ছু হবে না, এইসব মিছিল, গান, কবিতা, নাটকে! একমাত্র… নাহ্‌, রাশি পারবেই…

কেতাব-ই'র ব্লগজিন বিভাগে লেখা পাঠাতে চান? মেল করুন manuscript.ketabe@gmail.com-এ। মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখুন ‘কেতাব-ই ব্লগজিনের জন্য লেখা’

ঠিক সেই সময়, গলির মুখের ডাস্টবিন-ভ্যাট থেকে ময়লা নিতে আসা কর্পোরেশানের রদ্দি লরির ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়। মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে ওঠে মেজ বোনের নাকের কর্কশ আওয়াজ। ফের গা গুলিয়ে ওঠে।মশারি সরিয়ে, আলো না জ্বালিয়ে, দরজা খুলে বেরিয়ে আসে চিলতে বারান্দায়… আম্মার পাকঘর। ভাঙা মোড়াটায় বসে। হাতড়ে হাতড়ে মেঝেতে গড়ানো, তোবড়ানো প্লাস্টিকের বোতল থেকে এক ঢোক জল খায়। গ্রিলের ওপারের ছ-ফুট বাঁধানো গলি, পৌরসভার সাদাটে সোলার আলোয় ঠিক যেন সেই মরা বুড়িটার ছবি যার জন্য দেশসুদ্ধু তোলপাড়… ফোনে, টিভিতে, প্রথমদিকে কয়েকবার সেই ছবিটা এসেছিল। রাশির স্পষ্ট মনে পড়ে। দুই-হাত-পা ছড়িয়ে এঁকেবেঁকে পড়ে রয়েছে। কোনো মানুষের শক্ত দেহ ঐভাবে মরার পর খণ্ড ৎ হয়ে থাকতে পারে? একজন মহিলা নাকি জেলিফিশ?  

বর্ষার ছমাস হাঁটুজল হলেও সারাবছর এই ব্যাঁকা গলিটা বরাবর এইরকম। কোনোদিনও সোজা ছিল না, সোজা হবে না। কিন্তু ঐ বয়স্ক মহিলা? যে সারা জীবন…   হাঁটত, দৌঁড়োত! সেদিনও সে ট্রেনে উঠেছিল একাই। কোনো লাঠি, ক্রাচ… কিছুই পাওয়া যায়নি তার পাশে। তাকে…একটা মাংসের দলা বানিয়ে দেয়, যে অমানুষের দল, তাদেরকে… তাদের জন্য… হ্যাঁ! ঐ অ্যাসিডের শিশি দরকার! অথচ রাশির সামনে এখন থানা, পুলিস, কোর্ট…

মেসেজ টোন... ঘরের মধ্যে টাওয়ার আসে না। রাশি তাকাল স্ক্রিনে, রুবিদির মেসেজ। এগারোটার দিকে রুবিদি করেছিল। রুবিদি ব্যস্তই থাকে শো নিয়ে, ছেলের পড়াশোনা-সংসার নিয়ে। একা হাতে রুবিদিকে সব করতে হয়! সেইসব নিয়েই রুবিদি এখন দৌড়োচ্ছে মিছিলে, অবস্থানে। বেশকটা ভাইরাল ভিডিওতে রুবিদিকে দেখেছে রাশি। রুবিদি সেলিব্রিটি না, তাও এই অচেনা, অন্যরকমের, সবাইকে নাড়িয়ে দেওয়া, সবার মনের মধ্যে ঢুকে পড়া আন্দোলনের একটা যেন মুখ হয়ে গেল রুবিদি! মাসখানেক আগেও, গ্রুপ থিয়েটারের পুরোনো লোকেরা ছাড়া আর কেউ রুবিদির নামও জানত না। সিরিয়ালেও সে নামেনি। রাশি একবার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিল, রুবিদি কিচ্ছু বলেনি, মুখ টিপে, ভ্রু কুঁচকে এমনভাবে হেসেছিল, যার একটাই মানে হয়…ধুর! বাড়িতে বাড়িতে অঙ্কের টিউশানি করেই চালিয়ে যাচ্ছে নাটকের অভিনয় আর সংসার। কীভাবে পারেন ঐ ভদ্রমহিলা?

পাড়ায় যেদিন জানাজানি হয়েছিল সে নাটক করতে গেছে। সে কী কানাঘুষো আর ঠেস! ভয় আর আশঙ্কায় ঘরের ভেতরে তখনও দম আটকে আসছিল। এই বুঝি মুরুব্বিরা আসে! বাঁচার জন্য এত গুণাহ করতে হচ্ছে, আর নিজের মেয়ে জাহান্নামে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলল…আম্মার কান্না কিছুতেই থামছিল না। আব্বা কিছুই বলেনি, ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দোকানে চলে গিয়েছিল। সেদিনও আগে ভয় তারপরে রাগে জেরবার হচ্ছিল রাশি। কয়েকদিন পর রাতে রুবিদি  ফোন করেছিল, ‘মা-র কষ্টটা বোঝ? মায়েরা কী চায়? মেয়েকে ভাল রাখতে, সুস্থ রাখতে, তাই না? তুই যেভাবে এই দুনিয়াটাকে দেখার সুযোগ পেয়েছিস, মা কি পেয়েছে? আর, তুই কি ঠিক করে নিয়েছিস যে অভিনয় করে সব পালটে দিতে পারবি? না কি এমন তোর মনে হয় যে অভিনয় না করলে তুই বাঁচবি না? তুই না হয় ছিটকে বেরিয়ে আসবি কিন্তু তোর বোনেরা? মা-বাবা? ওরা বেরিয়ে আসতে পারবে? তার থেকেও বড় কথা, ওদের কাছে ওটাই আসল…তাহলে? ভেবে দেখ, তোকে আজ পর্যন্ত এখানে কে নিয়ে এসেছে, তোর বাবা-মাই তো? তাহলে? ওরে দরজা-জানালা খোলাও অনেক বড় কাজ। আলো এলে সব অন্ধকার মুছে যায়!’

লোডশেডিং হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে আর মেজ বোনের নাকডাকার আওয়াজ আসছে না। মাঝেমধ্যে আম্মা-ঘুমের ঘোরে বলে উঠছে,

‘আল্লা…রাশি ঠিক করে শো। পড়ে যাবি। কী গরম! ঝুলন, আব্বার দিকে সরে শো।’

রাশি জানে, ঘুপচি ঘরটার এই গুমোট ওদের ঘরের সবার সহ্য হয়ে গেছে। কেউ আসবে না বাইরে। ছটফট করতে করতে পড়ে থাকবে ঘাম আর অন্ধকারের মধ্যে। অপেক্ষা করবে কখন ‘কারেন্ট’ এসে বুড়ো ভাঙাচোরা ফ্যানের বিশ্রামের সর্বনাশ করবে। শুধু আব্বা অভ্যাসে হাতপাখা চালিয়ে যাবে। বারান্দায় জমাট অন্ধকার। ফোনটাকে মেঝেতে রেখে দিয়েছে রাশি। এখন সেটাও ঘুমোচ্ছে, চার্জ নেই। এখান থেকে আকাশ দেখা যায় না। তাই তারা-নক্ষত্র কিছুই দেখতে পাচ্ছে না রাশি। গলির ওপারে ওস্তাগর জলিলচাচার তিনতলা ঘর। তার কিছুই আর দেখা যাচ্ছে না। ওপরে, নীচে, আশেপাশে, চারিদিকে অন্ধকারের দেয়াল যেন চেপে ধরছে ওকে। ও কি মনেপ্রাণে চাইছে, এখনই ‘কারেন্ট’ চলে আসুক? একটু আগেও চাইছিল না। বরং মনে হচ্ছিল, একটু একটু করে অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে গেলে হয়ত আর পুলিসের সামনে যেতে হবে না! পুলিস…পুলিসের ভয়েই নতুন দুশ্চিন্তা হচ্ছে যদি থানার লোকগুলো এই লোডশেডিং-এর মধ্যে এসে ওকে মুখে চাপা দিয়ে নিয়ে চলে যায়? কিন্তু… কী করে নেবে? গ্রিলে তো তালা দেওয়া! না, না… ওরা সব পারে? সব কোথায় পারে? পারে না? চলতি ট্রেনের পশুগুলোকে ধরতে পারল এখনও? তাতে কী? অভিজিৎদা ‘পাকা’ খবর দিয়েছে তারা নাকি আর কিছু সহ্য করবে না! নাম ধরে ধরে, লিস্ট মিলিয়ে জেলে পুরবে! তাই তো আগে আগে বেল নিতে হবে! বেল… বেল, আবার অন্ধকার আর অন্ধকার!  আল্লাহ! একটা গজব হতে পারে না? নিকুচি করেছে বেলের, অ্যাসিডের শিশি হাতে নিয়ে…। কী করে, করবে রাশি? অভিজৎদা ল’পাশ, সেই অভিজিৎদা এই মাসখানেক ধরে ওদের সামনে থেকেছে, বারবার বলেছে,

‘এভাবে চলতে পারে, বল? আর কেউ কিছু না করুক, আমরা…আমাদেরই এগোতে হবে। এভাবে বন-জঙ্গল হয়ে উঠবে আমাদের চারপাশ? ভয় পেলে চলবে না রে! চলবে না…’

সেও এখন ভয় পাচ্ছে! তাহলে? না, না…কী ভাবছে রাশি? সত্যি কি সব এমন? না, না... কেউ তো আছে …কাকিমা, পিয়ার মা! আলো জ্বলে উঠল। না ‘কারেন্ট’ আসেনি তবুও রাশির সারা শরীরে আলো আর আলো। পিয়ার ফোন থেকে বলেছিল কাকিমা,

‘শোন, একদম কিচ্ছু ভাববি না। বেল তোদের হবেই। করাব। মহুয়ার বাবা, মহুয়াকে দেখছে। তুই… তোর বেল হবে। ডর করিস না!’

অভিজিৎদা বিশ্বাসই করছিল না, পিয়ার মা এইকথা বলতে পারে! সেই সন্ধ্যায় টালিগঞ্জের মোড় থেকে ওদের আগেই চলে এসেছিল অভিজিৎদা। সত্যিই তো ঐ লোকটার বিপদ ওদের থেকে আরও বেশি। সেদিনের ঐ মিছিলে তিরিশ-চল্লিশজন মেয়ে, মহিলা, তারা তো সবাই ওর ডাকেই গিয়েছিল! রাশি আবার হোঁচট খায়, অভিজিৎদার ডাকে? নাকি, ঐ বীভৎস ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে ওরা নিজেরাই মিছিল খুঁজছিল। কিন্তু মিছিল কেন? মিছিলে গেলেই কি, সব পাঁক পরিস্কার হয়ে যাবে? মানুষের ছাল-লাগানো নোংরা নোংরা জন্তুগুলোকে রাবার দিয়ে মুছে ফেলা যাবে দেশ-রাজ্যের খাতা থেকে? সেদিন সেসব কিছুই ভাল করে ভাবেনি রাশি।  সবকিছু ভেঙেচুরে ফেলতে ইচ্ছে করছিল ওর, হয়ত মহুয়া, পিয়া, বুচুপিসি সবার। বিষাক্ত সাপের চ্যাটচেটে লালার ছোঁয়া আর কতদিন সহ্য করে চলতে হবে মেয়েদের?  পিয়ার এক দিদির সঙ্গে পড়ত অভিজিৎদা। প্রথমবার ‘রাত-দখলে’র পরে শুধু জানিয়েছিল পিয়া, অভিজিৎদারা একটা মিছিল হবে। রাশি, ভাস্বতীদি সবাই চলে গিয়েছিল, কালীতলার মোড়ে। সেই... প্রথমদিন রাশি গেল, তারপরে আরও দু-তিনদিন, তেমন কিছুই হয়নি, আর তারপরেই তো...

অভিজিৎদাকে যেতে হচ্ছে সবার কাছে। সবাইকে অবশ্য পুলিস ডাকেনি কিন্তু মার খেয়েছে সব্বাই! যাওয়ার আগে অভিজিৎদা বলল,

‘পিয়ার মা, কাকিমা, কাউকে জোগাড় করতে পারলে বলিস কিন্তু! আগে আমায় বলিস। তোরা জানিস না, এই লাইনে কী হয়?’

অটোয় বসে রাশিকে জড়িয়ে ধরে পিয়া বলেছিল,

‘তুই একবার পুলিসের চাকরিটা পেয়ে যা! তারপর দেখে নেব। 

চাকরি? চাকরি নিয়ে রাশি ভাবছে না? আব্বা, মুখ তুলে তাকাচ্ছে না ওর দিকে। আব্বার ভুরু সব সময় কুঁচকে থাকছে। উকিল যদি জোগাড় হয়, তারপর টাকা লাগবে। টাকা আসবে কোথা থেকে? আব্বা…

‘এই রাশি, কী ভাবছিস? মা বলেছে, আমার আগে নাকি তোর বেল করাবে?... ইস তোর মত চাকরিটা যদি বাগাতে পারতাম!’

হাসছিল, বেশ জোরেই হাসছিল পিয়া। অটোর বাকিরা তাকিয়ে দেখছিল। কী ভাবছিল পিয়া? চাকরি নিয়ে? না, না…কাকিমার মেয়ে পিয়া। এতদিনের বন্ধু। ওপর থেকে দেখায় না, কিন্তু সবসময় ভাল চায়! আর কাকিমা? দেখা হলে শুধু আব্বার মত ওর মাথায় হাত বোলায়। প্রাইমারিতে পিয়ার টিফিন বক্সে ডিমের দিন দুটো ডিম, কেকের দিন দুটো কেক থাকত বরাবর…।

‘কারেন্ট’ এল। ঘুমন্তু গলিটা সেই এক ভঙ্গিমায়। ফোনটা মেঝেতেই রেখে দিয়েছিল, তুলে নিয়ে রুবিদির মেসেজটা আর একবার দেখে রাশি,

‘ভয় পাবি না। মাথা ঠান্ডা রাখ।’


কেতাব-ই’র মুদ্রিত বই, ই-বই এবং ব্লগজিন বিভাগের লেখালিখির নিয়মিত খোঁজখবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন


এই ব্লগজিনে প্রকাশিত সমস্ত লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।

মন্তব্য করুন

লেখক

জন্ম কলকাতায়, ১৯৭১ সালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় এম. এ। খবরের কাগজ বিক্রি থেকে মার্কেট-রিসার্চ ইত্যাদি নানারকম পেশা পেরিয়ে স্কুলশিক্ষকতায় স্থিতু। শিক্ষকতার প্রথম ষোলো বছর ইছামতীর তীরে বসিরহাটে বসবাস। সেই অভিজ্ঞতাই গল্প লেখার প্ররোচক। কবিতা, প্রবন্ধ দিয়ে লেখালেখির সূত্রপাত হলেও গল্পকারই প্রধান পরিচিতি। প্রকাশিত বই: উন্মেষ গল্পগ্রন্থমালা-২ (কলকাতা), চুপিকথা (ঢাকা)।

অন্যান্য লেখা

দেখতে পারেন